RafiaBegum

Call

আল্লাহ তা’আলা নিজের দিকে যেসমস্ত বিষয় সম্বন্ধ করেছেন তা তিন প্রকার। যথাঃ (১) স্বয়ং সম্পূর্ণ কোন বস্তকে আল্লাহর দিকে সম্পৃক্ত করা। এটি হল সৃষ্টিকে তার স্রষ্টার দিকে সম্পৃক্ত করার শ্রেণীভুক্ত। এটি কখনো সাধারণ ভঙ্গিতে হয় যেমন আল্লাহ বলেনঃ )إِنَّ أَرْضِي وَاسِعَةٌ( “আমার জমিন অতি প্রশস্ত।” (সূরা আনকাবূতঃ ৫৬) কখনো কোন জিনিষের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আল্লাহর দিকে সম্বন্ধ করা হয়। যেমন বলা হয়, بيت الله)) আল্লাহর ঘর, (ناقة الله) আল্লাহর উটনী ইত্যাদি। আল্লাহ বলেনঃ ]وَطَهِّرْ بَيْتِي لِلطَّائِفِينَ وَالْقَائِمِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ[ “এবং আমার ঘরকে পবিত্র রেখো তাদের জন্যে যারা তাওয়াফ করে এবং যারা দাঁড়ায়, রুকূ করে ও সিজদা করে।” (সূরা হাজ্জ- ২৬) আল্লাহ আরো বলেন, ]نَاقَةَ اللَّهِ وَسُقْيَاهَا[ “আল্লাহর উষ্ট্রী ও তাকে পানি পান করাবার বিষয়ে সাবধান হও।” (সূরা শামস্ত ১৩) (২) অন্যের উপর নির্ভরশীল কোন বস্তকে আল্লাহর প্রতি সম্বন্ধ করা। সাধারণত সম্বানের জন্যই তাকে আল্লাহর দিকে সম্বন্ধ করা হয়। আল্লাহ ঈসা (আঃ) এর ব্যাপারে বলেনঃ )وَرُوحٌ مِنْهُ( “তিনি আল্লাহর রূহ।” (সূরা নিসাঃ ১৭১) এখানে ঈসা (আঃ)এর সম্মান বৃদ্ধির জন্য তাঁকে আল্লাহর দিকে সম্বন্ধিত করা হয়েছে। তিনি আল্লাহর রূহ এর অর্থ হল, আল্লাহ যে সমস্ত রূহ সৃষ্টি করেছেন, তাঁর রূহও সে সমস্ত রূহের অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু এরূহ অন্যান্য রূহের তুলনায় অধিক মর্যাদা সম্পন্ন। এ নয় যে, আল্লাহর রূহ ঈসা (আঃ) এর রূহের ভিতরে প্রবেশ করে আছে। ৩) আল্লাহর সিফাতকে আল্লাহর দিকে সম্পৃক্ত করাঃ কুরআনে ব্যাপকভাবে এ ভঙ্গিতে আল্লাহর সিফাতের বিবরণ এসেছে। আল্লাহর কোন সিফাতই তাঁর সৃষ্টির অন্তর্ভুক্ত নয়। যেমনঃ وجه الله আল্লাহর চেহারা, يد الله আল্লাহর হাত, قدرة الله আল্লাহর শক্তি বা ক্ষমতা, عزة الله আল্লাহর ইয্‌যত বা সম্মান। বিষয়/প্রশ্নঃ (৩৮) গ্রন্থের নামঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম বিভাগের নামঃ ঈমান লেখকের নামঃ শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) অনুবাদ করেছেনঃ আবদুল্লাহ শাহেদ আল মাদানি - আবদুল্লাহ আল কাফী

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ