সুদের টাকা ব্যবহার করা হারাম। তাই তা
সওয়াবের নিয়ত ছাড়া যেকোন দারিদ্র ব্যক্তি, জনকল্যাণমূলক কাজ, এমনকি
আত্মীয় স্বজনকেও দান করা যাবে। তবে
এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে, আত্মীয়
বলতে যাদের ভরণপোষণ বা দেখাশোনা উক্ত ব্যক্তির উপর আবশ্যক নয়, কেবল তাদেরকেই দান করতে পারবে। যেমন ভাই, বোন প্রমূখ।
তবে এই ব্যাপারে আরো সিওর হতে আপনি একজন আলেমের শরমাপন্ন হতে পারেন।
হারাম
অর্থের দান যেমনি আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না
তেমনি হারাম উপার্জনের অর্থ রেখে মারা
গেলেও সে সম্পদ হবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির
পূঁজি।
এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেন, কেয়ামতের দিন প্রত্যেক
মানুষকেই জিজ্ঞাসা করা হবে যে, সে কিভাবে
সম্পদ অর্জন করছে। অর্জিত সম্পদ বৈধ না অবৈধ
উপায়ে উপার্জিত, সে হিসাব দিতে হবে। হিসাব
দেয়ার আগে কোনো বান্দাকেই এক কদমও
নড়তে দেয়া হবে না।
সুতরাং অবৈধভাবে সম্পদ উপার্জন করা থেকে
নিজেদের বিরত রাখতে হবে। আর অবৈধ উপায়ে
অর্জিত হারাম সম্পদ মানুষের কোনো উপকারে
আসবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রিয়নবি।
হাদিসে এসেছে,
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু
বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেছেন, কোনো বান্দা হারাম
পদ্ধতিতে উপার্জিত অর্থ দান খয়রাত করলে তা
কবুল হবে না এবং তা নিজ কাজে ব্যয় করলে
বরকত হবে না। আর ঐ ধন তার উত্তরাধিকারীদের
জন্য রেখে গেলে তা তার দোজখের পুঁজি
হবে। (মিশকাত)।
হাদিসের আলোকে বুঝা যায় যে,
+☞ হারাম সম্পদ থেকে দান করা যাবে না। দান
করলেও তা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।
+☞ হারাম সম্পদ নিজ কাজে ব্যয় করলেও তাতে
বরকত হবে না।
+☞উত্তরাধিকারদের জন্য রেখে গেলেও তা হবে তার জন্য জাহান্নামের জ্বালানি।
[বিঃ দ্রঃ তথ্যগুলি আহলে হক বাংলা মিডিয়া থেকে আংশিকভাবে কপি করা হয়েছে।]