সুইস, স্কটিস, আইরিশ নাগরিক ঠিকই বসে থাকবে। আর বাংলাদেশী মানুষ উঠে হাটাহাটি শুরু করে দিবে।এদিক ওদিক তাকিয়ে ছটফট করবে। এর মূল কারণ কি কি?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

কে বলেছে বাংলার মানুষ অস্থির? ঘন্টার পর ঘন্টা এ দেশের মানুষ ট্রাফিক জ্যামে অপেক্ষা করতে পারে। লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট করে ২-৩ ঘন্টা অপেক্ষার পর বাস আসলে বাসে উঠে তারপর আবার জ্যম ঠেলে গন্তব্যে যেতে পারে। হাসপাতালে এত পরিমাণ অসহযোগিতার পরেও ধৈর্য্য ধরে চিকিৎসা নিতে পারে। রাতের আধাঁরে কেউ চুরি করলে সে চুরির প্রতিবাদ না করে সুদিনের অপেক্ষা করতে পারে। সমাজের সর্বত্র বিভিন্ন অন্যায় অনাচার হলেও তার প্রতিবাদ না করে ধৈর্য ধরতে পারে। শত অভাবেও হাসিমুখে বলতে পারে আল্লাহ যেভাবেই রাখুন না কেন আলহামদুলিল্লাহ। আর ওরা অভাব কি জিনিস সেটা কখনো উপলব্ধি করেনি। জ্যাম কি জিনিস জানেনা। চুরির বালাই নেই। আয় রোজগার যা করার তা করে নিয়ে এই বঙ্গালদের ফতুর করে এখন ওরা সুখের পায়রা উড়িয়ে বেড়ায়। যখন অভাবে ছিল তখন সমগ্র বিশ্ব টের পেয়েছে কতটা ভয়ংকর কতটা নিষ্টুর আর নির্মম হতে পারে ওরা। একজন মসলিন শিল্পের কারিগরকেও ওরা রেখে যায়নি সব কারিগরের আঙ্গুল তথা বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে পঙ্গু করে দিয়ে গেছে। সেই সাথে পঙ্গু করে দিয়ে গেছে আমাদেরর অর্থনীতি। চাপিয়ে দিয়ে গেছে এক শিক্ষা ব্যাবস্থা যে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ওদেরই মন্তব্য যে 'এই শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে আরও ২০০ বছর পিছিয়ে থাকবে ওরা'। নীলকরদের অত্যাচারের কথাতো বলাই বাহুল্য। ধর্মের উপর ভিত্তি করে দেশটাকে ভাগ করে দিয়ে গেল। এমন আরও কত কি। এইগুলো ওরা তখনি করেছে যখন অভাব ওদের তাড়িয়ে বেড়াতো। আপনি কি তারপরও বলবেন ওরা সুস্থির আর আমরা তথা বাংলার মানুষ অস্থির? ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ