ঈসা আ. জীবিত আছেন এ ব্যাপারে কিছু দলীল নিম্নে প্রদান করা হলো-
আর তাদের একথা বলার কারণে যে, আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসা মসীহকে হত্যা করেছি যিনি ছিলেন আল্লাহর রসূল। অথচ তারা না তাঁকে হত্যা করেছে, আর না শুলীতে চড়িয়েছে, বরং তারা এরূপ ধাঁধায় পতিত হয়েছিল। বস্তুতঃ তারা এ ব্যাপারে নানা রকম কথা বলে, তারা এক্ষেত্রে সন্দেহের মাঝে পড়ে আছে, শুধুমাত্র অনুমান করা ছাড়া তারা এ বিষয়ে কোন খবরই রাখে না। আর নিশ্চয়ই তাঁকে তারা হত্যা করেনি। বরং তাঁকে উঠিয়ে নিয়েছেন আল্লাহ তা'আলা নিজের কাছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। -সূরা নিসা, আয়াত: ১৫৭-১৫৮
আর স্মরণ কর, যখন আল্লাহ বলবেন, হে ঈসা! আমি তোমাকে নিয়ে নেবো এবং তোমাকে নিজের দিকে তুলে নিবো-কাফেরদ ের থেকে তোমাকে পবিত্র করে দেবো। আর যারা তোমার অনুগত রয়েছে তাদেরকে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত যারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তাদের উপর জয়ী করে রাখবো। বস্তুতঃ তোমাদের সবাইকে আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে। তখন যে বিষয়ে তোমরা বিবাদ করতে, আমি তোমাদের মধ্যে তার ফয়সালা করে দেবো। -সুরা ইমরান, আয়াত:৫৫
বিশিষ্ট সাহাবি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আ’স (রা) হতে বর্ণিত আছে, রাসুল বলেছেন: ঈসা (আ) তিনি পৃথিবীতে নাযিল হবেন। বিয়েশাদি করবেন। সন্তান জন্ম দেবেন। পঁয়তাল্লিশ (কোনো কোনো বর্ণনায় চল্লিশ) বছর দুনিয়াতে থাকবেন। অত:পর তিনি মৃত্যু বরণ করবেন। তারপর আমার সাথেই আমার কবরে তাকে দাফন করা হবে। ফলে আমি এবং ঈসা ইবনে মারিয়াম একই কবরে [কবরস্থানে] আবুবকর এবং উমরের মাঝে থাকব। -মেশকাত শরিফ
ঈসা (আঃ)ও দুনিয়াতে সাত বছর অবস্থান করবেন’ -মুসলিম হা/২৯৪৩
অর্থাৎ ঊর্ধ্বারোহনের পূর্বের ৩৩ বছর এবং দুনিয়ায় অবতরণের পরের ৭ বছর মিলে তাঁর বয়স হবে মোট ৪০ বছর। তারপর তিনি মৃত্যুবরণ করবেন। মুসলমানগণ তাঁর জানাযার ছালাত আদায় করবে -আবুদাঊদ শরহ ‘আউনুল মা‘বূদ, হা. ৪৩২৪
ধন্যবাদ।