প্যানিক ডিজর্অডার কি সম্পূর্ণ ভালো হয়
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Call

নতুন একটি শব্দ এসেছে যাকে আমরা বলি সাইকো এডুকেশন। এখানে অনেক বড় একটি বিষয় থাকে, রোগটি যে এ রকম একটি রোগ, রোগীকে সেটা বোঝাতে হবে। পাশাপাশি রোগীর যারা পরিবারের লোকজন থাকে, অফিসে লোকজন যদি সম্ভব হয়, ওনাদেরও এই বিষয়ে জ্ঞান দিতে হবে। যেমন : এই রোগের কারণে মৃত্যুর কোনো কারণ নেই। যদি আমরা চুপ করে থাকতে পারি। এবং অবস্থা যদি আওতায় থাকে আধাঘণ্টার মধ্যে এটি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এ বিষয়ে বেশ কিছু শিথিলকরণ প্রশিক্ষণ আছে। শিথিলকরণ ব্যায়াম শিখিয়ে দিতে হবে বা মেডিকেশনের একটি বিষয় রয়েছে। মেডিকেশন যেটা করে, রোগটি বারবার হওয়ার বিষয়টিকে কমিয়ে দেয়। এটার মারাত্মক বিষয়টিকেও কমিয়ে দেয়।

পাশাপাশি সাইকোথেরাপি, কাউন্সেলিং যেটা সেটাও করানো যেতে পারে। অসুস্থ হওয়ার কারণে তার দৈনন্দিন কার্যক্রম যেন বন্ধ না হয়। আসলে সম্পূর্ণ বিষয়টি যদি ভালোভাবে চিকিৎসা করা যায়, এই রোগীরা খুব ভালো থাকেন।

তবে মজার বিষয় এবং ভয়েরও বিষয় আছে। আমরা অনেক ক্ষেত্রে শুনি, এই ভয়ের কারণে অনেকে তার সম্পদ আত্মীয়স্বজনকে একদম ভাগ করে দেয়। আমার বোধ হয় মৃত্যু হচ্ছে। আমি এ রকম একজন সার্জনকে জানি, যিনি ভয়ের কারণে ওনার সম্পদ সবকিছু ভাগ করে দিয়েছিলেন। শুধুমাত্র সেই সময় উনি চিকিৎসা নেননি বলে। তবে যখন চিকিৎসা করালেন, তারপর তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারলেন।

প্রশ্ন : চিকিৎসা নেওয়ার কতদিন পরে রোগী বুঝতে পারে সে ভালো বোধ করছে?

উত্তর : এটা রোগীভেদে নির্ভর করে। তবে যদি নিশ্চিত করা যায় এই সমস্যাটি শারীরিক রোগের কারণে নয়, এই চিকিৎসা এভাবে করলে ভালো হয়। নিশ্চিত করার কয়েকদিনের মধ্যে তিনি আশ্বস্ত হন।

প্রশ্ন : কতদিন ধরে এই চিকিৎসা চলতে থাকে? পরে কি আবার হওয়ার আশঙ্কা থাকে?

উত্তর : এটা একটা ভালো প্রশ্ন। অনেক সময় এই সমস্যায় আমাদেরও পড়তে হয়। একাডেমিক জায়গা থেকে বলা হয়, লক্ষণমুক্ত হওয়ার পরও অন্তত দুই বছর এটা থাকে। তবে অনেক সময় একটু লক্ষণ কমে গেলে চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়। বিশেষ করে অনেকে পরামর্শ দেয়, ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। তখন হয়তো রোগী ওষুধ ছেড়ে দেয়। দেখা যায়, ওষুধ ছাড়ার কিছুদিন পরই রোগটি শুরু হয়। এখন কথা হচ্ছে সঠিক চিকিৎসা নিলেও কি আবার রোগ হতে পারে না? তাও হতে পারে। তবে সঠিক চিকিৎসা নিলে হবে কি অন্তত ওই সময়টা ভালো থাকবে। এবং পরবর্তীকালে কীভাবে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবেন সেটি বুঝতে পারবেন।

তবে আবার হতে পারে। সাধারণত প্যানিক ডিজঅর্ডার পারিবারিক একটি বিষয়ের কারণে হয়। যাদের পরিবারে উদ্বেগ বেশি থাকে, তাদের এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। রোগটি আবার পাঁচ বছর, ১০ বছর পরে হতে পারে। তবে বিষয়টি যদি তিনি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তাহলে খুব দ্রুত সমাধান আসবে।

প্রশ্ন : এই সমস্যায় জটিলতা কী হতে পারে?

উত্তর : এর কারণে মানুষ মারা যাবে বিষয়টি সে রকম নয়। এ কারণে দৈনন্দিন সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এটিকে মাথায় রেখে সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ