একটা ভালো ফ্রিজ কিনবো।  কোন ব্রান্ডের টা ভালো হবে পরামর্শ দিন প্লিজ। বিদ্যুৎ সাশ্রয় যেন হয় অার  টেকসই ভালো যেন দেয়।  বাজেট ৩৫০০০টাকা।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Sakib Ahmed

Call

ফ্রিজ কেনার আগে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেনঃ

 ১) ফোর স্টার বা ফাইভ স্টারের নীচের কোনও মডেল কিনবেন না। এই স্টারগুলি এনার্জি এফিসিয়েন্সি বোঝায়। যত বেশি স্টার, তত বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। তাই প্রয়োজন হলে আর একটু বেশি টাকা জমান। দু’দিন পরে ফ্রিজ কিনুন কিন্তু ওয়ান স্টার বা টু স্টার ফ্রিজ কিনবেন না। এতে প্রতি মাসেই অনেক টাকা বিদ্যুতের বিল দিতে হবে।

২) একেবারে অনামী ব্র্যান্ডের ফ্রিজ কখনও কিনবেন না। হোয়ার্লপুল, এলজি, স্যামসাং হল বাজারসেরা। এগুলিই এখন রেফ্রিজেটরের সবচেয়ে ভাল ব্র্যান্ড। এর বাইরে হিতাচিও ঠিকঠাক। কিন্তু এর সবচেয়ে ভাল মডেলগুলির সবক’টিই ৩০০ লিটার বা তার বেশি।

৩) ফ্রিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল তার কম্প্রেসর। এটি যত উন্নতমানের হবে ততই তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হবে ফ্রিজ। অত্যাধুনিক ইনভার্টার কম্প্রেসর রয়েছে এমন মডেলের ফ্রিজ কেনাই ভাল। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় এবং ভোল্টেজের ওঠানামাতেও ঠিকঠাক কুলিং হয়। এলজি-র স্মার্ট ইনভার্টার কম্প্রেসর ফ্রিজে কতটা জিনিস রয়েছে সেটা সেন্স করে সেই অনুযায়ী নিজেই কুলিং সেট করে নেয়। এতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ হয় না। আবার স্যামসাংয়ের ডিজিটাল ইনভার্টার কম্প্রেসর নিজেই বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ এবং ফ্রিজ ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী কুলিং অ্যাডজাস্ট করে।

৪) ঠান্ডা জল ছাড়া যাঁদের চলে না তাঁরা হোয়ার্লপুলের কয়েকটি মডেল দেখতে পারেন যেখানে একটি আলাদা ডোর-কুলিং ইউনিট থাকে। জলের বোতল খুব তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়।

৫) ডাবল ডোর ফ্রিজ কেনাই ভাল। এতে স্টোরেজ স্পেস অনেকটা বেশি পাওয়া যায়। ব্যস্ত পরিবারে যেখানে সবাইকেই রোজ বেরতে হয় তাদের পক্ষে এই ফ্রিজই ভাল কারণ মাছ-মাংস ইত্যাদি অনেকটা একসঙ্গে স্টোর করা যায়।

৬) ফ্রিজের ভিতরের স্টোরেজ স্পেসটি মোটামুটি সব ভাল ব্র্যান্ডই উনিশ-বিশ ডিজাইন করে। যেটা দেখা দরকার তা হল শেলফ যথেষ্ট শক্তপোক্ত কি না। গ্রিল শেলফ অনেকটা ভারী ওজন বইতে পারে আবার ফ্ল্যাট ফাইবার শেলফ দেখতে ভাল এবং পরিষ্কার করা সহজ। যেটা সুবিধে সেটাই নেবেন।

৭) এখন নতুন মডেলগুলিকে স্লিক করার জন্য মেটালিক শিট দিয়ে জালের মতো স্ট্যাটিক কনডেন্সারটি ঢেকে দেওয়া হয়। সব মডেলে না পেলেও অনেক ভাল মডেলেই এটা পাবেন। এতে ফ্রিজটি কম জায়গা জুড়ে থাকে আর দেখতেও উৎকট লাগে কম।

৮) যদি অনেক টাকা খরচ করে চোখ ধাঁধানো ফ্রিজ কেনার ইচ্ছে থাকে তবে সাইড-বাই-সাইড ফ্রিজার রয়েছে এমন মডেল বাছুন। এগুলিতে ওয়াটার ডিসপেন্সারও পাবেন। অর্থাৎ ঠান্ডা জল খাওয়ার জন্য আর বোতল হাতড়াতে হবে না। ফ্রিজের গায়ের ডিসপেন্সারটি অন করলেই ঠান্ডা জল পাবেন।

তথ্যসূত্র: এবেলা

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ