শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

উমর ইবনুল খাত্তাব (আরবি: عمر بن الخطاب ‎‎, জন্ম ৫৮৩ খ্রিষ্টাব্দ – মৃত্যু ৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলীফা এবং প্রধান সাহাবীদের অন্যতম।হযরত আবু বকর রা.এর মৃত্যুর পর তিনি দ্বিতীয় খলীফা হিসেবে দায়িত্ব নেন। উমর ইসলামী আইনের একজন অভিজ্ঞ আইনজ্ঞ ছিলেন। ন্যায়ের পক্ষাবলম্বন করার কারণে তাকে আল-ফারুক (সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী) উপাধি দেওয়া হয়। আমীরুল মু’মিনীন উপাধিটি সর্বপ্রথম তার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। ইতিহাসে তাকে প্রথম উমর হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। নামের মিল থাকার কারণে পরবর্তী কালের উমাইয়া খলীফা ওমর ইবনে আবদুল আযীযকে দ্বিতীয় উমর হিসেবে সম্বোধন করা হয়। সাহাবীদের মর্যাদার ক্ষেত্রে সুন্নীদের কাছে আবু বকরের পর উমরের অবস্থান।শিয়া সম্প্রদায় উমরের এই অবস্থান স্বীকার করে না।


উমর ইবনুল খাত্তাব

রাশিদুন খিলাফতের ২য় খলিফা 

আমিরুল মুমিনিন

ফারুক

উমর ইবনুল খাত্তাব

পূর্ণ নাম

উমর ফারুক 

(আরবি: عمر بن الخطاب‎‎)

শাসনকাল

২৩ আগস্ট ৬৩৪ – ৩ নভেম্বর ৬৪৪

জন্ম

৫৮৩ খ্রিষ্টাব্দ

জন্মস্থান

মক্কা, আরব উপদ্বীপ

মৃত্যু

৩ নভেম্বর ৬৪৪ (২৬ জিলহজ ২৩ হিজরি)

মৃত্যুস্থান

মদিনা, রাশিদুন খিলাফত

দাফনস্থল

মসজিদে নববী, মদিনা

পূর্বসূরি

আবু বকর

উত্তরসূরি

উসমান ইবনে আফফান

পিতা

খাত্তাব ইবনে নুফায়েল

মা

হানতামাহ বিনতে হিশাম

ভাই

জায়েদ ইবনুল খাত্তাব

বোন

ফাতিমা বিনতে খাত্তাব

স্ত্রী

• জয়নব বিনতে মাজুন 

• কুরাইবা বিনতে আবি উমাইয়া আল মাখজুমি

• উম্মে হাকিম বিনতে হারিস ইবনে হিশাম

• উম্মে কুলসুম বিনতে আবু বকর[৩]

• আতিকা বিনতে জায়েদ ইবনে আমর ইবনে নুফায়েল

• লুহইয়াহ

• ফুকাইহা

পুত্র

• আবদুল্লাহ ইবনে উমর

• আবদুর রহমান ইবনে উমর

• উবাইদুল্লাহ ইবনে উমর

• জায়েদ ইবনে উমর

• আসিম ইবনে উমর

• ইয়াদ ইবনে উমর

• আবদুর রহমান ইবনে উমর

• জুবায়ের ইবনে বাক্কার (আবু শাহমা)

কন্যা

• হাফসা বিনতে উমর

• ফাতিমা বিনতে উমর

• জয়নব বিনতে উমর


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

হযরত উমর রাঃ ছিলেন মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা । তিনি ৫৮৩ খ্রিষ্টাব্দে কুরাইশ বংশের আদি গোত্রে জম্মগ্রহণ করেন । তাঁর ডাক নাম আবু হাফস, পিতার নাম খাত্তাব, মাতার নাম হানতামা । ইসলাম গ্রহণের পর পর তিন ফারুক(সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী) উপাধিতে ভূষিত হন । বাল্যকালে তিনি উট চরাতেন । যৌবনের শুরুতে যুদ্ধবিদ্যা, কুস্তি, বক্তৃতা ও বংশ তালিকা সম্পর্কে পারদর্শী ছিলেন । হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর নযুয়তপ্রাপ্তির সময় কুরাইশ বংশে ১৭ জন ব্যক্তি লেখাপড়া জানতেন, তিনি তাঁদের মধ্যে অন্যতম ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ