খুবই আশ্চর্যের বিষয় যে মীনা কার্টুনের সবার নাম, উচ্চারণ, ঘটনাপ্রবাহ দেখে মীনা কার্টুনকে বাংলাদেশের সৃষ্টি বলেই মনে করতাম। কিন্তু সম্প্রতি জানতে পারলাম মীনা কার্টুনের স্রষ্টা ভারতীয়। তাহলে কি মীনা কার্টুন ভারতীয়? নাকি ভারতের কার্টুনিস্ট ইউনিসেফের হয়ে বাংলাদেশের কার্টুন নির্মাণে কাজ করেছেন?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

১৯৯০-এর দশকে উপমহাদেশের মেয়েদের অধিকার সুংসহত করার লক্ষ্যে মীনা কার্টুন প্রচারের উদ্যোগ নেয় ইউনিসেফ। সে সময় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি মুখাবয়ব সৃষ্টির জন্য তাঁরা দ্বারস্থ হন রাম মোহনের কাছে। পরে তাঁর রং- তুলিতেই ফুটে ওঠে মীনা কার্টুনের সবার পছন্দের রূপটি। ফিলিপাইনের ম্যানিলাতে অবস্থিত হান্না-বারবারা স্টুডিওতেও মীনার প্রথম দিককার বেশ কিছু পর্ব নির্মিত হয়। পরে ভারতের রাম মোহন স্টুডিওতে মীনার বাকি পর্বগুলো নির্মাণ করা হয়। সিরিজগুলো পরিচালনা করেছিলেন রাম মোহন নিজেই। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মেয়েশিশুদের যেসব সমস্যা রয়েছে, তার সুন্দর সমাধান এই কার্টুন সিরিজগুলোর মাধ্যমে অত্যন্ত সহজভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। (প্রথম আলো) এ থেকে বুঝা যায় ২০-২৫ বছর আগের ভারতীয় উপমহাদেশের মেয়েদের জীবন হলো মীনা কার্টুনের প্রেক্ষাপট। ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও উপমহাদেশের মেয়েদের অবস্থা তুলে ধরেছে এবং সেই কাহিনী রাম মোহন পরিচালনা করে মীনা কার্টুনে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই কার্টুন প্রথমে বাংলায় তৈরি করা হয়ে এবং পরবর্তীতে বাংলা ছাড়াও অনেক ভাষায় রূপান্তরিত হয়েছে। রাম মো ন শুধু কার্টুন পরিচালনা করেছেন আর ভাষা, বাচনভঙ্গি, প্রেক্ষাপট, কাহিনী এগুলো করেছে ইউনিসেফ। কারণ পরিচালক বাংলা জানতেন না। তিনি যদি নিচের স্টুডিওতে এই কার্টূন নির্মান করতেন তবে হিন্দিতেই করতেন। মীনা কার্টুনের নাম, উচ্চারণ, ঘটনাপ্রবাহের কৃতিত্ব ইউনিসেফের। তারাই এই কার্টূনের চরিত্র, ঘটনাপ্রবাহ, সবার নাম ঠিক করেছে। এজন্য আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশের কার্টুন মনে হয়। তবে এটি আন্তর্জাতিক কার্টুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

১৯৯০-এর দশকে উপমহাদেশের মেয়েদের অধিকার সুংসহত করার লক্ষ্যে মীনা কার্টুন প্রচারের উদ্যোগ নেয় ইউনিসেফ। সে সময় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি মুখাবয়ব সৃষ্টির জন্য তাঁরা দ্বারস্থ হন রাম মোহনের কাছে। পরে তাঁর রং- তুলিতেই ফুটে ওঠে মীনা কার্টুনের সবার পছন্দের রূপটি। ফিলিপাইনের ম্যানিলাতে অবস্থিত হান্না-বারবারা স্টুডিওতেও মীনার প্রথম দিককার বেশ কিছু পর্ব নির্মিত হয়। পরে ভারতের রাম মোহন স্টুডিওতে মীনার বাকি পর্বগুলো নির্মাণ করা হয়। সিরিজগুলো পরিচালনা করেছিলেন রাম মোহন নিজেই। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মেয়েশিশুদের যেসব সমস্যা রয়েছে, তার সুন্দর সমাধান এই কার্টুন সিরিজগুলোর মাধ্যমে অত্যন্ত সহজভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। (প্রথম আলো) এ থেকে বুঝা যায় ২০-২৫ বছর আগের ভারতীয় উপমহাদেশের মেয়েদের জীবন হলো মীনা কার্টুনের প্রেক্ষাপট। ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও উপমহাদেশের মেয়েদের অবস্থা তুলে ধরেছে এবং সেই কাহিনী রাম মোহন পরিচালনা করে মীনা কার্টুনে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই কার্টুন প্রথমে বাংলায় তৈরি করা হয়ে এবং পরবর্তীতে বাংলা ছাড়াও অনেক ভাষায় রূপান্তরিত হয়েছে। রাম মো ন শুধু কার্টুন পরিচালনা করেছেন আর ভাষা, বাচনভঙ্গি, প্রেক্ষাপট, কাহিনী এগুলো করেছে ইউনিসেফ। কারণ পরিচালক বাংলা জানতেন না। তিনি যদি নিচের স্টুডিওতে এই কার্টূন নির্মান করতেন তবে হিন্দিতেই করতেন। মীনা কার্টুনের নাম, উচ্চারণ, ঘটনাপ্রবাহের কৃতিত্ব ইউনিসেফের। তারাই এই কার্টূনের চরিত্র, ঘটনাপ্রবাহ, সবার নাম ঠিক করেছে। এজন্য আপাতদৃষ্টিতে বাংলাদেশের কার্টুন মনে হয়। তবে এটি আন্তর্জাতিক কার্টুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ