শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ইবাদত কবূল হওয়ার শর্ত দু'টিঃ    ১. ইবাদত একমাত্র আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্য হওয়া। মহান আল্লাহ বলেন, ﴿وَمَآ أُمِرُوٓاْ إِلَّا لِيَعۡبُدُواْ ٱللَّهَ مُخۡلِصِينَ لَهُ ٱلدِّينَ حُنَفَآءَ﴾ [البينة: ٥]     “তাদেরকে কেবলমাত্র এই নির্দেশ করা হয়েছে যে, তারা খাঁটি বিশ্বাসের সাথে এবং একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ্‌র ইবাদত করবে” (বাইয়্যেনাহ ৫)।    ২. ইবাদত রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত পদ্ধতিতে হওয়া। মহান আল্লাহ বলেন, ﴿قُلۡ إِن كُنتُمۡ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِي يُحۡبِبۡكُمُ ٱللَّهُ﴾ [ال عمران: ٣١]     “বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, তাহলে আল্লাহও তোমাদেরকে ভালবাসবেন” (আলে ইমরান ৩১)। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «مَنْ عَمِلَ عَمَلًا لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ» “যে ব্যক্তি আমাদের নির্দেশের বাইরে কোনো আমল করলো, তার সেই আমল প্রত্যাখ্যাত” (মুসলিম)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call

ইবাদাত কবূলের শর্ত ৪টি, যথাঃ
(১) ঈমান থাকাঃ অর্থাৎ কাফির ও মুশরিক থাকা অবস’ায় কোন ইবাদাত আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এমনকি মুসলমানদের মধ্যে যারা ঈমানের প্রতি সন্দেহ পোষণ করবে তাদেরও কোন ভাল কাজ ইবাদাত হিসেবে গৃহীত হবে না।

(২) ইখলাসঃ অর্থাৎ মুমিন ব্যক্তির প্রতিটি ভাল কাজ শুধুমাত্র আল্লাহ তা‘আলাকে খুশী করার জন্য করতে হবে। অন্য কোন স্বার্থে তা করলে ইবাদাতের কাজটিও ইবাদাত হিসেবে গণ্য হবে না। এমনকি কেউ যদি নিয়ত করে, আল্লাহও খুশী হবেন সাথে সাথে দুনিয়াবী একটি স্বার্থও হাসিল হবে, এ দুই নিয়ত একত্র করলে এটা ইবাদাত হিসেবে কবূল হবে না। সকল প্রকার ইবাদাত ও ভাল কাজ একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাকে খুশী করার নিয়তে করতে হবে। এটাকেই বলা হয় ইখলাস।

৩। সুন্নাত তরীকাঃ জীবনের সকল কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত তরীকায় করতে হবে। তবেই এটা ইবাদাত বলে গণ্য হবে, নতুবা নয়। বিশুদ্ধ দলীল ছাড়া বা মনগড়া কিছুই করা যাবে না। পূর্ব থেকে চলে আসছে, রেওয়াজ আছে অথচ এর পক্ষে সহীহ শুদ্ধ দলীল নেই এমন কিছুই করা যাবে না। করলে তা ইবাদাত হিসেবে গণ্য হবে না। সাওয়াবতো হবেই না। টয়লেট ব্যবহার থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যন- আপনি যে কাজটাই নবীজির সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত তরীকায় করবেন সেটাই ইবাদাত হয়ে যাবে এবং পরকালে এর সাওয়াব পাবেন।

৪। শির্কমুক্ত থাকাঃ সর্বাবস্থায় আপনাকে শির্কমুক্ত থাকতে হবে। কারণ শির্ক করলে ইবাদাত বাতিল হয়ে যায়। (সূরা যুমার- ৬৫) যে মুসলমান শির্ক করবে বেহেশত চিরকালের তরে তার জন্য হারাম হয়ে যায়। (সূরা মায়েদা- ৭২, সূরা হজ্জ- ৩১, সূরা নিসা- ৪৮, সূরা ইউসুফ- ১০৬।
যেসব কাজ করলে বড় শির্ক হয় এর কিছু দৃষ্টান্ত নীচে দেয়া হল।
কবরে মৃত ব্যক্তির কাছে সাহায্য চাওয়া, বিপদ মুক্তি কামনা বা সন্তান চাওয়া। মাযারে বা কোন মানুষকে সেজদা করা। আল্লাহর নির্দেশের বিপরীতে মানুষের নির্দেশ মান্য করা। পীরের উপর ভরসা করা, গণকের কথায় বিশ্বাস করা। আলিমুল গায়েব হলেন একমাত্র আল্লাহ, কোন পীর গায়েব জানে বলে বিশ্বাস করা, যাদু করা, তাবীজ পরা ইত্যাদি। এগুলো ছাড়া আরো অনেক বড় শির্ক আছে। আর ছোট শির্কতো আছেই। এগুলো সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে। তাওবাহ করে পাকসাফ হতে হবে।
উপরে বর্ণিত ৪টি শর্তের একটি শর্তও যদি বাদ পড়ে যায় তাহলে বান্দার ইবাদাত বাতিল হয়ে যাবে। যত লক্ষ টাকাই হজ্জে খরচ করা হোক না কেন এর কোন সাওয়াব পাওয়া যাবে না। এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি মানুষের কাছে পৌছিয়ে দেয়া আমাদের সকলের উপর অবশ্য কর্তব্য।


তথ্যসুত্রঃ কুরআনের জ্যোতি

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ইবাদতের শর্ত হচ্ছে তিনটি। (১) ‘সিদকুল আযীমাহ’ তথা ইবাদত করার সুদৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করা। আর এটি হচ্ছে ইবাদতের অস্তিত্বের শর্ত। (২) নিয়ত বিশুদ্ধ হওয়া। (৩) আল্লাহ তাআলা যে শরীয়ত (দ্বীন) অনুযায়ী ইবাদত করতে বলেছেন, ইবাদতটি সেই শরীয়ত অনুযায়ী হওয়া। শেষ দু’টি হচ্ছে এবাদত কবুল হওয়ার শর্ত। অর্থাৎ ইবাদত কবুল হওয়ার শর্ত দুইটি (তথ্যসুত্রঃ হাদিসবিডি ডট কম)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ