আপনি ভালো ব্যান্ডের মুখ ফর্সা করার ক্রিম বাজার থেকে কিনে এনে ব্যবহার করতে পারেন...আশাকরি উপকার পাবেন তবে মনে রাখবেন কোনো ক্রিম বা অন্য কোনো কৌশলে আপনি যদি মুখ ফর্সা করতে চান তবে তা হবে সাময়িকের জন্য... আর রং ফর্সা কারী সকল প্রাডাক্ট য়েই ভিবিন্ন রকম ক্ষতিকারক পদার্থ বিদ্যমান যা মানুষের মুখের জন্য অনেক ক্ষতিকর..
দেখুন,আপনি বিভিন্ন কিছু ক্রিম ব্যবহার করে কিংবা অন্য উপায়ে ফর্সা হতে পারবেননা। ক্রিম, পাউডারের মধ্যে আছে অনেক ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য।যা অল্প সময়ের জন্য আপনার রূপের পরিবর্তন আনবে।কিন্ত এগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেবে।এমনকি প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করেও ত্বক ফর্সা করা যাবেনা।তবে,প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে এবং আপনার ত্বকের কোন ক্ষতিও হবে না।
প্রাকৃতিক কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করুন,এতে ফর্সা না হলেও ভালো ফল পাওয়া যাবে:
মানুষ সুন্দরের পুজারী।তাই সর্বদা সুন্দর থাকা বা হওয়ার চেষ্টা আমরা করি।প্রত্যেক মানুষ তার স্থানে সে সুন্দর। বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ ফর্সা হতে চায়। বাজারে কিনতে পাওয়া বিভিন্ন ক্রিম মেখে তাই ফর্সাও হয়। কিন্তু সেটা আমাদের জন্য যে কতটা ক্ষতিকর তা আমরা ভাবতেও পারি না। আমাদের শরীরটা কালো নাকি ফর্সা নাকি শ্যামলা সেটা শরীরে থাকা কোষের কারণে হয়।আমাদের শরীরে কোলাজেন নামক এক ধরনের কোষ আছে।কোলাজেন ত্বক ফর্সা ও মসৃণ রাখে। যখন এই কোষ কমতে থাকে তখন ত্বক তার সৌন্দর্য হারায়।আর যখন এই কোষ পর্যাপ্ত পরিমানে থাকে তখন ত্বক ফর্সা মসৃণ থাকে। তাই ফর্সা হতে চাইলে আগে কোলাজেন এর কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তাহলে শুধু মুখই না সারা শরীর ফর্সা হবে।তাও কোন ক্ষতি ছাড়াই । নিজেকে সুন্দর ফর্সা করতে হলে নিম্নের কাজ গুলো করতে হবে। ১. পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ত্বকের কোষ ভারসাম্যহীন হয়ে যায়।ও ত্বকে রাত জাগার ছাপ পড়ে, খুব দ্রুত ত্বক তার সৌন্দর্য হারায় ।তাই ঘুমাতে হবে পর্যাপ্ত পরিমানে। ২. সিগারেট ও মাদক সেবন থেকে দুরে থাকতে হবে।সিগারেট এ রয়েছে নিকোটিন যা কোলাজেন কোষ এর ক্ষতি করে। ৩. নিয়মিত ও পর্যাপ্ত শরীর চর্চা করতে হবে। নিয়মিত শরীর চর্চা করলে প্রচুর ঘাম বের হবে, আর ঘামের সাথে বের হয় বর্জ্য। যার ফলে শরীরের কোষ গুলোর ভারসাম্য ঠিক থাকে। এবং ত্বক সুন্দর রাখে। ৪. নিয়মিত ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। যেসব খাবার এ কোলাজেন থাকে সে গুলো বেশি খেতে হবে। যেমন- ডিম, দুধ, টক দই,কলা, আপেল, টমেটো ইত্যাদি। ৫. ত্বক ফর্সা করতে প্রসাধনীর ব্যবহার ও করতে পারেন। তবে সেটা হতে হবে উপযুক্ত ও নির্দিষ্ট পরিমানে। এজন্য ব্যবহার করতে হবে -পেপটাইট,ভিটামিন এ ও সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, আলফা ও বিটা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড ইত্যাদি যেগুলো কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে।