Call

রমি বা শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব। এটা সুন্নাত নয়। হজের প্রধান অংশ ও দোয়া আদায়ের স্থান হিসেবে পরিচিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর বিদায় ভাষণের স্মৃতিবিজড়িত আরাফাতের প্রান্তরে অবস্থান করেন হাজিরা। সারা দিন আরাফাতের ময়দানে দোয়া-দরুদ ও জিকিরে ব্যস্ত থাকার পরে হাজিরা আরাফাত থেকে মুজদালিফায় যান। রাতে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করে ইবাদত-জিকির করে সময় কাটান। এরপরে শয়তানকে মারার জন্য সেখান থেকে প্রত্যেক হাজি ছোট আকারের ২১টি পাথর সংগ্রহ করেন। মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায়ের পর হাজিরা কেউ হেঁটে, কেউ বাসে বা ট্রাকে চড়ে মিনায় ফেরেন। মিনায় পৌঁছে আল্লাহর মেহমানেরা বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করেন। এ ছাড়া তাঁরা কোরবানি করে, মাথার চুল ছোট করে অথবা একেবারে ফেলে দিয়ে এহরাম মুক্ত হন। মিনায় আরও দুদিন অবস্থান করে হাজিরা পর্যায়ক্রমে ছোট, মাঝারি ও বড় শয়তানকে তিনদফায় ৭টি করে পাথর মারেন। এভাবেই হজের সময় শয়তানকে পাথর মারার প্রথা চলে আসছে। পবিত্র হাদিস শরীফে এ আমলের বিভিন্ন ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। পাথর নিক্ষেপের সওয়াব আখেরাতের জন্য সঞ্চিত থাকবে মর্মে ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, আর তোমার পাথর নিক্ষেপ, তা তো তোমার জন্য সঞ্চিত করে রাখা হয়। (মুজাম কাবির : ১৩৩৯০)। আরেক হাদিসের সূত্রমতে নিক্ষিপ্ত প্রতিটি পাথর একেকটা গোনাহে কাবিরা মোচন করবে। 'আর জামরায় তোমার পাথর নিক্ষেপ, এতে তোমার নিক্ষিপ্ত প্রতিটি পাথরের বিনিময়ে এক একটা ধ্বংসকারী কবিরা গোনাহ মোচন করা হবে। (সহিহুত-তারগিব ওয়াত-তারহিব : ১১১২)। সূর্যোদয়ের সময় থেকে কঙ্কর নিক্ষেপের সময় আরম্ভ হয়। কিন্তু সুন্নত হচ্ছে, সূর্য ওঠার কিছু সময় পর দিনের আলোতে বড় জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ করা। জাবের (রাঃ) বলেন, কোরবানির দিবসের প্রথমভাগে (সূর্য ওঠার কিছু পর) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর উটের পিঠে জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ করেছেন। (আবু দাউদ : ২/১৪৭)। সূর্য হেলে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এ-সুন্নত সময় থাকে। সূর্য হেলে যাওয়া থেকে শুরু করে ১১ তারিখের সুবহে সাদেকের পূর্ব পর্যন্ত কঙ্কর নিক্ষেপ জায়েজ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ