মূলত চামড়ার ওপরের স্তরে স্বাভাবিক ত্বকের রঙের থেকে খানিকটা হালকা আঁচড়ের মতো দাগ পড়লেই বলা হয় ত্বক ফেটে গেছে। চামড়ায় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি টান পড়লে এ ধরনের দাগ সৃষ্টি হয়। ইংরেজিতে একে বলে স্ট্রেচ মার্ক। দেখতে খারাপ দেখায় বলে অনেকে এ রোগে বিষণ্নতায় ভোগে।

কেন ত্বক ফেটে যায় : ওজনাধিক্য ও গর্ভধারণের কারণে অনেক সময় তলপেটে সাদাটে বা লালচে ফাটা ফাটা দাগ পড়ে। গর্ভধারণের শেষ সময়ে পেটের চামড়া পাতলা হয়ে যাওয়ার কারণে এমনটা হয়ে থাকে।

হঠাৎ করে ওজন বেড়ে গেলে বা হঠাৎ করে লম্বা হওয়ার কারণে এ ধরনের দাগ তৈরি হতে পারে। পরবর্তীতে ওজন কমিয়ে ফেললেও দাগ থেকে যেতে পারে। প্রথমে হালকা লালচে ও বেগুনি দাগ পড়ে হালকা সাদাটে হয়ে ফাটা দাগ সৃষ্টি হয়। হরমোনের পরিবর্তন, বয়ঃসন্ধিকাল, হরমোন থেরাপি, স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধ ইত্যাদি কারণে শরীরে ফাটা দাগ পড়তে পারে। অনেক ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও এ সমস্যা হতে পারে।

গর্ভবতী নারীর পেট, নিতম্ব, স্তন, ঊরু ও হাতের ওপরের অংশে এমন দাগ হতে পারে। কৈশোরে সাধারণত ঊরু এবং কোমরের পেছনের অংশে দাগ হয়। ফাটা দাগে ব্যথা বা চুলকানি থাকে না।

চিকিৎসা : চর্ম রোগবিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো বিভিন্ন ধরনের মলম লাগানো যায়। লেজারের মাধ্যমেও এর চিকিৎসা করা যায়। হরমোন-জনিত সমস্যা থাকলে সেটি নির্ণয় করে চিকিৎসা করতে হবে।

ডা. তুষার সিকদার, সহকারী অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ। ফোন : ০১৮১৬৮৫৭৪৬২

শরীরে ফাটা দাগ বা স্ট্রেচ মার্ক এর সমস্যায় অনেকেই ভোগে থাকেন । আমাদের শরীরের ত্বকে বিভিন্ন অংশে এই ফাটা দাগগুলো দেখা যায়। চামড়ার উপরের স্বাভাবিক ত্বকের রংয়ের থেকে খানিকটা হালকা আঁচড়ের মতো দাগ পড়াকে শরীরের ফাটা দাগ বা স্ট্রেচ মার্ক বলে । চামড়া স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি টান পড়লে এ ধরনের দাগ সৃষ্টি হয়। শরীরের আয়তন যখন বেড়ে যায়, ত্বক তখন স্ট্রেচ করে বাড়তি আয়তনকে ঢাকতে । স্ট্রেচ মার্ক শরীরের বিভিন্ন অংশে হয়ে থাকে যেমন : পেটে ,পায়ের রানে ,কোমর, হাত , ঘাড়, হাটুর উরুতে ইত্যাদি ।


চলুন জেনে নেওয়া যাক শরীরের স্ট্রেচ মার্ক কেন হয় এবং এর সমাধাণ কি ।


১। সাধারণত শরীরের অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে শরীরে ফাটা দাগ বা স্ট্রেচ মার্ক হয়ে থাকে ।


২। হঠাৎ করে লম্বা হওয়ার কারণে এ ধরনের দাগ তৈরি হতে পারে।


৩। গর্ভ পরবর্তী সময়ে নারীদের তলপেটে চামড়ার টানজনিত কারণে এই ধরনের দাগ হয়ে থাকে।


৪। হরমোনের পরিবর্তন এর ফলে ফাটা দাগ বা স্ট্রেচ মার্ক হয় ।


৫। বয়ঃসন্ধিকালে শরীরে ফাটা দাগ হয়ে থাকে ।


ফাটা দাগ দূর করার উপায় :


১। কোনো লোশন, ক্রিম বা তেল ব্যবহারের মাধ্যমে এই ফাটা দাগ থেকে পুরোপুরি ঠিক করা সম্ভব না । তবে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের যে কোনো ফাটা সমস্যারই মূল কারণই হল শুষ্কতা। আর্দ্রতার অভাবে ত্বক ফাটতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রেও ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্য ধরে রাখতে হবে।


২। এলভেরা ফাটা দাগে চমৎকার কাজ করে । এলভেরা প্রতিদিন শরীরের ফাটা স্থানে ১০ মিনিট মাসাজ করুন । এতে ফাটা দাগ দূর হয়ে যাবে ।


৩। ফাটা দাগ দূর করার বিশেষ ক্রিম ব্যবহার করতে হবে ।এতে দ্রুত ফাটা দাগ দূর হয়ে যাবে । মেটারনিয়া এন্টি স্ট্রেচ মার্কস খূভ ভাল ও কার্যকরী ক্রিম ফাটা দাগের জন্য ।


৪। প্রচুর পানি পান করতে হবে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সারা বছরই ব্যবহার করতে হবে ময়েশ্চারাইজার।


৫। ওজন বেড়ে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। পুষ্টিকর খাবার, প্রচুর সবজি ও ফল খেতে হবে নিয়মিত। সুস্থ ত্বকের জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আর তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলাও জরুরি।


৬। এপ্রিকট ফলের বিচি ফেলে দিয়ে এর পেস্ট বানিয়ে দাগের উপর ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন প্রতিদিন ২ বার।


৭ । চিনি, লেবুর রস ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে তা প্রতিদিন ফাটা দাগের উপর ৫-১০ মিনিট ম্যাসেজ করুন।


৮। প্রতিদিন ৩ বার ফাটা স্থানের উপর ডিমের সাদা অংশ ৫-১০ মিনিটের জন্য ম্যাসেজ করুন। এতে বেশ উপকার পাওয়া যাবে।


৯। লেবুর একটি টুকরা নিয়ে দাগের উপর ১৫ মিনিট ধরে ম্যাসেজ করুন। এতে বেশ উপকার পাওয়া যাবে।


১০। এর পাশাপাশি কিছু চিকিৎসা করতে হবে ।


স্ট্রেচ মার্ক দূর করার অত্যাধুনিক চিকিৎসা ও এর বিশেষ কার্যকরী বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস পাওয়া যায়।


তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ