সর্বশেষ কিয়ামতের দিন বান্দার সারা জীবনের আমল মহান আল্লাহর দরবারে পেশ করা হবে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আর মানুষের আমলনামা উপস্থিত করা হবে। তাতে যা লিপিবদ্ধ আছে, তার কারণে তুমি অপরাধীদের ভীতসন্ত্রস্ত দেখবে। তারা বলবে, হায় আফসোস, এ কেমন আমলনামা! এটা তো ছোট-বড় কোনো কিছুই বাদ দেয়নি, সবই এর মধ্যে আছে। তারা তাদের কৃতকর্ম সামনে উপস্থিত পাবে। আপনার রব কারো ওপর জুলুম করেন না। (সুরা কাহফ, আয়াতঃ ৪৯) দুনিয়ার বুকে তারা যা যা করেছিল তা সবই লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। সে সব লিখিত গ্রন্থগুলো সেখানে তারা দেখতে পাবে। তাদের কারও আমলনামা ডান হাতে আবার কারও বাম হাতে দেয়া হবে। তারা সেখানে এটাও দেখবে যে, সেখানে ছোট-বড়, গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বহীন সবকিছুই লিখে রাখা হয়েছে। অন্যত্র মহান আল্লাহ তাদের আমলনামা সম্পর্কে বলেন, প্রত্যেক মানুষের কাজ আমি তার গ্ৰীবালগ্ন করেছি এবং কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য বের করব এক কিতাব, যা সে পাবে উন্মুক্ত। তুমি তোমার কিতাব পাঠ কর, আজ তুমি নিজেই তোমার হিসেব-নিকেশের জন্য যথেষ্ঠ। (সূরা আল-ইসরাঃ ১৩) অর্থাৎ হাশরবাসীরা তাদের কৃতকর্মকে উপস্থিত পাবে। অন্যান্য আয়াতে আরো স্পষ্ট ভাষায় তা বর্ণিত হয়েছে। বলা হয়েছে, যে দিন প্রত্যেকে সে যা ভাল কাজ করেছে এবং সে যা মন্দ কাজ করেছে তা বিদ্যমান পাবে, সেদিন সে তার ও ওটার মধ্যে ব্যবধান কামনা করবে। আল্লাহ তার নিজের সম্বন্ধে তোমাদেরকে সাবধান করতেছেন। আল্লাহ বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত দয়াদ্র। (সূরা আলে-ইমরান: ৩০) তবে কোন পাপ কাজ যদি দুনিয়ায় তাওবা ইস্তেগফার করে মাফ নেওয়া যায়। আর নেক আমল করে পাপকে পুন্যতে পরিবর্তন করে নেওয়া যায় তাহলে আখিরাতে ওই পাপ সবার সামনে এনে আবার অপমানিত, লাঞ্চিত করানো হবে না।