আমি যতদূর জানি, পড়া যাবে। তবে আরবী নাই বলে ওযু ছাড়া পড়বেন, এটি যায়েজ নাই। আরবীর জন্য ওযু করতে হবে এটি মোটেও ঠিক নয়। আরবী একটি ভাষা মাত্র। সৌদি আরব সহ মধ্য প্রাচ্যের অনেক দেশের মাতৃভাষা আরবী। তার মানে এইনা যে তাহারা সর্বদাই ওযু থাকে। তাদের বই পত্র, ছেড়া কাগজ আরবী হলেও ড্রেনে ফেলে দেয় কিন্তু। ভাষার জন্য ওযু নয়। ওযু হচ্ছে পবিত্র কালাম বা বানীর জন্য। আর কোরআন পবিত্র বলে তা ওযু ছাড়া পড়া নিষেধ। এছাড়া আরবীকে বাংলায় লিখে তা পড়াও ঠিক না। কিন্তু অনুবাদ পড়া যাবে।
বাংলায় কোরআন পড়া জায়েয নেই। কেননা, যে আরবী উচ্চারণে যে অর্থ প্রকাশ পাবার কথা, সেটা বাংলায় উচ্চারণ করলে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়। আরবীর উচ্চারণও সঠিক হওয়া জরুরী। যা বাংলায় কোন ক্রমেই সঠিক হবে না। আপনি যে আলেমকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তিনি এটাই বলছেন বাংলা অনুবাদ করা কোরআন পড়া জায়েজ নেই!!! উদাহরণ একঃ ক্বুল হুয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুস সামাদ। লাম ইয়ালিদ, ওয়ালাম ইউলাদ। ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ। এভাবে বাংলায় লিখে পড়া জায়েয নেই। উদাহরণ দুইঃ বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই। এভাবে বাংলায় অর্থ পড়া জায়েয। এই বাংলা অনুবাদ করা কোরআন যাতে কোনো আরবি নেই বা কোরআনে স্পর্শ করে পড়া নয় এক্ষেত্রে অজু ছাড়া পড়া যাবে। উদাহরণ তিনঃ ﻗُﻞْ ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﺣَﺪٌ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟﺼَّﻤَﺪ ﻟَﻢْ ﻳَﻠِﺪْ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﻮﻟَﺪْ ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦ ﻟَّﻪُ ﻛُﻔُﻮًﺍ ﺃَﺣَﺪ এভাবে কোরআন পড়তে হলে অজু করতে হবে। কুরআন স্পর্শ করা ও পড়ার জন্য কিছু বিশেষ আদবের প্রয়োজন আছে। সাধারনভাবে আমরা জানি যে অজু ছাড়া কুরআন শরিফ স্পর্শ করা যায় না।