অন অবস্থায় সর্বদায় মোবাইলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মধ্য দিয়ে ব্যাটারি থেকে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হচ্ছে। যন্ত্রগুলোর মধ্যে বিভিন্ন মাত্রার বিভিন্ন রোধ থাকায় বিদ্যুৎ চলতে বাধা পেয়ে তাপের সৃষ্টি করে (রোধের সূত্র)। এছাড়া চলমান বিদ্যুৎ সরু পরিবাহককে তাপের সৃষ্টি করে। কিন্তু এই তাপ সাধারন ভাবে কম হওয়া বোঝা যায়না। কিন্তু যদি কোন কারনে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তবে প্রচুর তাপের সৃষ্টি করে, যেমন চার্জের সময়। আবার যখন আপনি ফোন ব্যবহার করছেন তখন প্রতিটি ফাংশন নির্বাহ করতে তার সাথে জড়িত সকল হার্ডওয়ারে বিদ্যুৎ প্রবাহ ঘটে ফলে গরম হয়। আবার নেটওয়ার্ক সিগনাল দুর্বল হলে ফোনের এম্পলিফায়ার রিলে তা থেকে সিগনাল গ্রহন করতে প্রচুর এম্পলিফাই করার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ফলে গরম হয়। নেটওয়ার্ক যতই স্ট্রং ততই গরম কম হবে। কারন স্বল্প বিদ্যুতে ভালভাবেই সিগনাল গ্রহন করতে পারে। কাজেই নেটওয়ার্ক এর সাথে জড়িত কাজ করলে গরম হয়। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে বেশি ব্যাকগ্রাউন্ড এপস এক্টিভিটি থাকলেও ইউজার ব্যতিত এপস কাজ করে বলে ফোন গরম হয়।
সবসময় খেয়াল রাখবেন যে ফোনে যেন চার্জ থাকে। একসাথে বেশি অ্যাপস চালু করে রাখবেন না। ফোনের অতিরিক্ত অ্যাপস ব্যাকগ্রাউন্ডে বেশি জায়গা নিয়ে নিচ্ছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখুন। স্মার্টফোন বেশি ব্যবহার করলে বা ফোনে অতিরিক্ত গেমস খেললে গরম হয় এটা একেবারেই ঠিক নয়।
র্যাম ও ক্যাশ মেমোরি সবসময় পরিস্কার রাখুন। অপ্রয়োজনীয় ম্যাসেজ ডিলিট করুন। ফোনে কোন অ্যানিমিশন চালু থাকলে বন্ধ করুন। ফোনে এমন কভার ব্যবহার করুন যেন কভারটি চামরার হয়। বাহিরের তাপে যেন ফোন গরম না হয়ে যায় সেই দিকে খেয়াল রাখুন।
সবসময় ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। পাশাপাশি, সবসময় ডেটা চালু করে রাখা উচিত নয়।