আমি একজন কে ভালবাসি। আমরা পাপ করতে চাই না। তাই বাবা মায়ের আড়ালে বিয়ে করতে চাচ্ছি। কিন্তু বাবা মা কে না জানিয়ে বিয়ে করলে নাকি বিয়ে টাই হবে না। এখন কি করবো আমাদের পরিবার এখন বিয়ে দিবে নাহ 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Call

আপনার বিয়ে করাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয় যতটা আপনার বাবা-মা।তাই অপেক্ষা করুন, ভাবুন যে বাবা মা কেন রাজি নয়, সেটা সমাধান করুন।  

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMMOBAROKBD

Call

সীমাহীন কষ্ট ও অবর্ণনীয় যাতনা সহ্য করে মা সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেন। মৃত্যু যন্ত্রণা পার হয়ে যখন সন্তান ভূমিষ্ট হয় তখন এ নবজাতককে ঘিরে মায়ের সব প্রত্যশা উঁকি মারতে থাকে। মা পরম আদর আর সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে সন্তানকে ঘিরে রাখে সারাক্ষণ।

আর পিতা? তিনি সন্তানের আহার জুটাতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলেন। সহ্য করেন নানা ধরনের কষ্ট এবং ক্লেশ। দুনিয়ার প্রতিটি বাবা সন্তানের নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য যে কোনো ধরণের বিপদের সম্মুখীন হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন। আর এসব কারণে আমাদের অস্তিত্বের প্রতিটি ধাপ, পদক্ষেপ পিতা-মাতার নিকট ঋণী। 

আর এসব কারণেই আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে কারিমে তার ইবাদতের পরই পিতা-মাতার প্রতি সদাচারণ করার কথা বলেছেন বার বার। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হচ্ছে, ‘তোমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না এবং পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করবে; তাদের একজন অথবা উভয়ে উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলেও আদেরকে বিরক্তিসূচক কিছু বলো না। এবং তাদেরকে ভর্র্ৎসনা করো না; তাদের সাথে কথা বলো সম্মানসূচক নম্র কথা।’ -সূরা বনি ইসরাঈল : ২৩

পবিত্র কোরআনের অন্যত্র আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘আমার কৃতজ্ঞতা এবং তোমার পিতা-মাতার কৃতজ্ঞতা আদায় কর।’ -সূরা লোকমান : ১৪

এ সব আয়াতের ব্যাখ্যায় আলেমরা বলেছেন, কেউ যদি শুধু আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করে কিন্তু পিতা-মাতার কৃতজ্ঞতা আদায় না করে- তবে তা আল্লাহর নিকট প্রত্যাখ্যাত। 

হাদিসে বলা হয়েছে, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তানের প্রতি আল্লাহতায়ালা কিয়ামতের দিন তাকাবেন না। আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

সুতরাং -কোরান হাদিসের এসব আলোচনা থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে,পিতা-মাতার অবাধ্যতা মারাত্মক ধরনের কবিরাহ গোনাহ!

প্রিয় ভাই!!প্রশ্নমতে আপনি চান যে গোনাহ থেকে বিরত থাকতে,এখন কথা হলো-পিতা-মাতার অবাধ্যতা এটাও একটা বড় ধরনের কবিরাহ গোনাহ! অন্যদিকে বিবাহপূর্ব অবৈধ প্রেম-ভালোবাসাও কবিরাহ গোনাহ! 

আপনি যদি গোনাহ থেকে বিরত থাকতে চান তবে....আপনার উচিত সমস্ত ধরনের গোনাহ থেকে বিরত থাকা! 

এখন-আপনার বিষয়টার সমাধান দেওয়ার আগে জানতে হয় এ ব্যাপারে  আপনার অবস্থা!!

কথামতো-আপনি এখনো প্রেম করছেন,বিয়ের কথা ভাবছেন কিন্তু বিয়ে করেন নি!

এঅবস্থায় আপনি প্রেমের ক্ষেত্রে কতটুকু সিরিয়াস বা কোন অবস্থায় আছেন তা দেখতে হয়।

এক-যদি আল্লাহর ভয়,পিতা-মাতার চিন্তা,গোনাহের ভয় সবকিছু আপনাকে এ প্রেম থেকে বিরত রাখতে পারে তবে আপনার জন্য এটিই সবছেয়ে উত্তম!আপনি আপনার প্রতিপালক ও মা-বাবার কথা ভেবে নিজেকে এ গর্হিত কাজ থেকে ফিরিয়ে আনুন!

দুই-যদি আপনি বুঝতে পারেন যে,কোন ভাবেই আপনি এ প্রেম থেকে পিছপা হতে পারছেন না কিংবা এতটা সিরিয়াস আপনার অবস্থা! তবে... বিকল্প পথ।বিকল্প হলো, প্রথমে মা-বাবার সম্মতিতে এটাকে বৈধতার রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা!সেটা যেভাবেই হওক,নিজে বুঝিয়ে অথবা অন্য কারো সাহায্য নিয়ে৷ 

শেষ পর্যন্ত আপনি যদি ব্যার্থ হোন,তবে....আপনি চাইলে বিবাহ করে নিতে পারেন,বৈধভাবে ও সহিহ তরিকায়৷ 

এঅবস্থায় আপনার বিবাহ হয়ে যাবে।

হুজুর পাক সাঃ এর যে হাদিস দ্বারা মা-বাবার অসম্মতিতে বিবাহ বাতেল বলা হয়, তা মুলত মা-বাবার মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রাখার ইংগিত ও এ অসামাজিক কাজ না করার হুশিয়ারি৷ 

শেষ পর্যন্ত আপনি করেই ফেললে বিবাহ হয়ে যাবে। তবে বিবাহের সমস্ত শর্ত পাওয়া যেতে হবে৷ 

ধন্যবাদ!! ভালো থাকবেন,পারলে কোন অবস্থায় মা-বাবার অবাধ্য না হওয়ার চেষ্টা করুন৷ 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ইসলামের দৃষ্টিতে বাবা -মায়ের বা অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করা বৈধ নয় তথা নাজায়েজ। আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, অভিভাবক ব্যতীত বিয়ে সম্পন্ন হতে পারে না। [তিরমিযি হা: ১১০১ সহীহ, ইরওয়া’আল-গালীল (১৮৯৩)] আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যে কোন মহিলা তার ওলীর অনুমতি ব্যতিরেকে বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল। [তিরমিযি ১১০২ নং হাদীস, সহীহ ইরওয়া’আল-গালীল (১৮৪০)] পাপ কাজ না করাই জন্যেই বিয়ে করবেন এখন যদি বিয়েটাই না হয়? তাহলেত আপনারা যে যতবার সহবাস করবেন ততবার যিনা করবেন আর যেনা শাস্তি কি তাত জানেনেই। তাছাড়া পিতা-মাতাকে কষ্ট দিয়ে জীবনে সুখে হতে পারবেন না। তাই এ বিষয়ে আপনার পরিবারের কাছে পরামর্শ করুন তাদের সিদ্ধান্ত মেনে চলার চেষ্টা করুন। আশাকরি জীবনে সুখি হতে পারবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ