হ্যাঁ,সওয়াব পাবেন যদি এতে প্রশ্নকর্তার উপকার করার নিয়ত থাকে এবং বিষয়টি শরীয়ত বিরোধী না হয়।তখন আপনার উত্তরটি ভালো কাজের দিকনির্দেশক হিসেবে গণ্য হবে এবং আপনি সওয়াবের অধিকারী হবেন।এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ভালো কাজের দিকনির্দেশক ব্যক্তি হুবহু ঐ কাজ করার সমপরিমাণ সওয়াবের অধিকারী হয়।(তিরমিযী ২৬৭০, মুসনাদে আহমাদ ২৩০২৭)
আমীরুল মুমিনীন আবু হাফস্ উমার ইবন আল-খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি— “সমস্ত কাজের ফলাফল নির্ভর করে নিয়তের উপর, আর প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়ত করেছে, তাই পাবে। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের জন্য হিজরত করেছে, তার হিজরত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের দিকে হয়েছে, আর যার হিজরত দুনিয়া (পার্থিব বস্তু) আহরণ করার জন্য অথবা মহিলাকে বিয়ে করার জন্য তার হিজরত সে জন্য বিবেচিত হবে যে জন্য সে হিজরত করেছে।” [বুখারি শরিফ : ১, মুসলিম শরিফ: ১৯০৭]
সাধারণত বিস্ময় এমন কোন কিছু নয় যে,যার মধ্যে আপনি প্রশ্নোত্তর করে সাওয়াব পাবেন বা পাওয়ার কোন অঙ্গিকার করা হয়েছে!
তবে....আপনি আপনার নিয়তের বিশুদ্ধতার মাধ্যমে বিস্ময়কে মাধ্যম করে মানুষের উপকার করে সাওয়াব পেতে পারেন,নিঃসন্দেহে!
হাদিসে এসেছে-হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। সে না তার ওপর জুলুম করতে পারে আর না তাকে শত্রুর হাতে সোপর্দ করতে পারে। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে উদ্যোগী হয়, আল্লাহ তাআলার তার প্রয়োজন পূরণ করে দেন।যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের কষ্ট বা বিপদ দূর করে দেয়; আল্লাহ (এর বিনিময়ে) কিয়ামাতের দিন তার কষ্ট ও বিপদের অংশ বিশেষ দূর করে দিবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন রাখে; কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তার দোষ গোপন রাখবেন। (বুখারি, মুসলিম, রিয়াদুস সালেহিন)
সুতরাং -বুঝা গেলো আপনি বিস্ময়ে খাঠি মনে সঠিক উত্তর প্রধান করে সওয়াবের ভাগি হতে পারেন এবং আরো অনেক ফজিলতের ভাগিদার হতে পারেন৷