মোবাইলে রাখলে এটা ব্যবহার করার নিয়ম কি রকম? যখন তখন কোরআন এর এ্যাপ খুলে, কোনো একটি আয়াত পড়ে আবার বন্ধ করে দিতে পারবো কি? বিস্তারিত বুজিয়ে বলুন?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Habib96

Call

কুরআন যেহেতু গায়রে মাখলুক। তাই আমাদের সামনে পরিদৃষ্ট কুরআন হল মূল কুরআনের প্রতিচ্ছবি মাত্র। এ প্রতিচ্ছবি যেখানেই পরিদৃষ্ট হোক না, তা দেখে পড়া মানে কুরআন দেখে পড়ার হুকুমে হবে। চাই কুরআনের লিখিত রূপটি পাথরে খোদাই করা থাকুক, বা মোবাইল কম্পিউটারের স্ক্রীনে থাকুক, বা কোন কাগজ বা পাতায় লিখিত আকারে থাকুক। সব কিছুর বিধানই এক। অর্থাৎ দেখে পড়লে কুরআন দেখে পড়ার সওয়াব হবে। তা অজু ছাড়া স্পর্শ করা যাবে না। এসব নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করা যাবে না। তবে মোবাইলে থাকা কুরআন এ্যাপস যদি বন্ধ করা থাকে, তথা মোবাইল স্ক্রীনে পরিদৃষ্ট না থাকে, তাহলে উক্ত মোবাইল নিয়ে টয়লেটে প্রবেশে কোন সমস্যা নেই। وقال شيخ الإسـلام ابن تيمية في شرح العمدة (ص384): “الوجه في هذا، والله أعلم أن الذي في اللوح المحـفوظ هو القرآن الذي في المصحف كما أن الذي في هذا المصحف هو الذي في هذا المصحف بعينه سواء كان المحل ورقاً أو أديماً أو حجراً أو لحافاً، فإذا كان مِنْ حكم الكتاب الذي في السماء أن لا يمسه إلا المطهرون وجب أن يكون الكتاب الذي في الأرض كذلك؛ لأن حرمته كحرمته، أو يكون الكتاب اسم جنس يعم كل ما فيه القرآن سواء كان في السـماء أو الأرض، وقد أوحـــى إلى ذلك قوله تعالى: {رَسُولٌ مِنَ اللَّهِ يَتْلُو صُحُفاً مُطَهَّرَةً} [البينة:2]، وكذلك قوله تعالى: {فِي صُحُفٍ مُكَرَّمَةٍ  مَرْفُوعَةٍ مُطَهَّرَةٍ} [عبس:13-14]. فوصفها أنها مطهرة فلا يصلح للمحدث مسها আমাদের কাছে যে কুরআন রয়েছে এটি সেই কুরআনই যা লৌহে মাহফুজে রয়েছে। যেমন কুরআন তাই, যা কুরআনের মাঝে রয়েছে, চাই তার স্থান পাতা হোক, বা চামড়া হোক, বা পাথর হোক বা মোড়ক হোক। সুতরাং আসমানে অবস্থিত লিখিত কিতাবের হুকুম যেহেতু তা পবিত্র ছাড়া কেউ স্পর্শ করে না, জমিনে থাকা কুরআনের ক্ষেত্রে একই বিধানকে আবশ্যক করে। কেননা, এ [জমিনে থাকা কুরআন] কুরআনের সম্মান সে [আসমানে থাকা কুরআন] কুরআনের মতই। অথবা আয়াতে কিতাব দ্বারা উদ্দেশ্য হল ইসমে জিনস। যা কুরআনকে বুঝাচ্ছে, চাই তা আসমানে থাকুক বা জমিনে থাকুক। {শরহুল উমদাহ-৩৮৪} لَّا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ [٥٦:٧٩ যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না। {সূরা ওয়াকিয়া-৭৯} عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍأَنَّ فِي الْكِتَابِ الَّذِي كَتَبَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবু বকর বিন হাযম বলেনঃ রাসূল সাঃ আমর বিন হাযম এর কাছে এই মর্মে চিঠি লিখেছিলেন যে, পবিত্র হওয়া ছাড়া কুরআন কেউ স্পর্শ করবে না”। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৬৮০, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২৮৩০, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার, হাদীস নং-২০৯, আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-১৩২১৭, আল মুজামুস সাগীর, হাদীস নং-১১৬২, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং-৪৬৫, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৬৬} عن عبد الله بن عمر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال:”لا يمس القرآن إلا طاهر“. رواه الطبراني في الكبير والصغير ورجاله موثقون. হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না। {মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-১৫১২} আল্লামা হাফেজ নূরুদ্দীন বিন আবু বকর হায়সামী বলেনঃ ইমাম তাবারানী কাবীর ও সাগীর উভয় গ্রন্থে তা বর্ণনা করেছেন। আর এর সকল বর্ণনাকারী সিক্বা তথা গ্রহণযোগ্য।  “إنه قول علي وسعد بن أبي وقاص وابن عمر رضي الله عنهم، ولم يعرف لهم مخالف من الصحابة”، ইমাম নববী রহঃ বলেনঃ পবিত্র হওয়া ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা নিষেধ বক্তব্যটি হযরত আলী রাঃ এবং সাদ বিন আবী ওয়াক্কাস রাঃ এবং হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ দের। এ মতের উল্টো কোন মত সাহাবাগণ থেকে বর্ণিত নয়। {শরহুল মুহাজ্জাব-২/৮০} وقال شيخ الإسـلام ابن تيمية في مجموع الفتاوى (21/266): “وهو قول سلمان الفارسي، وعبد الله بن عمر، وغيرهما، ولا يعلم لهما من الصحابة مخالف শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহঃ বলেনঃ পবিত্র হওয়া ছাড়া কুরআন স্পর্শ নিষেধ বক্তব্যটির পক্ষে মত দিয়েছেন হযরত সালমান ফারসী রাঃ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ এবং অন্যান্যরা। কোন সাহাবী থেকে এর বিপরীত বক্তব্য বর্ণিত নেই। {মাজমূউল ফাতাওয়া-২১/২৬৬} হযরত ওমর রাঃ যখন কাফের থাকা অবস্থায় বোনকে কুরআন দেখাতে বলেছিলেন, তখন তার বোন বলেছিলেন যে, তুমি নাপাক! আর এ গ্রন্থ পবিত্র ছাড়া কেউ ধরতে পারে না। {মুসনাদুল বাজ্জার-১/৪০১, মুস্তাদরাকে হাকেম-৪/৬৬, সুনানে দারা কুতনী-১/১২১, তাবাকাতুল কুবরা লিইবনে সাদ-৩/২৬৭, সুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী-১/৮৭} সূত্র: আহলে হক মিডিয়া

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Waruf

Call

মোবাইলে রাখা যাবে। আয়াত পড়া ও বন্ধ করা যাবে। তবে একটি শর্ত আছে তা হচ্ছে, হয় হয় ফ্লাইট মোড বা সিম বন্ধ রেখে পাঠ করতে হবে অথবা ভয়েস হলে শুনতে হবে,  না হলে আপনাকে নিশ্চিত হবে যে, পাঠ বা শোনার সময় কল সংক্রান্ত কোন সমস্যা হবেনা। কারন- আমরা জানি কোরআন এর একটি শব্দের উচ্চারণ ভিন্নতার জন্য অর্থও পালটে যায়। ধরুন আপনি আল্লাহ্‌ শব্দটি উচ্চারন করছেন বা শুনছেন, তখনি কল আসলো। ফলে "আল" পর্যন্ত হয়ে থেমে গেল। ভয়েস হলে থামবেই, আর নিজে পাঠ করলেও হঠাত কল এলে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে আটকে যাবেন, এটা স্বাভাবিক। আর তখন সঠিক উচ্চারন না হওয়ায় অর্থ পালটে যাবে ফলে গুনাহ হবার সম্ভাবনা আছে। এমনকি কিছু শবের এমন সামান্য পরিবর্তনে মারাত্বক বিপরীত অর্থ প্রকাশ হয় তখন ভিষন গুনাহগার হবেন। আমি হাদিসের রেফারেন্স দিতে পারছিনা কিন্তু মোবাইলে রিংটোন হিসাবে আযান বা আয়াত ইত্যাদি দেয়া যাবে কিনা প্রসঙ্গে ইসলামী সম্মেলন হয়েছিল। সেখানে এগুলো উঠে আসে এবং নিষেধ করা হয়। তবে ফ্লাইট মোডে অনুমতি দেন। কারন ফ্লাইট মোডে এধরনের ছেদ পড়ার সম্ভাবনা নাই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMMOBAROKBD

Call

প্রথমত কথা হলো, মোবাইলে কোরআনে কারিম রাখা জায়েজ। কারণ হচ্ছে, কোরআনে কারিমসহ মোবাইলে মূলত আপনি সিমের মধ্যে (মেমোরি কার্ডে) যে জিনিসগুলো রাখছেন, এগুলো এমনভাবে সংরক্ষিত করা হয়েছে যে এর মধ্যে কোনো অস্তিত্ব তালাশ করে আপনি পাবেন না। এটা ভিন্ন কোনো জিনিস নয়। তাই এটি মূলত অত্যন্ত আধুনিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে।এতে কোরআনে কারিমের সংরক্ষণের যে মর্যাদা রয়েছে, সে মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় না। এটি সংরক্ষণ, তিলাওয়াত এবং শোনাও যাবে।কোরআন তো আপনি সেখান থেকে বের করতে পারবেন না। এই জন্য এ পদ্ধতিটিই মূলত অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও সুন্দর পদ্ধতি।কোরআনে কারিমকে আপনি সেখানে সংরক্ষণ করতে পারেন।

দ্বিতীয়ত, কুরআন যেহেতু গায়রে মাখলুক। তাই আমাদের সামনে পরিদৃষ্ট কুরআন হল মূল কুরআনের প্রতিচ্ছবি মাত্র। এ প্রতিচ্ছবি যেখানেই পরিদৃষ্ট হোক না, তা দেখে পড়া মানে কুরআন দেখে পড়ার হুকুমে হবে। চাই কুরআনের লিখিত রূপটি পাথরে খোদাই করা

থাকুক, বা মোবাইল কম্পিউটারের স্ক্রীনে থাকুক, বা কোন কাগজ বা পাতায় লিখিত আকারে থাকুক। সব

কিছুর বিধানই এক। অর্থাৎ দেখে পড়লে কুরআন দেখে পড়ার সওয়াব হবে।

অতএব,এসব নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করা যাবে না। তবে মোবাইলে থাকা কুরআন এ্যাপস যদি বন্ধ করা থাকে, তথা মোবাইল স্ক্রীনে পরিদৃষ্ট না থাকে, তাহলে উক্ত মোবাইল নিয়ে টয়লেটে প্রবেশে কোন সমস্যা নেই।

★অনেক আলেমগন স্পর্শ করাকেও নাজায়েয বলেন, তাদের কথার ভিত্তি হলো স্ক্রীনে কোন আবরন নেই বিধায় সরাসরি আয়াতে স্পর্শ হয় যা নাজায়েয৷

তবে এ ক্ষেত্রে তাত্বিক কথা বলো মোবাইল স্ক্রীনে আবরন আছে৷ তাছাড়া অধিকাংশ মোবাইলে গ্লাস পেপারও থাকে যা স্পষ্ট আবরন৷ তাই স্ক্রীনে থাকা কুরআন শরীফ অযু ছাড়া স্পর্শ করা বৈধ৷ তবে অযু সহ স্পর্শ করাই উত্তম৷


>আমাদের কাছে যে কুরআন রয়েছে এটি সেই কুরআনই যা লৌহে মাহফুজে রয়েছে। যেমন কুরআন তাই, যা কুরআনের মাঝে রয়েছে, চাই তার স্থান পাতা হোক, বা চামড়া হোক, বা পাথর হোক বা মোড়ক হোক।

সুতরাং আসমানে অবস্থিত লিখিত কিতাবের হুকুম যেহেতু তা পবিত্র ছাড়া কেউ স্পর্শ করে না, জমিনে

থাকা কুরআনের ক্ষেত্রে একই বিধানকে আবশ্যক করে। কেননা এ কুরআনের সম্মান সে কুরআনের মতই। অথবা আয়াতে কিতাব দ্বারা উদ্দেশ্য হল ইসমে জিনস। যা কুরআনকে বুঝাচ্ছে, চাই তা আসমানে থাকুক বা জমিনে থাকুক।

শরহুল উমদাহ-৩৮৪

যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না।

সূরা ওয়াকিয়া-৭৯৷

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবু বকর বিন হাযম বলেনঃ রাসূল সাঃ আমর বিন হাযম এর কাছে এই মর্মে চিঠি লিখেছিলেন যে, পবিত্র হওয়া ছাড়া কুরআন কেউ স্পর্শ করবে না”।

মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৬৮০, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২৮৩০, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং-৪৬৫৷

হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না।

মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-১৫১২

আল্লামা হাফেজ নূরুদ্দীন বিন আবু বকর হায়সামী বলেনঃ ইমাম তাবারানী কাবীর ও সাগীর উভয় গ্রন্থে তা বর্ণনা করেছেন। আর এর সকল বর্ণনাকারী সিক্বা তথা

গ্রহণযোগ্য।

ইমাম নববী রহঃ বলেনঃ পবিত্র হওয়া ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা নিষেধ বক্তব্যটি হযরত আলী রাঃ এবং সাদ বিন আবী ওয়াক্কাস রাঃ এবং হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ দের। এ মতের উল্টো কোন মত সাহাবাগণ থেকে বর্ণিত নয়।

শরহুল মুহাজ্জাব-২/৮০

শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহঃ বলেনঃ পবিত্র হওয়া ছাড়া কুরআন স্পর্শ নিষেধ বক্তব্যটির পক্ষে মত দিয়েছেন হযরত সালমান ফারসী রাঃ, হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ এবং অন্যান্যরা। কোন সাহাবী থেকে এর বিপরীত বক্তব্য বর্ণিত নেই।

মাজমূউল ফাতাওয়া-২১/২৬৬

হযরত ওমর রাঃ যখন কাফের থাকা অবস্থায় বোনকে কুরআন দেখাতে বলেছিলেন, তখন তার বোন বলেছিলেন যে, তুমি নাপাক! আর এ গ্রন্থ পবিত্র ছাড়া কেউ ধরতে পারে না।

মুসনাদুল বাজ্জার-১/৪০১, মুস্তাদরাকে হাকেম-৪/৬৬৬৷ 

এসব আলোচনা থেকে বুঝা যায়,মোবাইলে রাখা কোরানের এ্যাপস পরিদৃষ্ট অবস্থায় অযু ছাড়া ধরা ঠিক না,যদিও ধরা জায়েজ৷ 

তৃতীয়, আপনি মোবাইলের এ্যাপসে এক দু'আয়াত যখন মন চাই পড়েন সমস্যা নেই৷ কিন্তু আমরা প্রথমেই আলোচনা করেছি, কোরানের লিখা যেখানেই হওক এটা কোরানের প্রতিচ্ছবি৷ সুতরাং -এক আয়াত হলেও পূর্ণ আদবে পড়া চাই৷

(শুরু -শেষে কখন কি পড়তে,কখন পড়তে হয় তা সহ) 


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ