যায়া পাপী  তাঁরা কি কবরে শাস্তি পাবে, আর যারা মুমিন  তাদের অবস্থা কবরে কি হবে? কবরের জীবনের পর মানুষের রুহ কোথায় যায়? 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মানুষের বডি বা শরীর টা হচ্ছে  একটা হাতিয়ার এবং রূহ বা আত্মা হচ্ছে এর চালিকাশক্তি অর্থাৎ রূহ বা আত্তা পরিচালনা করছে সম্পূর্ণ শরীরকে মানুষ মারা যাওয়ার পর তার শরীর বা বডি থেকে রূহ আলাদা হয়ে যায় আমরা যখন মৃত মানুষটির জানাজা পড়ে তাকে কবরে নিয়ে যাই তখন রূহ ও আমাদের সাথে আসতে থাকে এবং কবর দেওয়ার পর রূহ ও কবরে থেকে যায় আমরা ৪০ কদম দূরত্বে চলে যাওয়ার পর সেখানে দুজন ফেরেশতা এসে তিনটি প্রশ্ন করবেন 1. তোমার রব কে 2. তোমার ধর্ম কি 3. হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখিয়ে বলবেন উনি কে যারা মুমিন দুনিযাতে ভালো কাজ করেছে তারা সহজেই উত্তর  দিয়ে দিবে আর যারা কাফের মুনাফিক ছিল দুনিয়াতে খারাপ কাজ করেছে তারা শুধু বলবে হায় আমি কিছুই জানিনা হায় আমি কিছুই জানিনা বলে শুধুই আফসোস করবে যারা উত্তর দিতে পারবে তাদের কবরের সাথে জান্নাতের একটা সংযোগ হয়ে যাবে এবং তারা ঘুমিয়ে যাবে হাশরের দিন তাদেরকে জাগানো হবে আর যারা উত্তর দিতে পারবে না তাদের কবরের সাথে জাহান্নামের একটা সংযোগ হয়ে যাবে এবং তারা শাস্তি ভোগ করতে থাকবে মনে রাখতে হবে এগুলো সবি রূহ বা আত্মার সাথে হবে বিধায় আমরা নিজ চোঁখে দেখতে পাইনা দুনিয়াতে অনেক বিষয় আমরা না দেখেও বিশ্বাস করি যেমন বাতাস আমরা দেখিনা কিন্তু বিশ্বাস করি তেমনি ধর্মীয় অনেক বিষয় দেখা যায় না কিন্তু বিশ্বাস করতে হয় ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

যারা পাপী তাদেরকে কবরে শাস্তি দেওয়া হবে। কোন মানুষের মৃত্যুর পর কবরে রাখা হলে সকল মানুষ ৪০ পা চলে গেলে ওই ব্যক্তির রোহ তার শরীরের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয় যাতে সে জান্নাতি আরাম আয়েস ভোগ করতে পারে। সুতরাং মানুষকে কবরস্থ করার পর তার রুহ তার দেহের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call
মানুষের মৃত্যু সংঘটিত হওয়ার পর রুহ বা আত্মা ইল্লিন ও সিজ্জিনে রাখা হয়।

মৃত্যুর পরে আত্মার অবস্থানঃ এ কথা স্পষ্ট যে, রুহ বা আত্মার বিনাশ নেই। মৃত্যুর পর আত্মা পৃথিবী থেকে আলমে বারযাখে স্থানান্তরিত হয়।

অর্থাৎ আত্মা কেবল দেহ ত্যাগ করে মাত্র, তার মৃত্যু হয় না। আলমে বারযাখের বিশেষ সেই অংশের নামই হলো কবর যা এক অদৃশ্য সুক্ষ্ম জগৎ। যা মানুষের জ্ঞানবুদ্ধি ও কল্পনার অতীত।

মূল বিষয় হলো মৃত্যুর পর মানুষের দেহচ্যুত আত্মাকে যে স্থানে রাখা হবে সেটাই তার কবর।

অর্থাৎ মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে আখিরাতের পূর্ব পর্যন্ত যে অদৃশ্য জগৎ রয়েছে, সেই জগতকেই আলমে বারযাখ বলা হয় যাকে আত্মার কবর বলা হয়।

আলমে বারযাখে মানুষের আত্মাকে রাখার দুইটি স্থান রয়েছে।

স্থান দুইটির নাম হলো ইল্লিয়িন আর সিজ্জীন।

ইল্লিয়িন হলো মেহমানখানা, অর্থাৎ পৃথিবীতে যারা মহান আল্লাহর বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করেছে, তারাই কেবল ইল্লিয়িনে স্থান পাবে।

আর যারা পৃথিবীতে মহান আল্লাহর বিধান অমান্য করেছে, নিজের খেয়াল- খুশী অনুযায়ী চলেছে, তারা স্থান পাবে সিজ্জীনে। সিজ্জীন হলো কারাগার।

যায়া পাপী তারা কবরে শাস্তি পাবে।

কবরের আযাব বলতে ঐ আযাবকে বোঝায়, যা মৃত্যুর পর থেকে শুরু কবরের বা বারযাখের জীবনে মানুষ উপলব্ধি করে থাকে। আল কুরআনে বলা হয়েছে, মানুষকে তার পাপ অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে এবং কারো প্রতি বিন্দুমাত্র জুলুমও করা হবে না।

অর্থাৎ মানুষকে তার পাপের পরিমাণ অনুযায়ীই শাস্তি দেয়া হবে। যে বেশি পাপ করবে সে বেশি শাস্তি পাবে আর যে কম পাপ করবে সে কম শাস্তি পাবে এটিই সাধারণ নিয়ম।

মুমিন বান্দা কবরে জান্নাতের প্রশান্তি লাভ করবেন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ