ইসলামে আল্লাহ হতে বিমুখতা, নারী-পুরুষের বিবাহ-বহির্ভূত প্রেম ভালোবাসা বা বন্ধুত্ব, একান্ত প্রয়োজন ব্যতিরেকে পারস্পরিক কথোপকথন, নির্জনে দুজনের একাকীত্ব গ্রহণ – ইত্যাদি কাজ নিষিদ্ধ রয়েছে।
অতএব, আপনি যদি কাওকে মনে মনে পছন্দ করেন কিন্তু এটা আপনাকে কোন প্রকার হারাম আলাপন, সাক্ষাৎ ও নিষিদ্ধ কার্যকলাপের দিকে নিয়ে না যায় তাহলে এতে কোন অসুবিধা নেই। অনুরূপভাবে নির্দিষ্ট ঐ ব্যক্তি যেন আপনার ভাগ্যে জুটে অর্থাৎ আপনি জীবন সঙ্গী হিসেবে পান এমন দুআ করেন কোন অসুবিধা নেই; যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি( নারী বা পুরুষ) আল্লাহকে ভয় করেন এবং ইসলামে নিষিদ্ধ যে কোন কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকেন।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহর সেই বাণীটি মুসলিম যুবক যুবতীদের মনে রাখা চাই – যাতে তিনি বলেছেন,
الْخَبِيثَاتُ لِلْخَبِيثِينَ وَالْخَبِيثُونَ لِلْخَبِيثَاتِ ۖ وَالطَّيِّبَاتُ لِلطَّيِّبِينَ وَالطَّيِّبُونَ لِلطَّيِّبَاتِ...
“দুশ্চরিত্রা নারীরা দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য এবং দুশ্চরিত্র পুরুষেরা দুশ্চরিত্রা নারীদের জন্য; অনুরূপ সচ্চরিত্রা নারীগণ সচ্চরিত্র পুরুষগণের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষগণ সচ্চরিত্রা নারীগণের জন্য...” –সূরা নূর:২৬
অতএব, আমরা যেন সমস্ত অনাচার, পাপাচার ও ফিতনাহ হতে বেঁচে থেকে আল্লাহর কাছে দুআ করি, নিজেদের চরিত্রকে পবিত্র রাখি, অথবা কোন অন্যায়ে লিপ্ত থাকলে এ থেকে ফিরে এসে চরিত্রকে পুনর্গঠন করি – তবে আল্লাহই ইহকাল পরকালের জন্য উত্তম জীবন সঙ্গী উপহার দেবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ সহায় হোন।
সংগৃহীত মুহাম্মাদ ফয়জুল্লাহ এর লিখা থেকে, মুতাখাসসিস ফিল ফিকহিল ইসলামী, আল-জামিআতুল আহলিয়া, দারুল উলুম হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।