শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

 বিতর শব্দের অর্থ বিজোড়।অতএব আপনি এ সালাত ১,৩,৫....রাকাত পড়তে পারেন।কিন্তু এ বিষয়টির মাজহাব ভিত্তিক নিয়মাবলি রয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Habib96

Call

      বেতের নামাজ কয় রাকাত?  ✔এ ব্যাপারে ইমামগণের মতামত হলো-✔ ১৷ ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর মতে- বেতের তিন রাকাত৷ ২৷ ইমাম আহমদ রহঃ এর মত- সর্বনিম্ন এক রাকাত এবং সর্বোচ্চ এগার রাকাত৷ তবে তিন রাকাত পড়া উত্তম৷ ৩৷ ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর মতে- সর্বনিম্ন এক রাকাত এবং সর্বোচ্চ এগার রাকাত৷ তবে এক রাকাত পড়া উত্তমের পরিপন্থী৷ ৪৷ ইমাম মালেক রহঃ এর মতে- এক রাকাত৷    —সূত্র: কিতাবুল ফিকহি আলাল মাযাহিবিল আরবাআ (305-8)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
mangso

Call

বিতরের সালাত নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। এটা কেউ বলেছেন ওয়াজিব, কেউ বলেছেন সুন্নাহ। ★এই নামাজ তিন রাকাত। অন্যান্য ফরজ নামাজের ন্যায় দুই রাকাআত নামাজ পড়ে প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহহুদ পড়বেন। সালাম ফেরাবেন না। তারপর তৃতীয় রাকআত পড়ার জন্য উঠে সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলাবেন। কিরাআত (সুরা বা অন্য আয়াত মিলানোর পর) শেষ করার পর তাকবির বলে দু’হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে তাকবিরে তাহরিমার মতো হাত বাঁধবেন। তারপর নিঃশব্দে দোয়া কুনুত পড়বেন। দোয়া কুনুত পড়ে পূর্বের ন্যায় রুকু, সিজদার পর শেষ তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া মাছুরা পড়ে ছালাম ফিরানোর মাধ্যমে বিতরের নামাজ সমাপ্ত করবেন। এটিই রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর অনুসৃত পন্থা। অসংখ্য হাদীস থেকে বিষয়টি সুপ্রমাণিত। সা‘দ ইবনে হিশাম রহ. বলেন, হযরত আয়েশা রা. তাকে বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বিতরের দুই রাকাতে সালাম ফেরাতেন না। (সুনানে নাসায়ী ১/২৪৮; হাদীস ১৬৯৮; মুয়াত্তা মুহাম্মাদ ১৫১ (বাবুস সালাম ফিল বিতর) মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৪/৪৯৪, হাদীস ৬৯১২; সুনানে দারাকুতনী ২/৩২, হাদীস ১৫৬৫; সুনানে কুবরা বাইহাকী ৩/৩১ -মুস্তাদরাক আলাস সহীহাইন ১/৩০৪, হাদীস ১১৮০) ইমাম হাকেম রহ. হাদীসটি বর্ণনা করার পর বলেন- هذا حديث صحيح على شرط الشيخينঅর্থাৎ হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্ত মোতাবেক সহীহ। ★আমাদের ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর মতে এশাও বেতের নামাজের একই সময়। (ফুররুল মুখতার) : বেতেরের নামাজ নির্দিস্ট সময়ের মধ্যেই আদায় করতে হয় । কিন্তু যারা শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে জাগ্রত থাকার অভ্যাস করেছেন, কেবল ঐ সব লোকেরাই শেষ রাতে তাহাজ্জুদের পর বেতেরের নামায আদায় করতে পারেন।কেননা রাসুলে করীম (সাঃ) এই নিয়মেই আদায় করতেন । আর যাদের শেষ রাতে ঘুম হতে জাগ্রত হওয়ার অভ্যাস নেই,তারা অবশ্যই এশার নামাজের সাথে আদায় করবেন। ★বেতের নামাজে তৃতীয় রাকাতে পুনরায় তাকবীর বাধার পর দোয়া পড়া ওয়াজিব ।এখানে মুলত দোয়া করা মুখ্য বিষয় ।" কুনুতের কোনো নির্দিষ্ট নেই । ইহা তাবিইনে বর্ণিত আছে ।কিন্তু উত্তম হল এ দোয়া পড়বে___ আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাঈনুকা.....। যে ব্যক্তি কুনুত ভাল করে পড়তে পারবেনা , সে রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও.....শেষ পর্যন্ত পড়বে ।"

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ