না হওয়া যায়না! ডাঃ এর সংজ্ঞা কি? সংজ্ঞাঃ পড়ুন, যাহারা নূন্যতম ৫ বছর সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস করিয়া সরকারি বেসরকারি মেডিকেল/ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল হইতে “এমবিবিএস (MBBS)/বিডিএস (BDS)” ডিগ্রি পাশ করিয়া বাংলাদেশ মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল হইতে সাময়িক এবং ১ বছর প্রায় সারাদিন সারারাত হাসপাতালে ডিউটি করিয়া ইন্টার্নশিপ শেষে পূর্নাঙ্গ রেজিস্ট্রেশন লাভ করে শুধু মাত্র এবং কেবলমাত্র তাহাদেরকেই “ডাক্তার” বলে এবং তাহারা নিজ নামের আগে “ডাঃ ব্যাবহার এর অনুমতি পায়। এই সংজ্ঞা উপেক্ষা করলে ডাক্তার দু প্রকারঃ ১) পাশ করা ডাক্তার বা এমবিবিএস ডাক্তার বা আসল ডাক্তার ২) ভুয়া ডাক্তার পাশ করার ডাক্তারের সংজ্ঞা উপরেই দেয়া হয়েছে। ভূয়া ডাক্তারঃ এমবিবিএস ব্যতিত অন্য যেকোন ডিগ্রি ধারী তা যে দেশ থেকেই হোক না কেন নামের আগে পরে লাগিয়ে যারা নামের আগে “ডাঃ” পদবী ব্যবহার করেন কিংবা না করেও যারা রোগী দেখেন তারাই ভুয়া/হাতুড়ে ডাক্তার। এই গ্রুপে পল্লী চিকিৎসক, এলএমএফ, আরএমপি, ডিএমএফ ইত্যাদি এবিসিডি অনেক অনেক পদবীর মানুষ দেখা যায় যাদের কারোই রোগী দেখার আইনগত অনুমোদন এবং যোগ্যতা নেই। গ্রামাঞ্চলে ডাক্তার সংকট এর সুযোগে এবং মানুষের সচেতনতার অভাবকে কাজে লাগিয়ে এরা বছরের পর বছর রোগী দেখে যাচ্ছে এবং রোগকে আরো জটিল থেকে জটিলতর পর্যায়ে নিয়ে নিরাময় এর অনুপযোগী করে ফেলছে। শুধু গ্রামেই নয় খোদ রাজধানীতেও এ ধরনের মানুষেরা সবার চোখের সামনে রোগী দেখে যাচ্ছে। সুতরাং -এমবিবিএস ছাড়া অন্য কেউ ডাঃ করার যোগ্যতা রাখেনা!