শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
HMMOBAROKBD

Call

আল্লাহ পাক মানুষকে জ্ঞানহীন বানিয়ে দুনিয়াতে পাঠাইনি বরং বুদ্ধি ও জ্ঞান দিয়েই পাঠিয়েছে৷মানুষ বুদ্ধিমান বা বিবেকসম্পন্ন প্রাণী। অন্যান্য প্রাণীর সাথে তার মূল পার্থক্যই হল তার জ্ঞানের ব্যবহার। যদি জ্ঞান দিয়ে মানুষকে সজ্জিত করা না হত তা হলে অন্যান্য প্রাণীর সাথে তার কোন পার্থক্যই থাকত না। আল্লাহ তয়ালা মানুষকে যে জ্ঞান দিয়ে পাঠিয়েছেন তার প্রমাণ, সৃষ্টির শুরুতে আল্লাহ পাক "আদম আঃ" (আমাদের আদি পিতা)কে ফেরেস্তাদের সামনে সম্মানিত করেছেন জ্ঞান দিয়ে৷আল্লাহর বাণী"আর আল্লাহ তা'আলা আদমকে শিখালেন সমস্ত বস্তু-সামগ্রীর নাম । তারপর সে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীকে ফেরেশ্তাদের সামনে উপস্হাপন করলেন । অতঃপর বললেন, আমাকে তোমরা এগুলোর নাম বলে দাও, যদি তোমরা সত্য হয়ে থাক ।" অন্যান্য প্রাণী যেমন খাদ্য গ্রহণ করে ও বংশ বৃদ্ধি করে,একইভাবে মানুষেরও এর থেকে বেশি কিছু করার থাকত না। কেবল বিবেক-বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়েই মানুষ এত উন্নত হতে পেরেছে। বাবুই পাখি সেই সৃষ্টির শুরু থেকে আজও একইভাবে বাসা তৈরি করে,অন্যদিকে মানুষ চাঁদে বসতি স্থাপনের চেষ্টা করছে। মানুষ তার জ্ঞান-বুদ্ধি ব্যবহারের মাধ্যমে তার জীবন যাপন ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করতে পেরেছে। যদি সে জ্ঞানের ব্যবহার না করত তা হলে তার অবস্থাও অন্যান্য প্রাণীর মতই হত। সুতরাং -বলা যায় আল্লাহ তায়ালা মানুষকে বুদ্ধি ও জ্ঞান দিয়েই সৃষ্টি করেছেন৷যাকে জন্মের আগে শিখানো হয়,তাকে নিশ্চয় শিখিয়েই জন্ম দেওয়া হয়৷  হ্যা!জ্ঞান দান করার অর্থ এই নয় যে,পৃথিবীর পারিপার্শ্বিক সমস্ত জ্ঞান তাকে একসাথে দেওয়া প্রয়োজন৷আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক কিছুর মধ্যেই একটা নিয়ম রক্ষা করে। যেমন-আল্লাহ মায়ের গর্ভে একটা শিশুকে যীর্য থেকে আস্তে আস্তে পূর্ণাঙ্গতা,দান করে,কিন্তু আল্লাহ চাইলে এর বিপরীতও পারতো! ঠিক তেমনি,আল্লাহ মানুষকে তার শারীরিক ও মানসিক গঠনের উপর নির্ভর করে পৃথিবীতে জ্ঞান অর্জনের উপযুক্ত করে তুলেন৷  একজন শিশুশ্রেণীর ছাত্রকে কখনো একজন শিক্ষক দশম শ্রেণির ক্লাস দেয়না,ঠিক তেমনি আল্লাহ তায়ালাও নিয়ম রক্ষা করেন৷  এর প্রমাণ -পৃথিবীতে অনেক কম পড়াশোনা জানা ব্যাক্তিও অনেক কিছু করে দেখিয়েছেন এই পৃথিবীতে৷  তবে,যে যত বেশি তার মেধা/বুদ্ধিকে কাজে লাগাবে সে তত বেশি উন্নতি করবে! আবার মহান আল্লাহর প্রতিটি সৃষ্টিই তাঁর ইবাদত করে। কিন্তু অন্যান্য সৃষ্টির ইবাদতের সাথে মানুষের ইবাদতের পার্থক্য রয়েছে। মহান আল্লাহ্ তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকে বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এজন্যই যে,সে যেন জ্ঞানবুদ্ধি ব্যবহার করে তার স্রষ্টার পরিচিতি লাভ করার মাধ্যমে ইবাদত করতে পারে। আর তাই মহান আল্লাহ্ বার বার মানুষকে জ্ঞান-বুদ্ধি ব্যবহার করার জন্য বলেছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ