শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুমানোর জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা প্রয়োজন। কী ভাবে? জেনে নিন তা— • প্রথমে জিভের ডগাটা রাখুন সামনের দাঁতের সারির মাংসল জায়গায়। পুরো ব্যায়ামের সময় জিভ সেখানেই থাকবে। • এ বার বেশ জোরে ‘হুশশশ’ শব্দ করে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। • এ বার মুখ বন্ধ করে আস্তে আস্তে নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিন। এ সময় মনে মনে এক থেকে চার গুনুন। • শ্বাস ধরে রেখে এক থেকে সাত গুনতে শুরু করুন। • আট গুনে শ্বাস পুরোপুরি ছেড়ে দিন। একই ভাবে ‘হুশশশ’ শব্দ করে শ্বাস ছাড়তে থাকুন। • এটা হল প্রথম বারের ব্যায়াম। এ ভাবেই মোট চার বার ব্যায়ামটা করুন। গবেষকদের দাবি, এতে স্ট্রেস কমবে। ফলে ঘুমও আসবে তাড়াতাড়ি। মাত্র কয়েক মিনিটেই! Sleeping-beauty1 অনেকেই ভাবতে পারেন এই প্রক্রিয়াটি কেন কাজে দেবে বা এই প্রক্রিয়ায় কেন ১ মিনিটের মধ্যে ঘুম চলে আসবে। এই বিশেষ ধরণের নিঃশ্বাসের পদ্ধতিতে শুধুমাত্র আপনার ফুসফুসের উপরে প্রভাব ফেলে না এই পদ্ধতিতে মস্তিষ্কের উপরেও কাজ হয় যা ঘুমাতে সহায়তা করে। আপনি যখন শুয়ে ঘুম না আসা নিয়ে চিন্তা করতে থাকেন এবং অপেক্ষা করেন তখন আরও বেশী মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় যা আরও বেশী ব্যাঘাত ঘটে। ঘুম যেন এক রহস্য দ্বীপ। আবছা আলো-আঁধারে ঢাকা। ‘ঘুম ঘোরে কে আসে মনোহর?’ আবার, ‘কখনো জাগরণে যায় বিভাবরী।’এ শরীর যার, যে জগতে এর বাস, তার যেন তেমন ভূমিকাই নেই, বিস্মৃত সে এ জগৎ সম্বন্ধে। আমরা সবাই এমন অবস্থায় জীবনের এক-তৃতীয়াংশ সময় কাটাই। কাম ক্লিনিকের গবেষক বলেন যখন আমরা দুশ্চিন্তা করি এবং চিন্তা করতে থাকি তখন আমাদের মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব ঘটে। এতে করেই অনেক বেশী ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে থাকে। যখন এই ৪-৭-৮ নিঃশ্বাসের ব্যায়ামটি করা হয় তখন অক্সিজেন আমাদের মস্তিষ্কে ভালো করে পৌছায়। যখন আপনি ৪ সেকেন্ড শ্বাস নেন তক্ষন তা আপনাকে শান্ত করে এবং যখন ৭ সেকেন্ড দম ধরে থাকেন তখন মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌছায়। এরপর আপনি যখন দম ছাড়েন তখন আপনার দেহ থেকে কার্বন-ডাই- অক্সাইড দূর হয়ে যায়। এতে আপনার হার্টবিটও কমে আসবে এবং আপনার দুশ্চিন্তা কমে আসবে। আপনার দেহ ও মন রিলাক্স হবে। আর এ কারণেই ঘুমের উদ্রেক ঘটে। চেষ্টা করেই দেখুন না। –

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ