শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Tech Trick

Call

এটা এমন একটি কথা যার কোন ভিত্তি নেই।

মৃতের আত্তা ঘুরে বেড়ায় এমন কোন 

হাদিস নেই।

এই সব মিথ্যা বানোয়াট কথা।

মুসলামান ধর্মের মতো মৃত্যুর পর আত্না বেঁচে থাকে। কবরে আবার বডিতে প্রবেশ করে। বডি উঠে বসে সওয়াল জবাব দেয়। মৃত্যুর পরে আত্না এসে তার নিজের বাড়িতে ঘুরাফেরা করে। তার ছেলে মেয়েদের অবস্থা দেখতে পায়। ইত্যাদি ইত্যাদি। মৃত্যুর পর মানুষের রুহ বা আত্মা কোথায় যায় এবং কোথায় অবস্থান করে। কিয়ামত সংঘটিত হবার পরে বিচার শেষে মানুষ জান্নাত বা জাহান্নামে অবস্থান করবে। কিন্তু এর পূর্বে সুদীর্ঘকাল মানুষের আত্মা কোথায় অবস্থান করবে? কোরআন-হাদীসে এর স্পষ্ট জবাব রয়েছে। মৃত্যুর পরের সময়টিকে যদিও পরকালের মধ্যে গণ্য করা হয়েছে, তবুও কোরআন-হাদীস মৃত্যু ও বিচার দিনের মধ্যবর্তী সময়কে আলমে বরযখ নামে অভিহিত করেছে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন- এবং তাদের পেছনে রয়েছে বরযখ- যার সময়কাল হচ্ছে সেদিন পর্যন্ত যেদিন তাদেরকে পুনর্জীবিত ও পুনরুত্থিত করা হবে। (সূরা মুমিনুন-১০০) এই আয়াতে যে বরযখ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, এর অর্থ হলো যবনিকা পর্দা। অর্থাৎ পর্দায় আবৃত একটি জগৎ- যেখানে মৃত্যুর পর থেকে আখিরাতের পূর্ব পর্যন্ত মানুষের রুহ্ অবস্থান করবে। ইসলাম পাঁচটি জগতের ধারণা মানুষের সামনে উপস্থাপন করেছে। প্রথম জগৎ হলো, রুহ্ বা আত্মার জগৎ- যাকে আলমে আরওয়াহ্ বলা হয়েছে। দ্বিতীয় জগৎ হলো মাতৃগর্ভ বা আলমে রেহেম। তৃতীয় জগৎ হলো আলমে আজসাম বা বস্তুজগৎ- অর্থাৎ এই পৃথিবী। চতুর্থ জগৎ হলো আলমে বরযাখ বা মৃত্যুর পর থেকে আখিরাতের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত যে সুক্ষ্ম জগৎ রয়েছে, যেখানে মানুষের আত্মা অবস্থান করছে। পঞ্চম জগৎ হলো আলমে আখিরাত বা পুনরুত্থানের পরে অনন্তকালের জগৎ। এ কথা স্পষ্ট মনে রাখতে হবে যে, রুহ বা আত্মার কখনো মৃত্যু হয় না। মৃত্যুর পর এই পৃথিবী থেকে আত্মা আলমে বরযখে স্থানান্তরিত হয়। অর্থাৎ আত্মা দেহ ত্যাগ করে মাত্র, তার মৃত্যু হয় না। আলমে বরযখের বিশেষভাবে নির্দিষ্ট যে অংশে আত্মা অবস্থান করে সে বিশেষ অংশের নামই হলো কবর।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMMOBAROKBD

Call

কোরআনে কারিমের মধ্যে আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা এরশাদ করেন, ‘এই বারজাখে তাদের অবস্থান করতে হবে, ওই পরবর্তী পুনরুত্থান পর্যন্ত, ওই দিবস পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হবে।’ পুনরুত্থান পর্যন্ত সেখান থেকে তাদের কোনো ধরনের আগমন, বহির্গমন অথবা কোনো ধরনের তৎপরতা করার অধিকার তাদের থাকবে না।  আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেন, ‘এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দেব এবং পুনরায় এ থেকেই আমি তোমাদেরকে উত্থিত করব।’ (সুরা ত্বাহা : আয়াত ৫৫) তাই এ ধারণা করার সুযোগ নেই বা আমাদের আকিদার মধ্যে, আমাদের যে চিন্তাধারার রয়েছে, যে বিশ্বাস আকিদার মধ্যে রয়েছে, এই আকিদার বিশ্বাসের মধ্যে কোনোভাবেই এ কথা শুদ্ধ নয় যে, মানুষের আত্মা পৃথিবীর মধ্যে আবার আগমন করে থাকে এবং আগমন করে বিভিন্ন মানুষকে সতর্ক করে থাকে। এটা ভিন্ন দর্শনের বা ভিন্ন চিন্তাধারায় রয়েছে। সুতরাং ইসলাম মূলত যেটা আমাদের শিক্ষা দিয়েছে যে মৃত্যুর পর মানুষগুলোর সব তৎপরতা সীমাবদ্ধ হয়ে যায় এবং তারা বারজাখি জিন্দেগিতে চলে যায়। এই বারজাখি জিন্দেগি কোন ধরনের, তার কোনো সুস্পষ্ট সংজ্ঞা বা পরিচিতি রাসূল (সা.)-এর কোনো হাদিসের মাধ্যমে আমাদের কাছে স্পষ্ট করা হয়নি। পরিশেষে… আল্লাহ তাআলা মুমিনদেরকে মৃত্যুর পর কবরের জিন্দেগিতে উত্তম স্থানে অবস্থান করার তাওফিক দান করুন। হাশরের দিন ডান হাতে আমলনামা লাভ করে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মৃত্যুর পর মৃতের আত্মা ৪০ দিন পর্যন্ত পৃথিবীতে অবস্থান করে না। কোনো ব্যক্তির যখন মৃত্যু হয়ে যায়, এর অর্থ হচ্ছে দুনিয়ার সঙ্গে তার যে সম্পর্ক রয়েছে, সেটা আত্মিক সম্পর্ক হোক অথবা শারীরিক সম্পর্ক হোক, কোনো সম্পর্কই সেখানে আর অবশিষ্ট থাকে না। তার আত্মার কোনো ধরনের আগমন, বহির্গমন, সংযোজন, অর্থাৎ যেকোনো ধরনের তৎপরতা অবশিষ্ট থাকে না। সুতরাং আত্মা স্বাধীনভাবে যে ঘোরাফেরা করবে অথবা আসবে-যাবে, ব্যাপারটা এমন নয়। মৃত্যুর পরে মানুষ চলে যায় আল্লাহর বারযাখ জিন্দেগিতে এবং বারযাখ জিন্দেগি হচ্ছে এমন যে বারযাখের একটা অর্থই হচ্ছে, এখান থেকে আর কোনোভাবেই বের হওয়ার সুযোগ নেই। তাই বারযাখ জিন্দেগিতে যারা চলে গিয়েছে, তারা একটা আড়ালে চলে গিয়েছে। সম্পূর্ণরূপে আড়ালের একটা জিন্দেগিতে চলে গিয়েছে, দুনিয়ার জগতে তাদের আর আগমন হবে না। যেমনিভাবে তারা দুনিয়াতে আগমন করতে পারবে না, ঠিক তেমনিভাবে তারা আখিরাতের যে জিন্দেগি রয়েছে, পরবর্তী জীবন সে জীবনেও যেতে পারবে না। এখানেই তাদের অপেক্ষা করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন যে- এবং তাদের পেছনে রয়েছে বারযাখ- যার সময়কাল হচ্ছে সেদিন পর্যন্ত যেদিন তাদেরকে পুন:র্জীবিত ও পুনরুত্থিত করা হবে। (সূরা মুমিনুনঃ ১০০) বারযাখ এর শাব্দিক অর্থ অন্তরায় ও পৃথককারী বস্তু। দুই অবস্থা অথবা দুই বস্তুর মাঝখানে যে বস্তু আড়াল হয় তাকে বারযাখ বলা হয়। এ কারণেই মৃত্যুর পর কেয়ামত ও হাশর পর্যন্ত কালকে বারযাখ বলা হয়। কারণ এটা দুনিয়ার জীবন ও আখেরাতের জীবনের মাঝখানে সীমা প্রাচীর। আয়াতের অর্থ এই যে, মরণোম্মুখ ব্যক্তির ফেরেশতাদেরকে দুনিয়াতে পাঠানোর কথা বলা শুধু একটি কথা মাত্র, যা সে বলতে বাধ্য। কেননা, এখন আযাব সামনে এসে গেছে। কিন্তু এখন এই কথার ফায়দা নেই। কারণ, সে বারযাখে পৌঁছে গেছে। বারযাখ থেকে দুনিয়াতে ফিরে আসে না এবং কেয়ামত ও হাশর-নাশরের পূর্বে পুনর্জীবন পায় না, এটাই নিয়ম। উক্ত আয়াতে যে বারযাখ শব্দের ব্যবহার হয়েছে, তা পর্দায় আবৃত একটি জগৎ। যেখানে মানুষের মৃত্যুর পর থেকে আখিরাতের বিচারের পূর্ব পর্যন্ত মানুষের রুহ বা আত্মা অবস্থান করবে। ইসলামে পাঁচটি জগতের কথা উপস্থাপন করেছে। প্রথম জগৎ রুহ বা আত্মার জগৎ- যা আলমে আরওয়াহ্নামেও পরিচিত। দ্বিতীয় জগৎ হলো মাতৃগর্ভ- যাকে আলমে রেহেম নামে অভিহিত করা হয়। তৃতীয় জগৎ হলো আলমে আজসাম বা বস্তুজগৎ- অর্থাৎ এই পৃথিবী। চতুর্থ জগৎ হলো আলমে বারযাখ বা মৃত্যুর পর থেকে আখিরাতের বিচারের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত যে জগৎ রয়েছে, যেখানে মানুষের আত্মা অবস্থান করবে। পঞ্চম জগৎ আলমে আখিরাত বা পুনরুত্থানের পরে অনন্তকালের জগৎ। মৃত্যুর পরে আত্মার অবস্থানঃ এ কথা স্পষ্ট যে, রুহ বা আত্মার বিনাশ নেই। মৃত্যুর পর আত্মা পৃথিবী থেকে আলমে বারযাখে স্থানান্তরিত হয়। অর্থাৎ আত্মা কেবল দেহ ত্যাগ করে মাত্র, তার মৃত্যু হয় না। আলমে বারযাখের বিশেষ সেই অংশের নামই হলো কবর যা এক অদৃশ্য সুক্ষ্ম জগৎ। যা মানুষের জ্ঞানবুদ্ধি ও কল্পনার অতীত। মূল বিষয় হলো মৃত্যুর পর মানুষের দেহচ্যুত আত্মাকে যে স্থানে রাখা হবে সেটাই তার কবর। অর্থাৎ মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে আখিরাতের পূর্ব পর্যন্ত যে অদৃশ্য জগৎ রয়েছে, সেই জগতকেই আলমে বারযাখ বলা হয় যাকে আত্মার কবর বলা হয়। আলমে বারযাখে মানুষের আত্মাকে রাখার দুইটি স্থান রয়েছে। স্থান দুইটির নাম হলো ইল্লিয়িন আর সিজ্জীন। ইল্লিয়িন হলো মেহমানখানা, অর্থাৎ পৃথিবীতে যারা মহান আল্লাহর বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করেছে, তারাই কেবল ইল্লিয়িনে স্থান পাবে। আর যারা পৃথিবীতে মহান আল্লাহর বিধান অমান্য করেছে, নিজের খেয়াল- খুশী অনুযায়ী চলেছে, তারা স্থান পাবে সিজ্জীনে। সিজ্জীন হলো কারাগার। জনাব! এই বারযাখে তাদের অবস্থান করতে হবে, ওই পরবর্তী পুনরুত্থান পর্যন্ত, ওই দিবস পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হবে। পুনরুত্থান পর্যন্ত সেখান থেকে তাদের কোনো ধরনের আগমন, বহির্গমন অথবা কোনো ধরনের তৎপরতা করার অধিকার তাদের থাকবে না। তাই এ ধারণা করার সুযোগ নেই বা আমাদের আকিদার মধ্যে, আমাদের যে চিন্তাধারার রয়েছে, যে বিশ্বাস আকিদার মধ্যে রয়েছে, এই আকিদার বিশ্বাসের মধ্যে কোনোভাবেই এ কথা শুদ্ধ নয় যে, মানুষের আত্মা পৃথিবীর মধ্যে আবার আগমন করে থাকে এবং আগমন করে বিভিন্ন মানুষকে সতর্ক করে থাকে। এটা ভিন্ন দর্শনের বা ভিন্ন চিন্তাধারায় রয়েছে। সুতরাং ইসলাম মূলত যেটা আমাদের শিক্ষা দিয়েছে যে মৃত্যুর পর মানুষগুলোর সব তৎপরতা সীমাবদ্ধ হয়ে যায় এবং তারা বারজাখি জিন্দেগিতে চলে যায়। এই বারজাখি জিন্দেগি কোন ধরনের, তার কোনো সুস্পষ্ট সংজ্ঞা বা পরিচিতি রাসূল (সাঃ)-এর কোনো হাদিসের মাধ্যমে আমাদের কাছে স্পষ্ট করা হয়নি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ