আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য বিয়ে করা ফরজ। তাছাড়া আপনি বিয়ে না করলে একসময় নিঃসংগ জীবন কাটাতে হতে পারে, কারন বিয়ে না করলে আপনার ছেলে মেয়ে হবে না , বাবা মা তো চিরকাল বেচে থাকবে না তাই আপনার ভালো লাগা মন্দ লাগা কারো সাথে শেয়ার করতে পারবেন না এবং একসময় আপনি মানসিক ভাবে ভেংগে পড়তে পারেন। জীবনে বেচে থাকতে হলে বিয়ের প্রয়োজন অপরিহার্য যা বলে শেষ করা যাবে না
ধর্মীয় ও পার্থিব দৃষ্টিকোণ থেকে বিয়ে না করার ক্ষতি অনেক। প্রথমত সামর্থবান পুরুষকে বিয়ের নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল। ফাযায়েলেও বর্ণিত হয়েছে প্রচুর।একজন মুমিনের জন্য আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের নির্দেশ লঙ্গন করার চেয়ে ক্ষতিকারক বিষয় আর কি হতে পারে? এতো ইহকাল ও পরকালে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত থেকে মাহরুম হওয়ার কারণ। সাহাবী আবু হুরায়রা রা. এর বর্ণনায়, মহানবী সা. ইরশাদ করেন-“দ্বীনদারী ও চারিত্রিক দিক বিবেচনায় তোমাদের পছন্দ হয়, এমন ব্যক্তি তোমাদের নিকট বিয়ের প্রস্তাব দিলে (উপযুক্ত পাত্রীকে) তার সাথে বিয়ে দিয়ে দাও। যদি বিয়ে না দাও, তাহলে সমাজে বিরাট ফিতনা ও ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিবে। [তিরমিযী:১/২০৭] উক্ত হাদীসের ভাষ্যমতে উপযুক্ত পাত্র-পাত্রী পাওয়া সত্ত্বেও বিয়ে সম্পাদিত না হলে ভূখন্ডে দেখা দিবে ফিতনা ও বিপর্যয়। কি সেই ফিতনা ও বিপর্যয়? তিরমিযী শরীফের অন্যতম ভাষ্যগ্রন্থ ‘কুওতুল মুগতাযী’তে উল্লেখ আছে- উক্ত হাদীসে ফিতনা ও বিপর্যয় দ্বারা উদ্দেশ্য হলো উপযুক্ত পাত্র-পাত্রী থাকা সত্ত্বেও বিবাহ কার্য সম্পাদিত না হলে অনেক নারী পুরুষ অবিবাহিত অবস্থায় থেকে যাবে। ফলে যিনা ব্যভিচার ব্যাপক ভাবে বিস্তার লাভ করবে। এতে অভিবাবকগণ শিকার হবেন অপমান ও লজ্জার। যার অনিবার্য ফল হিসাবে শুরু হবে দাঙ্গা ও খুনা-খুনী। [তিরমিযী:১/২০৭,টিকা নং-৪] এছাড়াও সামর্থবান যুবকের বিয়ে না করাটা সাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর। ভেঙ্গে পড়ে শরীর। উড়ে যায় সুখনিদ্রা। মন্দা পরে কর্মস্পৃহায়। যুবসমাজ শিকার হয় কুচরিত্র ও অসভ্যতায়। যার অনিবার্য প্রভাব আক্রমন করে সমাজ জীবনকে। ফলে দূষিত হয় সমাজ ও রাষ্ট্র।