নাকবল’ নামের এক খেলা থেকে এই নাকল বল এসেছে। খেলাটা অনেকটা বেসবলের মতো। বোলার রানিংয়ের গতি না বদলেই স্লোয়ার দিতে পারেন, আবার এ ধরনের বল মাঝে মধ্যে ‘স্কিড’ করে যায়। কখনও কখনও ব্যাকস্পিন করে, কখনও আবার শর্ট অব লেন্থে এসে বাউন্সও করে।নাকল বল করাটাও যেমন কঠিন খেলাটাও তেমন কঠিন। বলের গ্রিপটা দুই আঙুলের উল্টো পাশে ধরে বল করতে হয়। এটা অনেকটা ক্যারম বোলিংয়ের মতো। বছরের পর বছর অনুশীলন করলেই তবে এই বলা করা যায়। আর ব্যাটসম্যান যদি বোলারের হাত দেখে না খেলে তবে বিপদে পড়া অবধারিত।নাকল বলের বৈশিষ্ট্য হল, এটা স্টাম্পের কাছে গিয়ে আচমকা ডিপ করবে এবং পড়ার পরে ‘স্কিড’ করবে। নাকল বল একই সাথে ‘ডিসেপ্টিভ’ এবং ‘ডিফিকাল্ট টু হিট’। জহির খান নাকল বলের গ্রিপটাকে নন বোলিং হ্যান্ডের (ডান হাত) দ্বারা লুকিয়ে রাখতেন যেন ব্যাটসম্যান বুঝতে না পারে।অনেকেই বলে আঙুল সোজা রাখার পরিবর্তে বলটাকে ধরা হয় আঙুল ভাঁজ করা অবস্থায় (ক্রুকড ফিঙ্গার); ‘নাকল’ কিংবা ‘ফিঙ্গার জয়েন্ট’ দ্বারা,ফলেই এটির নাম নাকল দেয়া হয়েছে বলে অনেকেই মনে করে।