ব্যাটারির চার্জ সাশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন রকমের অ্যাপ্লিকেশনও রয়েছে। তবে এর বাইরেও স্মার্টফোন ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে, যেগুলো মেনে চললে কিছুটা ব্যাটারির চার্জ সাশ্রয় করতে পারবেন । নিচের বিষয়গুলো খেয়াল করুনঃ
১. ডিসপ্লের আলো কমিয়ে ফেলুনঃ এটা হয়তো অনেকেই জানেন এবং প্রয়োগ করে থাকেন। যাঁরা এখনো এই কাজটা করেন না, তাঁরা ডিসপ্লের ঔজ্জ্বল্য বা ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখা শুরু করুন।
২. কালো ওয়ালপেপার ব্যবহার করুনঃ অ্যামোলেড স্ক্রিনের ফোনে কালো বা এ ধরনের রঙের ওয়ালপেপার ব্যবহার করলে চার্জ কম খরচ হয়। কারণ, অ্যামোলেড স্ক্রিনের আলো খরচ হয় বিভিন্ন রঙের পেছনে। তাই যত রঙিন ওয়ালপেপার দেওয়া হবে, আলোর খরচ বাড়বে, সে সঙ্গে চার্জও খরচ হবে।
৪. লক স্ক্রিন নোটিফিকেশন চালু করুনঃস্মার্টফোনের চার্জ বাঁচানোর আরেকটি ভালো বুদ্ধি হচ্ছে লক স্ক্রিন নোটিফিকেশন চালু করে রাখা। এতে বারবার আপনাকে লক খুলে নোটিফিকিশেন দেখতে হবে না। ফলে চার্জ কম খরচ হবে।
৫. ব্যবহারের পর অ্যাপস বন্ধ করুনঃ ঠিকমতো বন্ধ না করার কারণে অনেক সময় বিভিন্ন অ্যাপস চালু থাকে, যেটা অনেকে খেয়াল করেন না। বিশেষ করে জিপিএস ও ওয়াই-ফাইয়ের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারটা বেশি ঘটে। আর এ দুটি অ্যাপস চালু থাকলে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যায়। তাই কাজ শেষ হওয়ার পর অ্যাপস বন্ধ করুন।
৬. অ্যাপস ডাউনলোড ও আপডেটঃ অ্যাপস ডাউনলোড ও আপডেটের ক্ষেত্রে ওয়াই-ফাই সংযোগ ব্যবহার করুন। মোবাইলের ডাটা ব্যবহার করলে চার্জ বেশি খরচ হবে, এ ছাড়া সময়ও যাবে বেশি। সে ক্ষেত্রে দ্রুতগতির ওয়াই-ফাই সংযোগ ব্যবহার করলে তাড়াতাড়ি অ্যাপসগুলো ডাউনলোড ও আপডেট হয়ে যাবে। মোবাইলের চার্জও কম খরচ হবে।
৭. এয়ারপ্লেন মোড চালু করুনঃ স্মার্টফোনটি এয়ারপ্লেন মোডে থাকলে সব ধরনের ওয়ারলেস ফিচার বন্ধ হয়ে যায়। এতে ফোনের চার্জ কম খরচ হয়।
৮. আসল ব্যাটারি ব্যবহার করুনঃ স্মার্টফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে আসল ব্যাটারি ব্যবহারের চেষ্টা করুন। এতে আপনার ফোন ভালো থাকবে এবং চার্জও থাকবে অনেকক্ষণ।
৯. ওয়াই-ফাই ব্যবহার করাঃ স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য যখনই সম্ভব মোবাইল নেটওয়ার্কভিত্তিক ইন্টারনেট যেমন জিপিআরএস, থ্রিজির তুলনায় তারহীন ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা ভালো। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ওয়াই-ফাই ব্যবহারের সময় অন্যান্য প্রযুক্তির ইন্টারনেট ব্যবহারের চেয়ে কম ব্যাটারি খরচ হয়। বাসা, অফিস বা অন্য কোথাও ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় সেখানে যদি ওয়াই-ফাই থাকে, তবে মোবাইলের ডাটা কানেকশন ব্যবহার না করে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করলে চার্জ ব্যয় কম হয়।
আশা করি বুঝতে পারছেন!!!