কাজের ফাঁকে ফ্রি অবস্থায় গুন গুন করে গান গাওয়ার বদলে আমি জদি কুরআন এর কিছু কিছু অংশ অজু ছাড়া পাঠ করি তাহলে কি সওয়াব পাবো?    
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

কাজের ফাঁকে কোরআন পড়লে অবশ্যই পুণ্য বা সাওয়াব পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে মুখস্থ হলে ওজু ছাড়া পড়া যায় আর কোরআন ধরে পড়লে ওজু করা আবশ্যক। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কেউ বিনা অযুতে থাক বা নাপাক অবস্থায় থাক সবাই বীনা অযুতে সবর্বাবস্থায় কুরআন পাঠ করতে পারবেন। তবে কুরআন স্পর্শ করার আগে অবশ্যই অযু করে পবিত্র হতে হবে। “নিশ্চয় এটা সম্মানিত কোরআন, যা আছে এক সুরক্ষিত গোপন কিতাবে, যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ ঐটি স্পর্শ করতে পারে না।” (ওয়াকিয়াঃ ৭৭-৭৯) আয়াতের উদ্দেশ্য এই যে, এটাকে এমন লোক, যারা হাদসে-আসগর ও হাদসে আকবর থেকে পবিত্র তারা ব্যতীত কেউ যেন স্পর্শ না করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমর ইবনে হাযমের কাছে লিখে পাঠিয়েছিলেন যে, কুরআনকে যেন পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ স্পর্শ না করে। (মুয়াত্তা মালেকঃ ১/২৯৯) হজরত সালমান ফারসী (রাঃ) অযু ছাড়া কুরআন পড়া দুষণীয় মনে করতেন না। তবে তার মতে এরূপ ক্ষেত্রে হাত দিয়ে কুরআন স্পর্শ করা জায়েজ নয়। হজরত সাদ (রাঃ) ইবনে আবী ওয়াক্কাস এবং হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) ও এই মত অনুসরণ করতেন। তাদের সবার মতে অযু ছাড়া কুরআন শরীফ স্পর্শ না করে পড়া কিংবা মুখস্ত পড়া জায়েজ। শেষকথাঃ কাজের ফাকে ফ্রি অবস্থায় গুন গুন করে গান গাওয়ার বদলে আপনি যদি কুরআন এর আয়াত অযু ছাড়া পাঠ করেন তাহলেও সওয়াব পাবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ