কোন লোক যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বীর্যপাত করে তবে তার রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। কিন্তু অনিচ্ছাকৃতভাবে হলে রোযা ভঙ্গ হবেনা। কেননা এতে তার কোন ইচ্ছা ছিল না। আল্লাহ বলেনঃ ভুলক্রমে তোমরা যা করে ফেল সে সম্পর্কে তোমাদের কোন গুনাহ নেই। কিন্তু তোমাদের অন্তর যার ইচ্ছা করে তার কথা ভিন্ন। (সূরা আহযাবঃ ৫) আল্লাহ তাআলা সর্বোচ্চ হিকমার আলোকে শরীআতে সাওম পালনের বিধান রেখেছেন। তিনি সাওম পালনকারীকে এমন মধ্যম পন্থায় সাওম পালন করতে বলেছেন; যাতে সে সিয়াম পালনের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় আবার এমন কিছুও গ্রহণ না করে যা সিয়ামের বিপরীত। জনাব! স্বপ্নদোষ যেমন রোযা বিনষ্ট করে না। ঠিক তেমন মানুষের অনিচ্ছায় বীর্যপাত হলে রোযা ভঙ্গ হবে না। তবে এ প্রসঙ্গে একটি সতর্কতাঃ বর্তমান যুগে অনেক মানুষ রমাযান মাসে আজেবাজে কার্যলাপ যেমন টিভি দেখিয়ে দিন কাটিয়ে দেয়। এভাবে ছবি দেখা মোটেই উচিত নয় বরং মানুষের উচিৎ হচ্ছে, রোযার সময়টাকে যিকির, কুরআন তেলাওয়াত প্রভৃতি আনুগত্যপূর্ণ ও আল্লাহর নৈকট্যদানকারী কাজে অতিবাহিত করা।
আপনার প্রশ্ন অনুযায়ী যদি আপনার অনিচ্ছায় বীর্য বের হয়ে থাকে তাহলে রোজা ভাঙবে না।
আল্লাহ বলেনঃ ভুলক্রমে তোমরা যা করে ফেল সে সম্পর্কে তোমাদের কোন গুনাহ নেই। কিন্তু তোমাদের অন্তর যার ইচ্ছা করে তার কথা ভিন্ন। (সূরা আহযাবঃ ৫)
আপনি যেভাবে বললেন এভাবে বির্য বের হওয়া কতটা সম্ভব সেটা একটা প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।