দেনমোহর ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ। কিন্তু এ বিষয়ে সমাজে চরম অজ্ঞতা ও উদাসীনতা বিরাজমান। দ্বীন-ধর্মকে ভালোবাসেন এবং নামাজ-রোজা করেন এমন অনেক মানুষও মোহরের বিষয়ে সচেতন নন। এ বিষয়ে উদাসীনতা এত প্রকট যে, অনেকে নফল নামাজ পড়াকে যতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন, মোহর আদায়কে তার সিকি ভাগও মনে করেন না। অথচ তা একটি ফরজ বিধান ও বান্দার হক, যা আদায় করা ছাড়া মানুষ প্রকৃত দ্বীনদার হতে পারে না। এ জন্য প্রথমেই দরকার মোহরের গুরুত্ব উপলব্ধি করা। এরপর তা আদায়ে সচেষ্ট হওয়া। বিয়ের সময় স্ত্রীকে দেনমোহর প্রদান করতে হবে; এটা স্বামী কর্তৃক প্রদেয় স্ত্রীর জন্য ইসলাম কর্তৃক নির্ধারিত অধিকার বিশেষ। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো নারীকে কম বা বেশি মোহর ধার্য করে বিয়ে করল; অথচ তার অন্তরে মোহরের সে হক আদায়ের আদৌ কোনো ইচ্ছাই নেই, সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে ব্যভিচারী হিসেবে উপস্থিত হবে।’ (তাবারানি) অর্থাৎ যে ব্যক্তি মোহর আদায়ের ব্যাপারে শুরু থেকেই খারাপ নিয়ত রাখে, সে মোহরের মৌখিক স্বীকৃতি দিল বটে কিন্তু তার অন্তরের অবস্থা হলো, মোহর দেওয়া-নেওয়ার কোনো বিষয় নয়। করতে হয়। তাই করলাম। ফলে বিয়ের মধ্যেই অনেক বড় অসম্পূর্ণতা চলে আসে এবং এ ধরনের ব্যক্তি এমন পাপী হয় যে, কিয়ামতের দিন তাকে ব্যভিচারের অপরাধী সাব্যস্ত করা হবে।