Call

সাধারণ মুসলিমদের জন্য কুরআন হাদীস ও শরীয়তের উপর খুব ভাল জ্ঞান ব্যতীত বিকৃত কিতাব গুলো পড়া জায়েজ নেই। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন যে, ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) তাওরাতের একটি কপি নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এলেন। অতঃপর বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এটি তাওরাতের একটি কপি। একথা শুনে তিনি চুপ রইলেন। অতঃপর ওমর (রাঃ) পড়তে শুরু করলেন। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর চেহারা পরিবর্তিত হতে থাকল। তখন আবু বকর (রাঃ) ওমরকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন, তোমার সর্বনাশ হৌক! তুমি কি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর চেহারার অবস্থা দেখছ না? তখন ওমর রাসূল (সা)-এর চেহারার দিকে তাকালেন। অতঃপর 'ক্ষমা চেয়ে' বললেন, আমি আল্লাহ ও তার রাসূলের ক্রোধ হতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমরা আল্লাহকে প্রতিপালক হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদকে নবী হিসাবে পেয়ে সন্তুষ্ট রয়েছি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন নিহিত, তার কসম করে বলছি, যদি আজ মূসা (আঃ) তোমাদের নিকটে আবির্ভূত হতেন। আর তোমরা তার অনুসরণ করতে এবং আমাকে পরিত্যাগ করতে, তাহলে অবশ্যই তোমরা সরল পথ হতে বিচ্যুত হতে। যদি মূসা (আঃ) বেঁচে থাকতেন ও আমার নব্যুয়তকাল পেতেন, তাহলে অবশ্যই তিনি আমার অনুসরণ করতেন। (দারেমী, মিশকাতঃ ১৯৪, আলবানী সনদ হাসান।) সুতরাং হাদীসে দেখতে পাই ওমর (রাঃ) এর মত উচ্চ মর্যাদার সাহাবীর বিকৃত কিতাব পাঠেই রাসূলুল্লাহ কি পরিমাণ রাগান্বিত হয়েছেন আর সাধারণ মুসলিমদের কথা-তো বাদ। তবে অমুসলিমদের দাওয়াতের কাজের জন্যও কি তা জানা যাবে না? অমুসলিমদের দাওয়াতের জন্য বা তাদের সাথে ইসলামের সাদৃশ্য তুলে ধরতে হলে বা বিচার করার জন্য তাদের কিতাব জানা আবশ্যক। তবে তার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে ইসলামি জ্ঞানে একজন উঁচু মাপের আলেম হতে হবে। কুরআন, হাদিস, শরীয়াহ, ফিকহের উচ্চ জ্ঞান থাকতে হবে যেন সে বিকৃত কিতাবের ভুলগুলো ধরতে পারেন ও সেই অনুযায়ী মানুষকে সতর্ক করতে পারে। হাদিসে আমরা দেখতে পাই অনেক সময় তাওরাতের আইন দিয়েই ইহুদিদের বিচার করা হয়েছে । সাধারণ মুসলিমদের এত জ্ঞান নেই তাই তাদের কোন বিকৃত কিতাব পড়া জায়েজ নেই। তাদের জন্য অবশ্য কর্তব্য হচ্ছে আগে কুরআন ও হাদীস ভালমত অধ্যয়ন করা। (সংগ্রহে গুগল)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ