কোনো ব্যাক্তি যদি ঋণ পরিশোধ না করে মারা যান এবং তার সন্তানদের সেই ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য না থাকে এবং ঋণ দাতা যদি ক্ষমা না করেন তাহলে সন্তানেরা কোন আমল করলে তার পিতার ঋণ আল্লাহ্র তরফ থেকে ক্ষমা হবে এবং পিতার কবরের আযাব মাফ হবে দয়া করে জানাবেন
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ঋণের কারণে কবরের আযাব হয়না। ঋণের কারণে জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে আটকে থাকে। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুমিন ব্যক্তির রূহ ঋণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত তার ঋণের সাথে বন্ধক অবস্থায় থাকে। যাবত না তা পরিশোধ করা হয়। (অর্থাৎ তার জান্নাতে অথবা জাহান্নামে যাওয়ার ফায়সালা হয় না।) (সূনান আত তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১০৭৮ সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ২৪১৩ হাদিসের মানঃ সহিহ)। কোনো ব্যাক্তি যদি ঋণ পরিশোধ না করে মারা যান এবং তার সন্তানদের সেই ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য না থাকে এবং ঋণ দাতা যদি ক্ষমা না করেন তাহলে সমাজ বা রাষ্ট্র তার পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধ করবে। অথবা সমাজ বা রাষ্ট্রের একজনকে যামিন হতে হবে। যদি কোন ব্যক্তি কোন মৃত ব্যক্তির ঋণের যামানত গ্রহণ করে, তবে তার এ দায়িত্ব প্রত্তাহারের ইখতিয়ার নেই। সালামা ইবনু আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে সালাতে জানাযা আদায়ের জন্য একটি জানাযা উপস্থিত করা হল। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, তার কি কোন ঋণ আছে? সাহাবীগণ বললেন, না। তখন তিনি তার জানাযার সালাত আদায় করলেন। তারপর আরেকটি জানাযা উপস্থিত করা হল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তার কি কোন ঋণ আছে? সাহাবীগন বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তোমাদের সাথীর সালাত জানাযা তোমরাই আদায় করে নাও। আবূ কাতাদা (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তার ঋণের দায়-দায়িত্ব আমার উপর। তখন তিনি তার জানাযার সালাত আদায় করলেন। (সহীহ বুখারী হাদিস নম্বরঃ ২১৪৮ হাদিসের মানঃ সহিহ)। জনাব! যথাসাধ্য চেষ্টা করুন তা পরিশোধ করার এজন্য এই দোয়াটি পড়বেনঃ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻛْﻔِﻨِﻲ ﺑِﺤَﻼَﻟِﻚَ ﻋَﻦْ ﺣَﺮَﺍﻣِﻚَ، ﻭَﺃَﻏْﻨِﻨِﻲ ﺑِﻔَﻀْﻠِﻚَ ﻋَﻤَّﻦْ ﺳِﻮَﺍﻙَ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাকফিনী বিহালালিকা অান হারামিক, ওয়া আগনিনী বিফাজলিকা আম্মান সিওয়াক। অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আপনার হালাল বিষয়ের মাধ্যমে হারাম থেকে বাঁচান। এবং আপনার দয়া ও করুণা দিয়ে অন্যদের থেকে আমাকে অমুখাপেক্ষী করে দিন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরিশোধ করে দেওয়ার নিয়তে কারো নিকট থেকে ঋণ গ্রহণ করে আল্লাহ তায়ালা তার পক্ষ থেকে তা আদায় করে দেন। (সহিহ বোখারিঃ ২৩৮৭) সুতরাং কোনোভাবে ঋণগ্রস্ত হলে সে ঋণ আদায়ে যথাসম্ভব চেষ্টা করা উচিত। ঋণ আদায়ের সামর্থ না থাকলেও ঋণ আদায়ের প্রবল ইচ্ছা পোষণ ও চেষ্টা করা জরুরি। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ