স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, অর্থাৎ “তোমরা তাদের সাথে সৎভাবে জীবন যাপন কর।” (সূরা নিসাঃ ১৯) মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি তো মানুষকে তার মা- বাবার সঙ্গে ভালো আচরণের নির্দেশ দিয়েছি। জননী সন্তানকে কষ্টের পর কষ্ট বরণ করে গর্ভে ধারণ করে এবং তার দুধ ছাড়ানো হয় দুবছরে। সুতরাং আমার প্রতি ও তোমার মা- বাবর প্রতি কৃতজ্ঞ হও। প্রত্যাবর্তন তো আমারই নিকট। (সুরা লুকমানঃ ১৪) হাদিসে এসেছে কেউ যেন নিজ পিতা-মাতাকে গালি না দেয় কেননা, আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কবীরা গুনাহসমূহের একটি হলো নিজ পিতা-মাতাকে গালি দেয়া। সাহাবীগণ বলেন, কেউ কি নিজ পিতা-মাতাকে গালি দিতে পারে! তিনি বলেনঃ সে অন্যের পিতা-মাতাকে গালি দিবে, প্রতিশোধ স্বরূপ ঐ ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে গালি দিবে। (বুখারী, মুসলিম, দারিমী, তিরমিযী)। আপনি আপনার মা এবং বউয়ের সাথে যে খারাপ ব্যবহার করেছেন এটা কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত দুনিয়াতে এর জন্য শাস্তি হবে না। আর পরকালের শাস্তি থেকে রেহাই পাবার জন্য তওবা করুন। উপরিউক্ত গুনাহের জন্য উলামা সম্প্রদায়ের উক্তি এই যে, প্রত্যেক পাপ থেকে তওবা করা ওয়াজিব তথা অবশ্য- কর্তব্য। তওবা কবুলের জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে। ১। পাপ সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে। ২। পাপে লিপ্ত হওয়ার জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে। ৩। ঐ পাপ আগামীতে দ্বিতীয়বার না করার দৃঢ় সঙ্কল্প করতে হবে। সুতরাং যদি এর মধ্যে একটি শর্তও লুপ্ত হয়, তাহলে সেই তওবা বিশুদ্ধ হবে না। তওবা ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে কুরআন ও হাদীসে প্রচুর প্রমাণ রয়েছে এবং এ ব্যাপারে উম্মতের ঐকমত্যও বিদ্যমান। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর কাছে তওবা (প্রত্যাবর্তন) কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা নূরঃ ৩১ আয়াত) অর্থাৎ তোমরা নিজেদের প্রতিপালকের নিকট (পাপের জন্য) ক্ষমা প্রার্থনা কর, অতঃপর তাঁর কাছে তওবা (প্রত্যাবর্তন) কর। (সূরা হূদঃ ৩) তিনি আরো বলেছেন, অর্থাৎ হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর বিশুদ্ধ তওবা। (সূরা তাহরীমঃ ৮)