মানুষ নিজ কর্ম অনুযায়ী তার ফল পাবে। পিতা মাতার সৎ কর্মের ফল সন্তানরা পাবেনা। যেদিন কেউ কারো কোন উপকারে আসবে না, সে দিনটি হল কিয়ামতের দিন। সেদিন প্রত্যেককে নিজ নিজ কর্মফলের হিসাব দিতে হবে এবং প্রত্যেককে নিজ কর্মের জন্য দায়ী থাকতে হবে। কেউ অন্যের কর্ম ফলের জন্য দায়ী হবে না। অপরের পাপের পরিণতিতে কেউ জাহান্নামী হবে না। মহান আল্লাহ বলেনঃ আর তোমরা সে দিনের তাকওয়া অবলম্বন করো যেদিন কেউ কার কোন কাজে আসবে না। আর কারও সুপারিশ গ্রহন করা হবে না এবং কারো কাছ থেকে বিনিময় গৃহীত হবে না। আর তারা সাহায্যও প্রাপ্ত হবে না। (সুরা বাকারা- আয়াতঃ ৪৮) যেমন মহান আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেছেন, হে মানুষ! তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর আর ভয় কর সে দিনের, যেদিন পিতা তার সন্তানের কোন উপকার করতে পারবে না। সন্তানও পিতার কোনই উপকার করতে পারবে না। আল্লাহর ওয়াদা সত্য, কাজেই পার্থিব জীবন যেন কিছুতেই তোমাদেরকে ধোঁকায় ফেলতে না পারে আর প্রধান প্রতারক (শয়ত্বান) যেন কিছুতেই তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রতারিত না করে। (সূরা লুকমান আয়াতঃ ৩৩) মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ সেদিন মানুষ পলায়ন করবে তাঁর নিজের ভাই হতে, এবং তার মাতা, তার পিতা, তার স্ত্রী ও তার সন্তান হতে, তাদের প্রত্যেকের সেদিন এমন গুরুতর অবস্থা হবে যা তাকে সম্পূর্ণরূপে ব্যস্ত রাখবে। (সূরা আবাসাঃ ৩৪-৩৭) তবে যদি উভয়ে মুমিন হয় তাহলে পিতা-মাতা সন্তানের জন্য এবং সন্তান পিতা-মাতার জন্য সুপারিশ করতে পারবে। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ এবং যারা ঈমান আনে আর তাদের সন্তান-সন্ততিও ঈমানে তাদের অনুসারী হয়, তাদের সাথে মিলিত করব তাদের সন্তান-সন্ততিকে এবং আমি তাদের কর্মফলের ঘাটতি করব না, প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়ী। (সূরা তুরঃ ২১) অর্থাৎ প্রত্যেক ব্যক্তি তার আমলের জন্যে দায়ী হবে। অপরের গোনাহের বোঝা তার মাথায় চাপানো হবে না।