আমার বাবা হালাল ব্যাবসা করেন। কিন্তু ব্যাংকের সাথে সুদসহ লেনদেন করেন। তাই উক্ত আয়, হারাম। এখন হারাম খাওয়া কবিরা গুনাহ। এখন কি করতে পারি? আমি তো আয় ও করতে পারিনা। বয়স মাত্র ১৫।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

সেক্ষেত্রে যেহেতু হারাম আয়,!আপনার বাবাকে ঐ চাকরী ছেড়ে একটা হালাল চাকরীতে জয়েন করার জন্য প্রেসার দিতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

অর্থ যেই উপার্জন করুক না কেনো সেটা বড় কথা নয়। কথা হচ্ছে, আপনি যেনে বুঝে ঐ হারাম অর্থ দিয়ে জিবীকা নির্বাহ করছেন। সেই অর্থে আপনি অবশ্যই জাহান্নামি হবেন। এখন, আপনার উপায় না থেকে সেই অর্থ ব্যাবহার করছেন। কারন আপনি এখনো নিজের পায়ে দাড়াননি। সেই অর্থে, আপনি যদি এখন থেকেই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান এবং নিজে হালাল অর্থ উপার্জন করে যদি জিবীকা নির্বাহ করতে পারেন। তাহলে, হয়তো বা আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

পিতার কৃতকর্মের জন্য আপনি জাহান্নামী হবেন না। যেদিন কেউ কারো কোন উপকারে আসবে না, সে দিনটি হল কিয়ামতের দিন। সেদিন প্রত্যেককে নিজ নিজ কর্মফলের হিসাব দিতে হবে এবং প্রত্যেককে নিজ কর্মের জন্য দায়ী থাকতে হবে। কেউ অন্যের কর্ম ফলের জন্য দায়ী হবে না। অপরের পাপের পরিণতিতে কেউ জাহান্নামী হবে না। মহান আল্লাহ বলেনঃ আর তোমরা সে দিনের তাকওয়া অবলম্বন করো যেদিন কেউ কার কোন কাজে আসবে না। আর কারও সুপারিশ গ্রহন করা হবে না এবং কারো কাছ থেকে বিনিময় গৃহীত হবে না। আর তারা সাহায্যও প্রাপ্ত হবে না। (সুরা বাকারা-আয়াতঃ ৪৮) যেমন মহান আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেছেন, হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবের তাকওয়া অবলম্বন কর এবং ভয় কর সে দিনকে, যখন কোন পিতা তার সন্তানের পক্ষ থেকে কিছু আদায় করবে না, অনুরূপ কোন সন্তান সেও তার পিতার পক্ষ থেকে আদায়কারী হবে না। (সূরা লুকমান আয়াতঃ ৩৩) জনাব! আপনার বাবা হালাল ব্যাবসা করেন। কিন্তু ব্যাংকের সাথে সুদসহ লেনদেন করেন। তাই উক্ত আয় হারাম। আর হারাম খাওয়া কবিরা গুনাহ। এখন যা করতে হবে তা হলো বাবাকে বুঝিয়ে ব্যাংকের সাথে যে সুদসহ লেনদেন আছে তা পরিহার করে তওবা করতে হবে। যেহেতু আপনি আয় করতে পারেন না বয়স মাত্র ১৫। জনাব! মন্দ কাজসমূহের মধ্যে হারামকে সবচেয়ে গুরুতর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে ব্যক্তি নিরূপায় হয়ে হারাম কাজ করলে তা পাপ হিসেবে গণ্য হয় না। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নিআমাত পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে কবূল করে নিলাম। তবে কেউ পাপ করার প্রবণতা ব্যতীত ক্ষুধার জ্বালায় (নিষিদ্ধ বস্তু খেতে) বাধ্য হলে আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (মায়েদা আয়াতঃ ৩) যে ব্যক্তি এসব হারাম খাদ্য খেতে বাধ্য হবে তার জন্য খাওয়া হালাল। তবে যেন আল্লাহ তাআলার অবাধ্যাচরণ উদ্দেশ্য না হয় এবং সীমালঙ্ঘন করা না হয়। অর্থাৎ প্রাণ বাঁচানোর জন্য যতটুকু প্রয়োজন শুধু ততটুকু ছাড়া বেশি যেন না খায়। একটি উদাহরণ দেওয়া হলো মাত্র এতদিন বয়স কম ছিল বলে। কিন্তু এখন সাবালক নিজের ভাল মন্দ নিজেকে বুঝতে হবে এসব হারাম পরিত্যাগ করে আপনাকেও তওবা করতে হবে। কারন এই হারাম খাদ্য যেনে শুনে গ্রহণ করা আপনার জন্য-ও এখন হারাম

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ