RushaIslam

Call

পক্ষে যুক্তি: ইন্টারনেট কিছু নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে আমাদের জীবনে। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, আমরা বাস্তব জগতের চেয়ে ভার্চুয়াল জগতে বেশি সময় দিচ্ছি। ভার্চুয়াল জগৎ তো আসলে একটা বায়বীয় জগতের মতোই। ইন্টারনেটের পর্নোসাইট ব্যবহার করে মানুষকে বিশেষ করে মেয়েদের হয়রানি করা হয় অনেক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েরা না বুঝে এসব হয়রানির শিকার হয়। এছাড়া আমরা অনেককেই ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে অপ্রয়োজনে অনেক বেশি সময় দেই; যা আমাদের শারীরিক ও মানসিক ঝুঁকি বাড়ায়।প্রযুক্তি শিশুদের মেধাবিকাশে সহায়তা করলেও, মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের প্রভাব, হাতে হাতে স্মার্টফোনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপস, গোপন ক্যামেরায় দৃশ্য ধারণ ইত্যাদি বিষয়গুলি আমাদের সমাজের অপরিণত বয়সের ছেলেমেয়েদের অশালীনতার দিকে ধাবিত করছে।এছাড়া অনলাইনের প্রভাবে অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ডাটাবেজ হ্যাকিং এসব হয়েই থাকছে।বিশেষ করে ক্রেডিট কার্ডের গোপন নম্বর জেনে সেখান থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব।প্রযুক্তির ফলে সাইবার হয়রানির ঘটনা ঘটতেই থাকছে। সুতরাং প্রযুক্তির অপব্যবহার তরুণ সমাজকে বিপথগামী করছে। বিপক্ষে যুক্তি: প্রযুক্তি আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। সভ্যতার উন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তির অবদান অপূরণীয়।বর্তমানে পৃথিবীর ৪২.২ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত।ফলে আমরা খুব সহজেই এখন যেকোনো নিউজ বা আপডেট পেয়ে যাই। আমরা চিকিৎসক এর সিরিয়াল দিতে পারছি অনলাইনে। ফলে সময় বেচে যাচ্ছে।এছাড়া স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত নাটক, সিনেমা দেখে আমরা গতিশীল জীবনযাত্রার চর্চায় অভ্যস্ত হচ্ছি। ফলে মানুষ উৎপাদনমুখী হয়ে উঠছে। আমাদের এখন কোনো তথ্যর জন্য আর ব্যক্তির ওপর নির্ভর করতে হয় না, ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই সব পাওয়া যায়। এমনকি ইন্টারনেট আমাদের পথ চিনে সঠিক স্থানেও পৌঁছে দিচ্ছে। গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম  ব্যবহার করে আমরা পথ চিনে যে কোনো স্থানে পৌঁছে যেতে পারি।সুতরাং প্রযুক্তির অপব্যবহার তরুণ সমাজকে বিপথগামী করছে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ