মুত্তাকী নর/নারী কারা? মুত্তাকি হতে হলে কি কি গুনাবলী অর্জন করতে হয় একজন মুসলমান এর? স্বামীর আনুগত্য কি একজন  নারীর মুত্তাকী হবার গুনের মধ্যে পড়ে?  স্বামী বেনামাজি এবং বদমেজাজি  হলেও  কি তার আনুগত্য করা ফরজ? 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RushaIslam

Call

নিম্নক্ত গুণ গুলি যাদের মধ্যে থাকবে,তারাই মুত্তাকি বলে বিবেচিত হবে:  ১. আলিফ লাম মীম। (এর অর্থ কেবলমাত্র আল্লাহ অবগত)।  ২. এই কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই। যা আল্লাহভীরুদের জন্য পথ প্রদর্শক।  ৩. যারা গায়েবে বিশ্বাস করে ও ছালাত কায়েম করে এবং আমরা তাদেরকে যে রূযী দান করেছি, তা থেকে ব্যয় করে।  ৪. যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ঐ বিষয়ে, যা আপনার প্রতি নাযিল করা হয়েছে এবং যা আপনার পূর্ববর্তীগণের প্রতি নাযিল করা হয়েছিল। আর পরকালীন জীবনের প্রতি যারা নিশ্চিত বিশ্বাস পোষণ করে।  ৫. ঐ সকল মানুষ তাদের প্রভুর দেখানো পথের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং তারাই সফলকাম। আপনার সর্বশেষ কথাটির উত্তর হল: স্বামী যেমন ই হোক,তিনি নিম্নক্ত কাজ গুলি না করলেই তার প্রতি স্ত্রীর সকল কর্তব্য ফরজ।  (ক) ভাল ও সৎ কাজ এবং আল্লাহর বিধান বিরোধী নয় এমন সকল বিষয়ে স্বামীর আনুগত্য করা। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অবাধ্যতায় কোন সৃষ্টির আনুগত্য বৈধ নয়। (খ) স্ত্রীর সাধ্য ও সামর্থ্যরে উপযোগী বিষয়ে স্বামীর আনুগত্য করা। কারণ আল্লাহ তাআলা মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে অতিরিক্ত দায়িত্বারোপ করেন না। (গ) যে নির্দেশ কিংবা চাহিদা পূরণে কোন ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই, সে ব্যাপারে স্বামীর আনুগত্য করা। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

তাকওয়ার গুণে গুণান্বিত ব্যক্তিকে মুত্তাকি বলা হয়। অর্থাৎ যাদের অন্তরে আল্লাহ তায়ালার ভয় আছে এবং যারা পাপ থেকে বেঁচে থাকেন তারাই মুত্তাকি। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি নিজেকে শিরক, কবিরা গুনাহ এবং অশ্লীল কথা ও কাজ থেকে মুক্ত রাখে তাকে মুত্তাকি বলা হয়। মুত্তাকি ব্যক্তি সততা, আমানতদারি, সহনশীলতা, কৃতজ্ঞতা, ন্যায় ও ইসলামের গুণে গুণান্বিত হয়ে থাকে। মুত্তাকির গুণাবলিঃ কুরআন হলো মানুষের জন্য হিদায়াত বা পথপ্রদর্শক। কিন্তু সবাই এই কুরআন থেকে হিদায়াত পাবে না। হিদায়াত পাবেন তারাই যারা তাকওয়া অবলম্বনকারী, তথা মুত্তাকি, ‘হুদাল্লিল মুত্তাকিন অর্থাৎ এই কুরআন হলো হিদায়াত মুত্তাকির জন্য।’ আর মুত্তাকি হলো তারা ‘যারা অদৃশ্যে ঈমান আনে, নামাজ কায়েম করে এবং তাদের যে জীবনোপকরণ দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে, আর তোমার প্রতি যে কিতাব নাজিল করা হয়েছে এবং তোমার আগে যা নাজিল করা হয়েছিল, তার ওপর ঈমান আনে এবং আখেরাতের ওপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখে, তারাই তাদের প্রতিপালকের নির্দেশিত পথে রয়েছে এবং তারাই সফলকাম। (সুরা বাকারাঃ ৩-৫)। উপরিউক্ত আয়াত গুলোতে মুত্তাকিদের পাঁচটি মৌলিক গুণের কথা বলা হয়েছেঃ ১। অদৃশ্য, দৃষ্টির অন্তরালের বস্তু, যা ইন্দ্রিয়ানুভূতির অতীত, যেমন আল্লাহ, ফেরেশতা, আখেরাত, জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদি ঈমান আনা বা বিশ্বাস স্থাপন করা। ২। যথাযথ ভাবে যথা নিয়মে, যথা সময়ে সব শর্ত পালন করে একাগ্রতা ও নিষ্ঠার সাথে নামাজ সম্পাদন করা। ৩। আর্থিক ত্যাগ স্বীকার করে মানব কল্যাণে আল্লাহতায়ালার পথে ব্যয় করার মানসিকতাসম্পন্ন হওয়া। ৪। আল্লাহ তায়ালার দিকনির্দেশনা সংবলিত সব আসমানি কিতাবে বিশ্বাস স্থাপন করা এবং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে আল-কুরআনুল কারিমকে স্বীকার করা ও সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা। ৫। মুত্তাকির পঞ্চম গুণ হচ্ছে পৃথিবীর জীবনের কর্মের চিরস্থায়ী ফলাফল পাওয়ার জন্য আখিরাতের জীবনের ওপর সুদৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করা। স্বামীর আনুগত্য ও খেদমত করা স্ত্রীর উপর ওয়াজিব। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ পুরুষরা নারীদের কর্তা, কারণ আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং এজন্যে যে, পুরুষ তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে। কাজেই পূণ্যশীলা স্ত্রীরা অনুগতা। (সুরা নিসাঃ ৩৪) মুসনাদে আহমাদ বর্ণিত হাদিসে আছে, যে মহিলা যথারীতি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, রমজান মাসের রোজা রাখে, নিজের সতীত্ব রক্ষা করে চলে এবং স্বামীর পূর্ণ আনুগত্য করে, তার ইচ্ছা, সে জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ ব্যতীত যদি অন্য কাউকে আমি সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে স্ত্রীকে তার স্বামীকে সিজদা করার অনুমতি দিতাম। (তিরমিযীঃ ১১৫৯) মোটকথাঃ ইসলাম পুরুষকে নারীর নেতা বানিয়েছে। নারীর উপর কর্তব্য হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালা তাকে তার স্বামীর যা আনুগত্য করার নির্দেশ দিয়েছেন তার আনুগত্য করা। অর্থাৎ স্বামী বেনামাজি এবং বদমেজাজি হলেও তার আনুগত্য করা ওয়াজিব।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মুত্তাকি হলো তারা যারা আল্লাহকে ভয় করার মত ভয় করে এবং আল্লাহকে ভয় করে গুনাহের কাজ করেনা,গুনাহের কাজ থেকে দূরে থাকে।যারা গভির রাতে ঘুম থেকে উঠে(যখন মানুষ ঘুমিয়ে থাকে) তাহাজ্জুদ নামাজ পডে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে,তারাই হলো মুত্তাকি।মুত্তাকিরা নেক কাজ করে,মানুষের সাথে উত্তম ব্যাবহার করে,মাজলুম ব্যাক্তির সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে,কাউকে কষ্ট দেয়না।আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, হে ঈমানদারগন,তোমরা আল্লাহকে ভয় করার মতো ভয় করো,আর মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরন করো না,(সূরা বাকারাহ্)।এই আয়াতে আল্লাহ্ তায়ালা ঈমানদারদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন,তোমরা আল্লাহকে ভয় করো ভয় করার মতো,,একটা মানুষ যখন সাপকে ভয় পায়,সে ভয়ের কারনে ঐ সাপের গর্তের কাছ থেকেও হাটেনা।সুতরাং মুত্তাকি তারা,যারা এরকম ভাবে আল্লাহকে ভয় করে গুনাহতো করেইনা,বরং গুনাহের কাজ থেকে দূরে থাকে।মুত্তাকিরা সবসময় সকল কাজে আল্লাহর উপর ভরসা করে এবং ধৈর্যধারন করে।মুত্তাকি ব্যাক্তির দ্বারা কেউ কখনো কষ্ট পায় না।এই গুনগুলো মুত্তাকি নর ও নারীর।যেই নারীর স্বামী বদমেজাজী,বেনামাজী,তার কথা মানা উচিত,কিন্তু যদি ইসলামী আইন কানুন বিরোধী কোন কাজ করতে বলে সেটা করা হারাম,তার জন্য দোয়া করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ