কুরআন ও হাদিসের রেফারেন্সের আলোকে উত্তর আশা করছি
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

এটি শরীয়ত সম্মত পদ্ধতি নয়। এটি হিন্দুয়ানী পদ্ধতি। হিন্দুরা ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করার পর তিনদিন পর্যন্ত আগুনে জ্বলতে দেয়। তারপর ৪র্থ দিন মৃতের বাড়িতে খাওয়া দাওয়ার অনুষ্ঠান করে, আর বৎসরে উক্ত মৃত্যু দিবসে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।

ইসলামে এসব দিবসের কোন মূল্যই নেই। যদি মূল্য থাকতো, তাহলে রাসূল সাঃ নিজেই তা পালন করতেন। রাসূল সাঃ এর ছেলেগণ নবীজী সাঃ এর জীবদ্দশায় ইন্তেকাল করেছেন। কিন্তু নবীজী সাঃ কোন সন্তানের বেলায়ই উক্ত রুসুমগুলো পালন করেননি।খলীফায়ে রাশেদীনসহ কোন সাহাবী নবীজী সাঃ এর জন্য উপরোক্ত রুসুমগুলো পালন করেননি। কোন মুহাদ্দিস, কোন মুফাসসির, কোন তাবেয়ী, কোন তাবে তাবেয়ী, কোন মুজতাহিদ ইমামগণ উক্ত রুসুম পালন করেননি। কুরআন ও হাদীস বা ফিক্বহের কিতাবে এরকম রুসুমের কথা উল্লেখ নেই। তাই এসব পালন করা বিদআত। যে অনুষ্ঠান পালন বিদআত, সে অনুষ্ঠানে দান করাও জায়েজ নেই। তবে মৃতের জন্য নির্দিষ্ট দিনের প্রতি লক্ষ না করে এমনিতে দুআর আয়োজন করা যেতে পারে । যেকোন দিন মৃতের ঈসালে সওয়াবের জন্য গরীবদের খাওয়ানো যায়। দান-সদকা করা যেতে পারে। কুরআন পড়ে ঈসালে সওয়াব করা যেতে পারে। কিন্তু তিন দিনা বা মৃত্যুবার্ষিকী ইত্যাদি তারিখ নির্ধারণ পূর্বক এসব রুসুম পালন বিধর্মীর অনুসরণের কারণে নিষিদ্ধ।  হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত।

তাই ওসব না করে নিচের কাজগুলো করা যেতে পারে-

=মৃতের জন্য দুআ করার

=দান-সদকা করার প্রমাণ

=মৃতের পক্ষ থেকে পূণ্যের কাজ করা ইত্যাদি।

-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৪০৩১, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং ২৯৬৬, মুসনাদুশ শিহাব, হাদীস নং ৩৯০, মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং ১৮৬২, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং ৮৩২৭, মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং ৩৩০১৬

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ