অামি ছাত্র,বয়স ১৮, দাড়ি রাখতে চাই। পরিবারে লোকের কিছুটা অমত অাছে।তাদের ভাষ্য এখোনো বয়স হয়নি দাড়ি রাখার। যদিওবা দাড়ি রাখি তবে চাপ দাড়ির (ছোট দাড়ি ১"-১.৫")বেশি নয়। এখন কী করব। ইসলাম কী বলে? বিস্তারিত বললে উপকৃত হবো। অগ্রিম ধন্যবাদ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

পরিবারের লোকের কথা অমান্য করে আপনি চাঁপ দাড়ি-ই রাখতে পারেন। তবে তা স্টাইল ছোট করে নয়। আপনি নিয়্যাত করেছেন ১ থেকে ১.৫ ইঞ্চির বেশি রাখবেন না তা কি হয়? রাখলে স্বাভাবিক নিয়মে এক মুষ্ঠি তথা ৪ ইঞ্চি যাতে হয়। হাদিসে এসেছেঃ তোমরা গোঁফ কাট এবং দাঁড়ি লম্বা কর। তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন তিনি ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত কর না ও পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার কর। এখানে পিতা-মাতার প্রতি কর্তব্য পালন এবং তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকারের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তবে পিতা-মাতা যদি এমন কোন বিষয়ের নির্দেশ দেয় যা বাস্তবায়ন করলে আল্লাহ তাআলার সাথে শরীক করা হয় সেক্ষেত্রে তাদের কথা মানা যাবে না। তবে তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে। জনাব! অসৎকাজে আনুগত্য নয়! আনুগত্য কেবলমাত্র সৎকাজের ক্ষেত্রেই হতে হবে। সন্তানের অবশ্য কর্তব্য হবে এরূপ যে অসৎকাজের আদেশ ছাড়া পিতামাতার অন্য সব আদেশ মান্য করা। তবে তারা যদি ফরজ-ওয়াজিব ইবাদাত ত্যাগ করতে বলেন, হারাম বা মাকরূহে তাহরিমী পাপের নির্দেশ দেন তবে তা পালন করা যাবে না। আর যদি দাঁড়ি কাটতে বা না রাখতে এরূপ কোন হারাম কাজের নির্দেশ দেয় তবে তা মানা যাবে না। পবিত্র কোরআন হাদিসে আল্লাহ তাআলা যে সব বিষয়ে আদেশ দিয়েছেন ও নিষেধ করেছেন তা পালন করা আমাদের ওপর ফরজ। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের বহু আয়াতে আমাদেরকে আদেশ করেছেন যেন আমরা রাসুল (সাঃ) এর নির্দেশ মেনে চলি। তাই রাসুল (সাঃ) যে সব বিষয়ে আমাদের আদেশ ও নিষেধ করেছেন তা মেনে চলাও আমাদের জন্য ফরজ বা ওয়াজিব। কোরআনের বানীঃ তোমরা রাসূলের আহ্বানকে তোমাদের একে অপরের আহ্বানের মত গণ্য কর না; তোমাদের মধ্যে যারা একে অপরকে আড়াল করে অলক্ষ্যে সরে পড়ে আল্লাহ তো তাদেরকে জানেন। কাজেই যারা তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা সতর্ক হোক যে, বিপর্যয় তাদের উপর আপতিত হবে অথবা আপতিত হবে তাদের উপর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (সুরা আন নুরঃ ৬৩) ওহে যারা ঈমান এনেছ! আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য স্বীকার কর। আর নিজেদের আমল নষ্ট কর‎ না। (সূরা মুহাম্মাদঃ ৩৩) আর তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রাসুলের, যাতে তোমাদের ওপর রহমত করা হয়। (সুরা আলে-ইমরানঃ ১৩২) তোমরা যদি আল্লহকে ভালবাস তবে আমাকে অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা আলে ইমরানঃ ৩১) হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হয়ো না। (সুরা আনফালঃ ২০) আল্লাহ ও তাঁর রাসুল কোনো কাজের আদেশ করলে কোনো ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়। (সুরা আহজাবঃ ৩৬) পবিত্র কোরআন হাদিসে আল্লাহ তাআলা যে সব বিষয়ে আদেশ দিয়েছেন ও নিষেধ করেছেন তা পালন করা আমাদের ওপর ফরজ। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের বহু আয়াতে আমাদেরকে আদেশ করেছেন যেন আমরা রাসুল (সাঃ) এর নির্দেশ মেনে চলি। তাই রাসুল (সাঃ) যে সব বিষয়ে আমাদের আদেশ ও নিষেধ করেছেন তা মেনে চলাও আমাদের জন্য ফরজ বা ওয়াজিব।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ