এতদিন আমি আর আমার বউ এর ব্যাপারে সব বলেছি, যে আমাদের মিল হয় না।। ঠিক ২ দিন আগে আমি সব প্রমান পেয়েছি যে ও পরকীয়া প্রেম করে।। এখন আমার ফ্যামিলি বলেছে ওর মত মেয়ে আনভে না আর তালাক করাবে৷ আর আমার বউ আমাকে বলে যে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আমাকে ক্ষমা করো। আমি হাত মোজা ব্বোড়কা   নেকাফ সব পরবো। কিন্ত আমি বললাম কোন সুজোগ আর নেই।। এটা আমি কি ঠিক করেছি?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনার ভাষ‍্য অনুযায়ী, আপনার ও আপনার স্ত্রীর মধ‍্যে মিল হয় না। আপনি প্রমাণ পেয়েছেন যে, আপনার স্ত্রী পরকীয়া প্রেম করে (তবে যিনা করেনি)। এখন আপনার ফ্যামিলি বলেছে, ওর মতো মেয়ে আনবে না আর তালাক করাবে৷ আর আপনার বউ আপনাকে বলেছে যে, তার মুখের দিকে তাকিয়ে তাকে ক্ষমা করে দিতে এবং সে হাতে মোজা, পায়ে মোজা, বোরকা ও নেকাফ সব পড়বে। কিন্তু আপনি বললেন, তার আর কোনো সুযোগ নেই। এটা আপনি ঠিক করেননি। যেহেতু সে ক্ষমা চেয়েছে এবং বলেছে সামনে আর এমনটি করবে না এবং সর্বদা পর্দা মেনে চলাফেরা করবে বলেছে, সেহেতু তাকে আরেকটি সুযোগ দেয়া উচিত। তারপরও যদি সে কখনো এমন আচরণ করে, সেক্ষেত্রে আপনি তখন তাকে শাস্তি দিতে পারেন, অন‍্যথায় দেয়া উচিত হবে না। ধন‍্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call

স্ব্মি স্ত্রীর যে  কোনো কারণে মনোমালিন্য হয়ে যায়, স্বামী দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নিবে না। বরং কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী প্রথমে বুঝাবে পরে বিছানা পৃথক করে দিবে। নিতান্তই বাধ্য হলে সামান্য প্রহার করবে। তাতেও যদি কাজ না হয় আল্লাহপাক বলেন, وَاِنْ خِفْتُمْ شِقَاقَ بَيْنِهِمَا فَابْعَثُوْا حَكَمًا مِنْ اَهْلِه وَحَكَمًا مِنْ اَهْلِهَا اِنْ يُرِيْدَا اِصْلاَحًا يُوَفِّقِ اللهُ بَيْنَهُمَا اِنَّ اللهَ كَانَ عَلِيْمًا خَبِيْرًا (النساء-۳٥) ‘যদি তাদের মাঝে বিরোধ-বিদ্বেষ বৃদ্ধি পাবার কেবল আশঙ্কা করো, তাহলে স্বামীর তরফ থেকে একজন এবং স্ত্রীর তরফ থেকে একজন শালিস নিয়োগ করো। তারা উভয়ে নিষ্পত্তি চাইলে আল্লাহ তাদের মাঝে মীমাংসার অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি করে দিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও পরিজ্ঞাত।’ আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, শালিস সৎ নীতিনিষ্ঠ হওয়া চাই, আন্তরিকভাবে যে সমাধান চায়। অন্যথায় জটিলতা কেবল বাড়তেই থাকবে। এমন গিরা লাগবে শেষে বিচ্ছেদ ছাড়া উপায় থাকবে না।  হযরত থানবী রহ. এই আয়াতের ব্যাখ্যামূলক অর্থ লেখেন, লক্ষণ দেখে যে সকল স্ত্রীদের অবাধ্যতার আশঙ্কা করো প্রথমে তাদের বোঝাও। না মানলে বিছানা আলাদা করে দাও। এতেও কাজ না হলে সামান্য প্রহার করো। তাতে যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়ে যায় অহেতুক বাহানা খুঁজো না। তোমরা যারা অভিভাবক তোমাদের যদি মনে হয় তাদের মাঝে সংঘাত সংঘর্ষ কেবল বাড়তেই থাকবে, মিলমিশের কোনো সম্ভাবনা নেই, তাহলে বিচক্ষণ প্রজ্ঞাবান একজনকে স্বামীর পক্ষ থেকে আরেকজনকে স্ত্রীর পক্ষ থেকে শালিস নিযুক্ত করো। তারা উভয়ের সাথে কথা বলে, আলোচনা পর্যালোচনা করে, উভয়ের দোষত্রুটি ও দুর্বলতা বিশ্লেষণ করে দেখবে প্রকৃত দোষ কার? কীভাবে তাদের মনোমালিন্য দূর করা যায়? সমস্যা সমাধানে তারা যদি আন্তরিক হয় আল্লাহপাক তৌফিক দান করবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা বড় জ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ। কোনো পদ্ধতিতে তাদের মাঝে সমঝোতা হতে পারে তা তিনি জানেন। শালিসগণ আন্তরিক হলে সে পদ্ধতি তিনি তাদের অন্তরে ঢেলে দিবেন। [বয়ানুল কুরআন] মোটকথা শালিসদ্বয় ইখলাস ও আন্তরিকতার সাথে তাদের মতানৈক্য দূর করার চেষ্টা করবে। বুঝিয়ে শুনিয়ে পরস্পর মিলিয়ে দিবে। স্বামী-স্ত্রীর নৈতিক দায়িত্ব শালিসদ্বয়কে সহযোগিতা করা এবং তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সেমতে আমল করা এবং মুহাব্বতপূর্ণ সুখী সুন্দর জীবন যাপন করা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ