আমি একটি মেয়েকে অনেক ভালোবাসি।

আমরা আমাদের পরিবারকে বিষয়টি জানাইছি এবং তারা আমাদের বিয়ে ঠিক করছে।
কিন্তু ২ দিন আগে আমি জানতে পারলাম আমার প্রেমিকা বা হবু বউ আমার আগে আরো ১ টা ছেলের সাথে শারিরিক সম্পর্কে জরাইছে।
ও আমার কাছে একটা জিনিস চেয়েছিল সেটা হইছে আমি কখনো যাতে ওকে ছেরে না যাই।
আমি ওরে মন থেকে মেনে নিতে পারমু কিন্তু আল্লাহতো বলছে যে বিয়ের আগে এসব করবে তার কোনো ক্ষমা নাই।
এখন আমি কি করমু?
ওরো যে আমি কথা দিছি ওরে কখনো ছেরে যামুনা।
ইসলাম কি বলে এই রকম সম্পর্কের ব্যপারে?
কেউ জানডয়ে সাহায্য করবেন প্লিজ

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

যেহেতু মেয়েটির সাথে আপনার পরিবার বিয়ে ঠিক করেছে এবং আপনিও মেয়েটিকে ভালোবাসেন তাই আপনি মেয়েটির পূর্বের ভুল ক্ষমা করে দিন। ক্ষমা হল মহত্ত্বের লক্ষণ একজন মুসলামের ঈমানি দায়িত্ব হল অপর জনকে ক্ষমা করে দেয়া। আল্লাহ তায়ালা কোরআনে ইরশাদ করেছে বান্দা যদি পাহাড় পরিমান গুনা ও করে তবুও যদি ক্ষমা চায় তাহলেও আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করেও দিতে পারে। যেহেতু মেয়েটি পূর্বে আরেকটি ছেলের সাথে সহবাস করেছে হয়ত ছেলেটি মেয়েকে বিভিন্ন উপায়ে সহবাস করেছে মেয়েটি হয়ত এখন অনুতপ্ত। এখন যদি মেয়েটি ক্ষমা চায় আল্লাহর কাছে যে এমন গর্হিত কাজ আর করবে না তাহলে তাকে আপনি বিয়ে করতে পারেন ইসলামে কোনো নিষেধ নাই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ইসলামে বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ক সম্পূর্ণ করেছে। তাই আপনার স্ত্রীর জন্য উক্ত কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণরূপে হারাম হয়েছে। তবে সে যদি তাওবা করে ও নিজের অপরাধের জন্য ক্ষমা চাই তাহলে মহান আল্লাহ তাআলা অবশ্যয়ই ক্ষমা করবেন। কারণ তিনি বান্দার তাওবায় অত্যান্ত খুশি হন এবং ক্ষমা করেন। তাছাড়া হাদীসে এসেছে- গুনাহ থেকে তাওবাকারী কেমন যেন তার কোন গুনাহই নেই।

আর আপনার বক্তব্য ‘আল্লাহ বলেছেন বিয়ের আগে যে এসব করবে তার কোন ক্ষমা নাই’ একদমই ভুল। কুরআন ও হাদীসের কোথায়ও এ কথার ভিত্তি নেই।

আর হাঁ, আপনারা পরস্পর সম্পর্ক বজায় রাখতে হরে আপনাদেরকে বিয়ে করতে হবে। অন্যথায় আপনাদের প্রতিটি কর্মকাণ্ডই অবৈধ ও হারাম বলে বিবেচিত হবে। ধন্যবাদ।

তথ্যসূত্র:

সূরা যুমার, ৫৩, সুনানে ইবনে মাযা; হা. নং ৪২৫০, সহীহ মুসলিম; হা. নং ২৭৪৪।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ