যদি কোন মহিলার ইচ্ছাকৃত ভাবে জরায়ু কাটা হয়ে থাকে  তার মেয়ে কি বিবাহ করা যাবে? এবং সেই মহিলার হাতের রান্না কি খাওয়া যায়? কুরআন ও হাদিসের আলোকে বলুন          
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ইসলামী শরীয়তে জন্ম বিরতি গ্রহণের উদ্দেশ্যে জরায়ু কেটে ফেলা (যাকে চিকিৎসার ভাষায় hysterectomy বলে এবং  এ পদ্ধতির মাধ্যমে নারীর জরায়ু কেটে ফেলে দেয়া হয়। যাতে গর্ভধারণের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়।) সম্পূর্ণ হারাম।  কারণ এতে আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির মধ্যে স্পষ্ট বিকৃত সাধন করা হয়।যা ইসলাম  সমর্থন করে না। মহান আল্লাহ তাআল ইরশাদ করেন, তুমি একনিষ্ঠ ভাবে নিজেকে ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ। এটাই আল্লাহর প্রকৃতি, যার উপর তিনি মানব সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই। এটাই সরল ধর্ম। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না। -সূরা রূম, আয়াত-৩০। আর আয়াতে ‍সৃষ্টির পরিবর্তন বলতে শারিরিক পরিবর্তনই উদ্দেশ্য। আযিমাবাদী রহ.কৃত তুহফাতুল আহওয়াযি ৮/২০৯। অপর দিকে রাসূল সা.-এর হাদীস: হযরত কায়েস রা. থেকে বর্ণিত,আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, একদা আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে যুদ্ধাভিযানে বের হলাম। তখন আমাদের নিকট জৈবিক চাহিদা পূরণের কিছুই ছিল না। (এতে আমরা যৌন পীড়নে ভুগতাম।) ফলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললাম, (এ পরিস্থিতিতে) আমরা কি আমাদের যৌন শক্তি চিরতরে নিঃশেষ করে দেব না! উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা থেকে বারণ করলেন। অতঃপর আমাদের নিকট এ আয়াতটি পাঠ করলেন; অর্থ : হে মুমিনগণ! তোমরা ঐসব সুস্বাদু বস্তু হারাম করো না যেগুলো আল্লাহ তোমাদের জন্য হালাল করেছেন এবং সীমালংঘন করো না। আল্লাহ সীমালংঘনকারীদের পছন্দ করেন না। সহীহ বুখারী,হাদীস ৫০৭৫।

তাই এমন মহিলা ফাসেকা তথা গুরুতর পাপী। তাই পারত পক্ষে তার হাতের রান্না না খাওয়াই উত্তম। তবে তার মেয়েকে বিবাহ করতে কোনরূপ সমস্যা নেই। কারণ পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

আপনি বলুনঃ আমি কি আল্লাহ ব্যতীত অন্য প্রতিপালক খোঁজব, অথচ তিনিই সবকিছুর প্রতিপালক? যে ব্যক্তি কোন গোনাহ করে, তা তারই দায়িত্বে থাকে। কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। অতঃপর তোমাদেরকে সবাইকে প্রতিপালকের কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। অনন্তর তিনি তোমাদেরকে বলে দিবেন, যেসব বিষয়ে তোমরা বিরোধ করতে।সূরা আনআম, আয়াত -১৬৪। তাই মেয়েটির কোন  অপরাধ করে নি। তাছাড়া মেয়েটিও যদি এমন কাজ করত তাহলেও তাকে বিবাহ করা বৈধ থাকতো। কারণ এ ধরনের কাজ হারাম যার জন্য ইসলামে শাস্তির বিধান রয়েছে তবে এর কারণে বিবাহ তে কোনরূপ প্রভাব পরে না। কারণ দুটি আলাদা আলাদ বিষয়।

 

বি.দ্র. তবে কোন অসুস্থতা জনিত কারণে জরায়ূ কর্তন করা হলে ভিন্ন কথা আর্থাৎ তা করার অনুমোদন ইসলামী শরীয়তে রয়েছে তাই (মেয়ের মায়ের) সে ক্ষেত্রে উপর্যোক্ত হুকুম প্রযোজ্য হবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ