এই সুরা আল হাক্ক এর ৪০ নং আয়াতটি নিয়ে সংশয়ে পড়েছি। এই আয়াত টি নিয়ে নাস্তিক রা কোরয়ান বানানো গ্রন্থ বলে প্রচার করে চলেছে। অতএব এই আয়াত টি ব্যাখ্যা করে দিলে খুবই উপকৃত হতাম।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

সুরা হাক্কাহ-এর ৪০ নং আয়াত হলোঃ اِنَّہٗ  لَقَوۡلُ  رَسُوۡلٍ  کَرِیۡمٍ
অর্থাৎ, অর্থঃ নিশ্চয়ই এটি এক সম্মানিত রাসূলের বাণী।

এখানে সম্মানিত রাসূল বলতে হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)-কে বুঝানো হয়েছে। তাই বলে এই নয় যে, এটি রাসূলের কিতাব। তাছাড়াও, قول বার্তা'র অর্থ তেলাওয়াত (পাঠ করা)। অর্থাৎ, রাসূলে করীম (সঃ)-এর তেলাওয়াত। অথবা قول 'বার্তা' বলতে এমন কথা যা এই সম্মানিত রসূল, আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট পৌঁছান। কারণ, কুরআন না রসূল (সঃ)-এর বাণী, আর না জিবরীল (আঃ)-এর বাণী, বরং তা হল আল্লাহর বাণী, যা তিনি জিবরীল ফিরিশতার মাধ্যমে পয়গম্বরের উপর অবতীর্ণ করেছেন। অতঃপর তিনি মানুষের কাছে তা পাঠ করে শুনিয়ে ও পৌঁছে দিয়েছেন।


বিঃ দ্রঃ -  কোনোকিছু বুঝে না থাকলে মন্তব্য করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নিশ্চয় এ কুরআন এক সম্মানিত রাসূলের (আনীত) বাণী। (হাক্কাহ আয়াতঃ ৪০) এখানে সম্মানিত রাসূল মানে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বুঝোনো হয়েছে। কারণ তিনি এর প্রচারক ও উপস্থাপক। এজন্য রাসূল বা দূত শব্দটি আনা হয়েছে। কেননা রাসূল কেবল তার কথা প্রচার করেন যিনি তাকে প্রেরণ করেছেন। নিশ্চয়ই এ কুরআন সম্মানিত রাসূলের (আনীত) বাণী। (আত তাকভীরঃ ১৯) উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলা হয়েছেঃ এখানে সম্মানিত বাণীবাহক رَسُوْلٍ كَرِيْمٍ বলতে অহী আনার কাজে লিপ্ত ফেরেশতা জিবরাঈল আলাইহিস সালামকে বোঝানো হয়েছে। পরবর্তী আয়াতে এ-কথাটি আরো সুস্পষ্ট করে বলা হয়েছে। নবী-রাসূলগণের মতো ফেরেশতাগণের বেলায়ও রাসূল শব্দ ব্যবহৃত হয়। আর কুরআনকে “বাণীবাহকের বাণী” বলার অর্থ এই নয় যে, এটি ঐ সংশ্লিষ্ট ফেরেশতার নিজের কথা। বরং “বাণীবাহকের বাণী” শব্দ দুইটি একথা প্ৰকাশ করছে যে, এটি সেই সত্তার বাণী যিনি তাকে বাণীবাহক করে পাঠিয়েছেন। সূরা ‘আল-হাক্কা’র ৪০ আয়াতে এভাবে কুরআনকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী বলা হয়েছে। সেখানেও এর অর্থ এই নয় যে, এটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিজের রচনা। বরং একে “রাসূলে করীমের” বাণী বলে একথা সুস্পষ্ট করা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসূল হিসেবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটি পেশ করছেন, মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ হিসেবে নয়। উভয় স্থানে বাণীকে ফেরেশতা ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে সম্পর্কিত করার কারণ হচ্ছে এই যে, আল্লাহর বাণী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে বাণীবহনকারী ফেরেশতার মুখ থেকে এবং লোকদের সামনে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখ থেকে উচ্চারিত হচ্ছিল। [বাদায়িউত তাফসীর]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ