হেয়ার মাস্কটি বানাতে পারেন। ব্যাবহার করতে পারেন। যে যে হেয়ার মাস্কগুলি এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হলো- আমলা ও হেনার প্যাক: এই হেয়ার মাস্কটি বানাতে প্রয়োজন পরবে এক কাপ হেনার পেস্ট, তিন চামচ আমলার পাউডার এবং এক চামচ কফি পাউডারের। সবকটি উপাদান একসঙ্গে মেশানোর পর ভাল করে চুলে লাগিয়ে কম করে এক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে সালফার ফ্রি শ্যাম্পু দিয়ে ভাল করে চুলটা ধুয়ে নেবেন। এইভাবে মাসে একবার চুলের পরিচর্যা করলে চুল কুচকুচে কালো হয়ে তো যাবেই, সেই সঙ্গে চুলের গোড়ায় পুষ্টির ঘাটতি দূর হবে। হওয়ার কারণে হেয়ার ফলও কমতে শুরু করবে। লাল চা: সাদা চুলকে কালো করতে লাল চায়ের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই পানীয়টিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান চুলের অন্দরে প্রবেশ করে চুলের রং বদলে দেয়। শুধু তাই নয়, নিমেষে চুলকে যদি উজ্জ্বল বানাতে হয়, তাহলেও কাজে লাগাতে পারেন লাল চাকে। এখন প্রশ্ন হল চুলকে কালো করতে কীভাবে কাজে লাগাতে হবে লাল চাকে? এক্ষেত্রে এক কাপ জলে ২ চামচ চায়ের পাতা ফেলে পানিটা ফোটাতে হবে। যখন দেখবেন পানি ফুটতে শুরু করেছে, তখন আঁচটা বন্ধ করে পানি ঠান্ডা করে নিতে হবে। এরপর মিশ্রনটি ভাল করে চুলে লাগিয়ে কম করে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করে হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফলতে হবে। প্রসঙ্গত, ২ সপ্তাহে ১ বার এই ঘরোয়া টোটকাটিকে কাজে লাগালে উপকার পাবেন একেবারে হাতেনাতে। হেনা রেমেডি: এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ, তেমনি রয়েছে আরো অনেক উপকারি উপাদান। এটি স্কাল্পে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাকে যেমন কমায়, তেমনি সাদা চুলকে নিমেষে কালো করে দিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই সঙ্গে চুলের অন্দরে পি এইচ লেভেল বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে চুলের সৌন্দর্য বাড়াতেও সাহায্য করে থাকে। এক্ষেত্রে ২ চামচ চা পাতা, ৪ চামচ হেনা পাউডার, ১ চামচ লেবুর রস এবং ১ চামচ আমলা পাউডারের প্রয়োজন পরবে। প্রথমে এক কাপ পানিতে হেনা পাউডারটা ৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। অন্যদিকে এক কাপ চায়ে চায়ের পাতা পেলে পানিটাকে ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর পানি ঠান্ডা করে তাতে হেনার পেস্টটা মিশিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে তাতে লেবুর রস এবং আমলা পাউডারটা মিশিয়ে মিশ্রনটি চুলে লাগিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। যখন দেখবেন পেস্টটা শুকতে শুরু করেছে, তখন ভাল করে চুলটা ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রসঙ্গত, মাসে একবার এইভাবে চুলের পরিচর্যা করলেই দেখবেন কেল্লা ফতে! নারকেল তেল এবং লেবুর রস: এই দুটি উপাদান চুলের অন্দরে প্রবেশ করে পিগমেন্ট সেলের গ্রোথকে আটকে দেয়। এর ফলে সাদা হয়ে যাওয়া চুল তো কালো হয়ই, সেই সঙ্গে আরো চুল সাদা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে। তাই তো চটজলদি সাদা চুলকে কালো করতে এই দুই প্রকৃতিক উপাদানকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না। প্রসঙ্গত, এই হেয়ার প্যাকটি বানাতে প্রয়োজন পরবে ২ চামচ নারকেল তেল এবং ১ চামচ লেবুর রসের। এই দুটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে তা স্কাল্পে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করতে হবে। তারপর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে চুলটা। প্রসঙ্গত, এই ঘরোয়া টোটকাটির সুফল পেতে সপ্তাহে ২ বার এটিকে কাজে লাগাতে হবে। কারি পাতা: ছোট একটা পাত্রে ৩ চামচ নারকেল তেলে নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো কারি পাতা ফেলে কিছু সময় গরম করে নিতে হবে। যখন দেখবেন কারি পাতাটা কালো হতে শুরু করেছে, তখন আঁচটা বন্ধ করে দিতে হবে। এবার তেলটা ঠান্ডা করে সেটি স্কাল্পে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করতে হবে। এরপর এক ঘন্টা অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে চুলটা। এইভাবে সপ্তাহে ২-৩ বার চুলের পরিচর্যা করলে দেখবেন কুচকুচে কালো চুলের অধিকারি হতে দেখবেন সময় লাগবে না। বোল্ডস্কাই

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনি হামদর্দর হেয়ার আমলা কেশ তেলটি ব্যাবহার করতে পারেন এই তেল অকালে চুল পাকা রোধ করে চুল করে কালো এবং চুলের খুশকি দুর করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Ronu

Call
৩ টি ভেষজের কথা যেগুলো চুলপাকা কমাতে বেশ কার্যকর।

অশ্বগন্ধা

অশ্বগন্ধা চুল পাকা আটকাতে যে যে প্রকৃতিক উপাদানগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল অশ্বগন্ধা। এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে এমন কিছু পরিবর্তন করতে শুরু করে যে তার প্রভাবে চুল পাকা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে।

অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা এতে রয়েছে এমন কিছু এনজাইম, যা চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে চুল পেকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। অ্যালোভেরার উপকারিতা কিন্তু এখানেই শেষ হয়ে যায় না। পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেল নিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ফেলুন। কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করে হালকা গরম পানিতে ভাল করে মাথাটা ধুয়ে নিন। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে ৩-৪ বার এই ভাবে অ্যালো বেরা জেল মাথায় লাগলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।

মেথি

মেথি চুল পাকা কমাতে মেথি দারুন কাজে আসে। আসলে এতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যখনই দেখবেন চুল পেকে যাওয়ার হার খুব বেড়ে গেছে, তখনই অল্প করে মেথি বীজ নিয়ে এক গ্লাস জলে এক রাত ভিজিয়ে রাখবেন। পরদিন বীজগুলি বেটে নিয়ে একটা পেস্ট বানাবেন। সেই পেস্টটা ভাল করে মাথায় লাগিয়ে ৪০ মিনিট রেখে দিয়ে ধুয়ে নেবেন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ