তাফসীরের মূল উৎস ছয়টি।(১) কুরআন। অর্থাৎ কুরআন দিয়ে কুরআনের তাফসীর করা।এটি সবচেয়ে সঠিক ও নির্ভুল তাফসীর।তবে এই তাফসীর শুধু অভিজ্ঞ ব্যক্তির জন্য, সকলের জন্য নয়। যেমন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম الذين آمنوا ولم يلبسوا إيمانهم بظلم আয়াতের তাফসীর أن الشرك لظلم عظيم দিয়ে করেছেন।
(২) সুন্নাহ। অর্থাৎ সুন্নাহ দ্বারা কুরআনের তাফসীর করা।সুন্নাহ দ্বারা কুরআনের তাফসীর করা বিষয়ে কুরআনে এসেছে; সূরা নাহল:44 -এবং আপনার কাছে আমি স্মরণিকা অবতীর্ণ করেছি, যাতে আপনি লোকদের সামনে ঐসব বিষয় বিবৃত করেন, যে গুলো তোদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।
(৩) সাহাবায়ে কেরামদের মতামত। অর্থাৎ কোন আয়াতের তাফসীরে তাঁদের মতামত গ্রহণ করা। তাদের মতামত গ্রহণ করা বিষয়ে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে;
(১) তাঁরা কুরআন অবতীর্ণ হতে দেখেছেন এবং অবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
(২) তাঁদের ও কুরআনের ভাষা একই।
(৩) তাঁরা অবগত যে, আয়াত গুলো কার কার বিষয়ে অবতীর্ণ হয়েছে।
(৪) তাঁদের উদ্দেশ্য স্বার্থহীন।
(৫) এবং তাঁদের বোধশক্তি খুব সুন্দর।
(৪) তাবেয়ীনদের মতামত। অর্থাৎ তাফসীরের ক্ষেত্রে তাবেয়ীনদের মতামত গ্রহণ করা। কারণ তাঁরা কুরআন সাহাবায়ে কেরাম থেকে শিখেছেন।
(৫) আরবী ভাষা। অর্থাৎ কুরআনের কোন আয়াত বুঝতে আরবী ভাষার সহযোগিতা নেয়া।
(৬) ইজতেহাদ। অর্থাৎ কুরআন বুঝতে ইজতেহাদের সাহায্য নেয়া,যেমনটা আবু বকর সিদ্দিক রাঃ নিয়েছিলেন। তথ্যসূত্র,তাফসীরে জালালাইনের ভূমিকা পৃষ্ঠা নং ৭-৮