প্লিজ আমার কথাগুলো পড়ে আমাকে  আপনারা একটু পরামর্শ দিন    আমার বয়স ২১ বছর। আমি নিয়মিত নামাজ পড়ি ও ইসলামিক চর্চা করি। আমি সকল সময় পাক -পবিত্র থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু এই পবিত্র থাকাটাই আমি যেন একটু অতিরিক্ত করে ফেলি।যেমন -  বাড়িতে বা রাস্তায় থাকাকালীন প্যান্টে বা লুঙ্গিতে যদি কোনো সন্দেহজনক পানির ছিটানি এসে পড়ে তো তখন থেকেই মনে খুঁত খুঁত ভাব হয় এবং যদি অন্য প্যান্ট পরি তাহলে ভালো লাগে। আবার আমার ঘরের মেঝে মুছে পরিস্কার করে নামাজ পড়ি, কিন্তু যখন কাউকে দেখি যে তার পা টা অপরিস্কার আছে তখন যতক্ষণ না আমি সেই মেঝে মুছবো ততক্ষণ আমার মনের এই সন্দেহ ভাব যায় না। আবার রাত্রে যদি স্বপ্নদোষ হয় এবং আমার পূর্ণ বিশ্বাস থাকে যে বিছানার চাদর পবিত্র আছে, কিন্তু পরক্ষনেই আবার মনে হয় বিছানার চাদরটা কেচে দিলেই ভালো হয়,যদি বিছানা না কাচা হয় তো তাতে ঘুমোতে কেমন যেন একটা ভাব হয়।       আমি কি এই পাক-পবিত্র থাকাটাই একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলছি? যদি করে থাকি তাহলে আমি কি করবো?       প্লিজ আপনারা কুরআন ও সুন্নাহ এর আলোকে আমাকে একটু পরার্মশ দিন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
SChoolWab

Call

পবিত্রতার ক্ষেত্রে ইসলাম সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। আপনার চিন্তাধারা ভালো আছে। আপনি যদি এভাবে চলতে পারেন,  তো ভালো। কিন্তু সবার জন্য এমনটা মেনে চলা সম্ভবকর হয় না। তাদের জন্য অন্তত আল্লাহর ইবাদত (নামাজ) এর সময় পবিত্র পোষাক পরে নিলেই হয়। আলী (র.) হতে বর্নিত, সন্দের মুক্ত জিনিস গ্রহণ করো। সন্দেহ যুক্ত জিনিস পরিহার করো। এজন্য সন্দেহ যুক্ত জিনিস পরিহার করার জন্য, আপনার চলন অবশ্যই ঠিক আছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনি বোধ হয় মরজে ওয়াসওয়াসা তথা সংশয় ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। এটা মারাত্মক পর্যায়ের একটি ব্যধি। এটা শয়তানের সৃষ্ট। তাই এ ধরনের সংশয় পরিহার করে চলতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার নিশ্চয়ত সৃষ্টি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সেটাকে প্রশ্রয় দিবেন না। নিছক সন্দেহকে কখনো প্রশ্রয় দিবেন না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সংশয় ও কুমন্ত্রণায় আক্রান্ত হবে সে যেন আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করে। এবং সংশয়িত বিষায়াদি থেকে নিবৃত্ত থাকে। সহীহ বুখারী।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ