Jamiar

Call
যৌনাঙ্গ চুলকার কারনে লাল হয় ও ফুলে যায় তবে মনে রাখবেন যৌনাঙ্গ চুলকাবেন না এতে অনেক টাই ফুলে যেতে পাড়ে।তাই কিছু নিয়ম মেনে চলুন যেমন:-
দই এর মধ্যে একটা পট্টিকে ঘণ্টা খানেক ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর এই দই এর লেপ লাগানো পট্টিটি যোনিতে ভালভাবে লাগিয়ে রাখতে হবে ও ১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলতে হবে।
চুলকানি থেকে তাৎক্ষনিক রেহাই এর জন্য বরফ বা বরফ-ঠান্ডা জলের সেঁক দিতে হবে। রাতের বেলা যখন এই চুলকানির তীব্রতা খুব বৃদ্ধি পায় তখন এই প্রতিকারটি খুবই কার্যকারী।   এ ক্ষেত্রে এটি একটি দ্রুত প্রতিকারক।
টবের জলে তুলসী পাতা দিন। আধা ঘন্টা পরে যৌনাঙ্গ ওই জলে ভিজিয়ে নিন। তুলসীপাতায় উপস্থিত বৈশিষ্ঠগুলি, ক্রমবর্ধনশীল ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়ে। এই যৌনাঙ্গে চুলকানির প্রতিকারটি, খুবেই উপকারি
বেশি চুলকানি হলে Lidocaine নামক জেল আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন। এতে সাময়িক আরাম হবে। কিন্তু পুরা সেরে যাবেনা। তাই ডাক্তারকে দেখাবেন।

যেগুলোতে সতর্ক থাকবেন:-
১. রঙীন ও বেশি সুগন্ধিযুক্ত টয়লেট টিস্যু ও সাবান যৌনাঙ্গে ব্যবহার করবেন না।
২. ফেমিনিন হাইজিন স্প্রে ও ডুশ ব্যবহার করবেন না।
৩. ভেজা কাপড় পরে বেশিক্ষণ থাকবেন না। গোসল বা ব্যায়ামের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভেজা কাপড়টি পাল্টে নিবেন। যারা সুইমিং পুলে সাঁতার কাটেন তাদের ক্লোরিনের কারণেও ইচিং হতে পারে , তাই সাবধান হন।
৪. আপনার যৌনাঙ্গ পরিষ্কার রাখুন সবসময়। আর প্রসাব বা পায়খানা করার সময় হাত দিয়ে সামনে থেকে পেছনে এই নিয়মে পরিষ্কার করতে হবে। খেয়াল রাখবেন পায়খানার রাস্তার জীবাণু যেন যোনিতে না লাগে।
৫. দই খান, এতে ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে।
৬. সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি অন্তর্বাস বা পেন্টি পরুন। সিনথেটিক পেন্টি পরবেন না।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
এ অবস্থার জন্য দায়ী হলো ছত্রাক। একটু সুযোগ পেলেই ভেজা স্থানগুলোতে বাসা বাঁধে। যোনিতে যে ছত্রাকটি আধিপত্য বিস্তার করে তার নাম ক্যানডিডা এলবিকান।
এরা দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করে মেরে ফেলে যোনির কোষসমূহ। ফলে সৃষ্টি হয় অস্বস্তিকর চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া। 
ছত্রাক সংক্রমণের কারণ
১. ইস্ট্রোজেনের উচ্চমাত্রাঃ 
মেয়েদের মাসিক চক্রের প্রথম ১৪ দিনে কিংবা গর্ভধারণকালে শরীরের ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এই ইস্ট্রোজেন শরীরের কোষসমূহের অভ্যন্তরে শ্বেতসারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় যা ছত্রাকের জন্য আশীর্বাদ।
২. দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ
কারো শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হলে ছত্রাকের সংক্রমণ তিনগুণ বেড়ে যায়। যারা ডায়েট কন্ট্রোল করেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করেন না, কিংবা বিষণ্নতায় ভোগেন তাদের ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটে।
৩. এন্টিবায়োটিক : কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া যা যোনিতে অবস্থান করে, ছত্রাকের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে ছত্রাককে দমিয়ে রাখে। কিন্তু এন্টিবায়োটিক যোনির সেই ব্যাকটেরিয়াগুলোকে অক্ষম করে ফেলে। ছত্রাক ব্যাপক হারে যোনিতে বংশবিস্তার করার সুযোগ পায়।
৪. ভেজা কাপড়-চোপড়: ছত্রাক পছন্দ করে ভেজা বস্তু। ভেজা কাপড়-চোপড় পরিধানের জন্য ছত্রাক সুযোগ পায় সেখানে স্থান করে নিতে। ভেজা অন্তরবাস, কিংবা ঘেমে গেলে তা না শুকাবার ফলে ছত্রাকের বংশ বিস্তার ঘটে। কেবল ভেজা কাপড় চোপড় নয়, যারা সুইমিংপুলে সাঁতার কাটেন, সেখানে ক্লোরিন থাকায় যোনিতে চুলকানির সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সুগন্ধী সাবানও এই চুলকানির জন্য দায়ী।
কী ব্যবস্থা নেবেন:
যোনিতে ছত্রাক সংক্রমণ ঘটে গেলে প্রচুর চুলকানি হবে, কিন্তু যতদূর সম্ভব সহ্য করে যাবেন, জায়গাটিতে নখ দিয়ে আঁচড় দিবেন না। ক্লোট্রাইমাজোল কিংবা মিকোনাজেলে নাইট্রেট নামক ছত্রাকবিরোধী মলম ব্যবহার করতে হবে। চুলকানির হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য খেতে হবে এন্টিহিস্টামিন ওষুধ। সর্বদা স্থানটি শুকনো রাখবেন।
আপনার ডায়াবেটিস কিংবা যৌনবাহিত রোগ রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিন। কোনো কোনো ছত্রাকবিরোধী ওষুধ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং তা ব্যবহারের পূর্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। আপনার যাতে পরবর্তী সময়ে ছত্রাক সংক্রমণ না ঘটতে পারে তার অন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নিনঃ-
১। দধি খান: প্রত্যহ এক কাপ দধি খেলে আপনার ছত্রাকে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যাবে। দধিতে থাকে ল্যাকটোব্যাসিলাস এসিডোফাইলাস নামক ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাককে নিধন করে।
২। ভিটামিন খান: এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি যে কত ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেল ছত্রাকের ওপর প্রভাব ফেলে। তবে পুষ্টিহীনতা এবং বিশেষ করে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল ছত্রাকের ওপর প্রভাব ফেলে। তবে পুষ্টিহীনতা এবং বিশেষ করে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি ও ভিটামিন-ই-এর ঘাটতি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়। যদি আপনার কোনো ধরনের সংক্রমণের প্রবণতা থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভিটামিন খেতে হবে।
৩। সুতির অন্তর্বাস পরুন: সুতির অন্তর্বাস পরার ফলে বেশি পরিমাণ বাতাস ঢুকতে পারবে, ফলে আপনার যৌনাঙ্গ শুকনো থাকবে। আর এতে করে যৌনাঙ্গে ছত্রাক আক্রমণ করতে পারবে না।
৪। প্রয়োজনে প্রতিরোধ মাত্রায় ছত্রাকবিরোধী ওষুধ গ্রহণ করুন: যদি আপনি এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে সেই সঙ্গে ছত্রাকবিরোধী ওষুধও গ্রহণ করুন। কেননা, এন্টিবায়েটিক গ্রহণের ফলে আপনার ছত্রাক আক্রমণের হার বেড়ে যাবে। অবশ্য এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ