শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আজল করা জায়েজ  আছে কি নাই সেটা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার সাথে সম্পর্ক নেই। আজল করা হয় মূলত সন্তান না নেওয়ার জন্য। এখন কথা হল আপনি কেন সন্তান নিবেন না সেটার উপর নির্ভর করবে আজল জায়েজ হবে কিনা । যদি রিযিকের ভয়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ করেন সে ক্ষেত্রে আযল নাজায়েজ । আর যদি সন্তান বা মা এর শারীরিক সমস্যার দিকে লক্ষ্য করে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা হয় সে ক্ষেত্রে যায়েজ।                     

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

হ্যাঁ,জায়েয হবে।যদি আকিদা ঠিক থাকে। অর্থাৎ রিজিকের ভয় না থাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

প্রাচীনকালে আরব সমাজে ‘আযল’ করার যে প্রচলন ছিল। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে কোন আলোচনা খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে হাদীছে স্পষ্ট আলোচনা আছে। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হ’ল-
# জাবির (রাঃ) বলেন, كُنَّا نَعْزِلُ وَالْقُرْآنُ يَنْزِلُ ‘আমরা রাসূলের জীবদ্দশায় ‘আযল’ করতাম অথচ তখনও কুরআন নাযিল হচ্ছিল। [মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩১৮৪] 
অর্থাৎ পবিত্র কুরআনে ‘আযল’ সম্পর্কে কোন নিষেধবাণী আসেনি। আর রাসূলুল্লাহ (সা)ও তা নিষেধ করেননি।
# রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, তুমি কি সৃষ্টি কর? তুমি কি রিযিক দাও? তাকে তার আসল স্থানেই রাখ, সঠিকভাবে তাকে থাকতে দাও। কেননা এ ব্যাপারে আল্লাহর চূড়ান্ত ফায়ছালা রয়েছে।[সিলসিলা ছহীহাহ হা/৫৭৫; ছহীহুল জামে‘ হা/৪০৩৮]
ইবনে সীরীন-এর মতে, لاعليكم ان لاتفعلوا এ বাক্যে ‘আযল’ সম্পর্কে স্পষ্ট নিষেধ না থাকলেও এ যে নিষেধের একেবারে কাছাকাছি এতে কোন সন্দেহ নেই। হাসান বছরী বলেন, আল্লাহর শপথ, রাসূলের একথায় ‘আযল’ সম্পর্কে স্পষ্ট ভৎর্সনা ও হুমকি রয়েছে। ইমাম কুরতুবী বলেছেন, সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ (সা)-এর উক্ত কথা থেকে নিষেধই বুঝেছিলেন। ফলে এর অর্থ দাঁড়ায় রাসূল (সা) যেন বলেছেন, لاتعزلوا وعليكم ان لاتفعلوا তোমরা ‘আযল’ কর না, তা না করাই তোমাদের কর্তব্য। রাগিব ইসফাহানীর মতে, ‘আযল’ করে শুক্র বিনষ্ট করা এবং তাকে তার আসল স্থানে নিক্ষেপ না করা সম্পর্কে স্পষ্ট নিষেধ। মুয়াত্তা গ্রন্থ প্রণেতা ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন যে, ইবনে ওমর (রাঃ) ছিলেন তাদের অন্যতম যাঁরা ‘আযল’ পসন্দ করতেন না।
عزل অর্থ হ’ল, পুরুষাঙ্গ স্ত্রী অঙ্গের ভেতর থেকে বের করে নেয়া যেন শুক্র স্ত্রী অঙ্গের ভেতরে স্খলিত হওয়ার পরিবর্তে বাইরে স্খলিত হয়।
আইয়ামে জাহেলিয়াতে যেসব কারণে সন্তান হত্যা করা হ’ত, বর্তমান যামানায় জন্মনিয়ন্ত্রণও ঠিক একই কারণে গ্রহণ করা হচ্ছে। কিন্তু সোনালী যুগের ‘আযল’-এর উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। সে যুগে তিনটি কারণে মুসলমানদের মধ্যে ‘আযল’-এর প্রচলন ছিল।

১. দাসীর গর্ভে নিজের কোন সন্তান জন্মানো তাঁরা পসন্দ করতেন না, সামাজিক হীনতার কারণে।

২. দাসীর গর্ভে কারো সন্তান জন্মালে উক্ত সন্তানের মাকে হস্তান্তর করা যাবে না, অথচ স্থায়ীভাবে দাসীকে নিজের কাছে রেখে দিতেও তারা প্রস্ত্তত ছিল না।

৩. দুগ্ধপায়ী শিশুর মা পুনরায় গর্ভ ধারণ করার ফলে প্রথম শিশুর স্বাস্থ্যহানীর আশংকা অথবা পুনরায় সন্তান গর্ভে ধারণ করলে মায়ের স্বাস্থ্যের বিপর্যয়ের আশংকা, কিংবা সন্তান প্রসবের কষ্ট সহ্য করার অনুপযুক্ত তা চিকিৎসকের পরামর্শে যথাযোগ্য বিবেচনায় এক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

উপরোক্ত তিনটি কারণের মধ্যে প্রথম দু’টি কারণ আধুনিক যুগে এখন আর নেই। শেষের তিন নম্বর কারণ ব্যতিরেকে সম্পদ সাশ্রয়ের জন্য ও নিজের আমোদ-প্রমোদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ করা বৈধ নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আযল, স্ত্রীমিলনের সময় স্ত্রীর যৌনাঙ্গের বাহিরে বীর্যপাত করা। যার উদ্দেশ্য স্ত্রীকে গর্ভধারণ থেকে বিরত রাখা। শারীরিক অসুস্থতা অথবা দুই সন্তানের মাঝে প্রয়োজনীয় ব্যবধান রাখার ক্ষেত্রে অস্থায়ীভাবে আযল করা শরীআতে বৈধ। জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি একটি কৌশল মাত্র। তবে বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আল্লাহ চাইলে এর পরেও গর্ভে সন্তান আসতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ইমাম মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) বলেছেন, স্বাধীন স্ত্রীর অনুমতি নেওয়ার পর আযল করা জায়িয। আবূ গাসসান মিসমায়ী (রহঃ) জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যমানায় আযল করতাম। এ সংবাদ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পৌঁছলে এ থেকে তিনি নিষেধ করেন নি। (সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্বরঃ ৩৪৩০) জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আযল করতাম। কিন্তু এটাকে ‘জীবন্ত কবর দেয়ার’ নামান্তর মনে করে ইয়াহুদীরা। তিনি বললেনঃ ইয়াহুদীরা মিথ্যা বলেছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা কোন কিছু সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিলে কেউই তা বাঁধা দিয়ে রাখতে পারে না। (সূনান আত তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ১১৩৬)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ