মানুষের পরে ডলফিন পৃথিবীর দ্বিতীয় বুদ্ধিমান প্রানী। কিন্তু কেন এই কথা বলা হয়।  বিস্তারিত বলুন।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
ধারণা করা হয়, বুদ্ধির বিচারে মানুষের পরেই ডলফিনের স্থান। এ প্রাণীর শরীর ও মগজের অনুপাত মানুষের কাছাকাছি। একদল মানুষের বিশ্বাস, ডলফিনের পূর্বপুরুষেরা একসময় বাস করত স্থলে। পরে এরা এক অজানা কারণে সাগরের পানিতে বাস করা শুরু করে।
ডলফিনের একটি বৈশিষ্ট্য মানুষকে অবাক করে এ প্রাণী যেকোনো বিষয়ে মানুষের মতো ভাবতে পারে আর সে ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়। অনেক বিষয় এটি বেশ দ্রুত রপ্ত করতে পারে, শিখতে পারে। মানুষ ছাড়া কোনো প্রাণীই ডলফিনের মতো শিখতে পারে না। এ বিষয়ে খেলার কথা উল্লেখ করা যায়। এ প্রাণী খেলতে খুব পছন্দ করে, অনেক খেলাই সহজে শিখতে পারে। বিশ্বের অনেক দেশেই ডলফিনের খেলা শেখানোর স্কুল আছে। এ স্কুল মানুষই গড়ে, মানুষই পরিচালনা করে।
ডলফিনের অনুভূতি অবাক করার মতো। এদের মধ্যে মানুষের মতো ভালোবাসা আছে। আছে বন্ধুত্ব। কোনো ডলফিন আহত হলে অন্যেরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। বাচ্চা জন্মদানের পর মা ডলফিন বাচ্চাকে দুধ খাওয়ায়। প্রথম দুই সপ্তাহ আধা ঘণ্টা পরপর দুধ খাওয়ায়। বাচ্চাকে কয়েক সপ্তাহ মা-ডলফিন নিজের কাছে রাখে। বাচ্চারা শিকার করা রপ্ত করলে ছেড়ে দেয়।
শত শত বছর ধরে ডলফিন মানুষের উপকার করে আসছে। কোনো নতুন নাবিক দূরের অচেনা দ্বীপে পৌঁছানোর জন্য গাইড হিসেবে ব্যবহার করে ডলফিনকে। এসব নাবিক এতে সফলও হন।
ডলফিন প্রায় দুই দশমিক ৫০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। ওজন হয় প্রায় ১০০ কিলোগ্রাম। ডলফিনের প্রধান খাদ্য মাছ। একটি ডলফিন এক দিনে প্রায় ৩০ কেজি মাছ খায়। মাছ শিকারে এটি দক্ষ।
বিশ্বের অনেক সাগরের মতো আমাদের বঙ্গোপসাগরেও অনেক ডলফিন আছে।

তথ্যসুত্রঃ দৈনিক নয়া দিগন্ত ১৯ অক্টোবর ২০১৬
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

পৃথিবীতে মানুষ হচ্ছে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী। কিন্তু মানুষের পর সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী কোনটি এ নিয়ে বিতর্ক  আছে। কয়েকজন বিজ্ঞানী বলেছেন, প্রাণীটির হাসি-হাসি মুখ দেখে আমরা বিভ্রান্ত হচ্ছি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ